গণতন্ত্রের বিপরীত রূপ কী?

গণতন্ত্রের বিপরীত রূপ হলো “স্বৈরশাসন” বা অটোক্র্যাসি।

গণতন্ত্রের বিপরীত ধারা কী?

গণতন্ত্র এমন একটি শাসন পদ্ধতি যেখানে দেশের নাগরিকরা তাদের নেতাদের নির্বাচন করে এবং সরকারের সিদ্ধান্তে তাদের অভিমত প্রকাশ করতে পারে। অন্যদিকে, স্বৈরশাসন বা অটোক্র্যাসি হলো এমন একটি শাসন পদ্ধতি যেখানে ক্ষমতা একজন বা খুব কম সংখ্যক মানুষের হাতে থাকে এবং সাধারন মানুষের কোনো রায় বা অধিকার থাকে না।

উদাহরণ দিলে, ধরা যাক, তুমি একটি ক্লাসের মধ্যে আছো যেখানে সবাই কী খেলবে সেটা ঠিক করার জন্য ভোট দিচ্ছে। এটা হলো গণতন্ত্রের মতো। কিন্তু যদি শুধু একজন বা দুইজন নির্দিষ্ট করে দেয় যে সবাই কী খেলবে এবং কারও কোনো পছন্দের কথা শোনা হয় না, তাহলে সেটা স্বৈরশাসনের মতো।

গণতন্ত্র কি?

গণতন্ত্র এক ধরনের সরকারের ব্যবস্থা যেখানে দেশের নাগরিকরা সরাসরি বা প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সরকারের সিদ্ধান্ত নির্ধারণে অংশ নেয়। এখানে, প্রত্যেকের ভোটের মূল্য সমান এবং এটি স্বাধীনতাসমতা-র ওপর ভিত্তি করে।

গণতন্ত্রের মূল উপাদান কি কি?

গণতন্ত্রের মূল উপাদান হলো: বহুদলীয় প্রতিযোগিতা, নির্বাচনী প্রক্রিয়া, নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা, আইনের শাসন, এবং মৌলিক মানবাধিকারের সুরক্ষা। এগুলি একটি গণতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তি গঠন করে।

স্বৈরশাসন কি?

স্বৈরশাসন হলো গণতন্ত্রের বিপরীত একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা, যেখানে ক্ষমতা একক ব্যক্তি বা একটি ছোট গোষ্ঠীর হাতে কেন্দ্রীভূত থাকে। এই প্রকারের শাসনে, নাগরিকদের স্বাধীনতাঅধিকার গুলি সীমিত থাকে।

স্বৈরশাসন ও গণতন্ত্রের মধ্যে মূল পার্থক্য কি?

মূল পার্থক্য হলো, গণতন্ত্রে শাসন ক্ষমতা নাগরিকদের হাতে থাকে এবং তারা সরাসরি বা প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে সরকারের সিদ্ধান্তে অংশ নেয়, অন্য দিকে, স্বৈরশাসনে ক্ষমতা একক ব্যক্তি বা ছোট গোষ্ঠীর হাতে থাকে এবং নাগরিকদের স্বাধীনতাঅধিকার প্রায়শই সীমিত হয়।

নাগরিকদের কেন গণতন্ত্রে অংশগ্রহণ করা উচিত?

নাগরিকদের গণতন্ত্রে অংশগ্রহণ করা উচিত কারণ এটি তাদের নিজেদের ভবিষ্যত এবং সমাজের ভবিষ্যত নির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে সক্ষম করে। এতে তারা সরকারের সিদ্ধান্তে ভোট দিয়ে, মতামত প্রকাশ করে, এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারে।

Scroll to Top