অর্থের প্রচলন গতি কী?

অর্থের প্রচলন গতি হলো একটি দেশে মুদ্রা (টাকা) কত দ্রুত এক হাত থেকে অন্য হাতে চলে যায় তার হার।

অর্থের প্রচলন গতি কী?

চলো, একটি সহজ উদাহরণ দিয়ে এই বিষয়টি বিস্তারিত বুঝি। ধরো, তুমি তোমার পকেটে পাঁচটা চকলেট নিয়ে স্কুলে গেলা। স্কুলে তুমি একটি চকলেট এক বন্ধুকে দিলে, সে বন্ধু সেই চকলেট আরেক বন্ধুকে দিল, তারপর সেই বন্ধু আবার অন্য কাউকে। এভাবে যদি সেই চকলেট দিনের মধ্যে অনেক বার বিভিন্ন বন্ধুর হাত বদল হয়, তাহলে বলা যায় চকলেটের “প্রচলন গতি” বেশি।

আর্থিক জগতে, মুদ্রা বা টাকা যদি এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তির হাতে দ্রুত চলে যায়, তাহলে বলা হয় অর্থের প্রচলন গতি বেশি। এর মানে, মানুষ তাদের টাকা খরচ করছে, যা বাণিজ্য ও অর্থনীতির জন্য ভালো। কিন্তু যদি মানুষ তাদের টাকা সঞ্চয় করে এবং খরচ না করে, তাহলে অর্থের প্রচলন গতি কমে যায়, যা অর্থনীতির জন্য ভালো নয়।

সহজ কথায়, যদি আমরা টাকা খরচ করি এবং সেই টাকা অন্যের হাতে চলে যায়, তাহলে আমাদের দেশের অর্থনীতি ভালো থাকবে। এটা একধরনের চক্র, যেখানে টাকা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরে বেড়ায় এবং সবাইকে সুবিধা দেয়।

অর্থের প্রচলন গতি কি?

অর্থের প্রচলন গতি হলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে **অর্থ** কত তাড়াতাড়ি একজন থেকে অন্যজনের কাছে চলে যায়, বা কত দ্রুত লেনদেন সম্পন্ন হয়।

অর্থের প্রচলন গতি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

অর্থের প্রচলন গতি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি **অর্থনীতি**র স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধির একটি প্রধান নির্দেশক। দ্রুত প্রচলন গতি সাধারণত সক্রিয় অর্থনীতির ইঙ্গিত দেয়।

অর্থের প্রচলন গতি কিভাবে মাপা যায়?

অর্থের প্রচলন গতি মাপা হয় **মোট লেনদেনের পরিমাণ** এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে **মুদ্রাস্ফীতির হার** দেখে। এটি অর্থনীতিবিদদের একটি সূচক হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন।

অর্থের প্রচলন গতি বৃদ্ধি পেলে কি হয়?

অর্থের প্রচলন গতি বৃদ্ধি পেলে, এটি সাধারণত **অর্থনীতির বৃদ্ধি** এবং সমৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। মানুষ বেশি খরচ করে, ব্যবসায়েরা বেশি বিনিয়োগ করে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

অর্থের প্রচলন গতি কমে গেলে কি হয়?

যদি অর্থের প্রচলন গতি কমে যায়, তাহলে এটি **মন্দা** বা অর্থনৈতিক মন্দার একটি সম্ভাবনা ইঙ্গিত করে। মানুষ কম খরচ করে, ব্যবসায়িক বিনিয়োগ হ্রাস পায়, এবং বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেতে পারে।

Scroll to Top