গুণক নির্ণয়ের সূত্র কী?

গুণক নির্ণয়ের সূত্রের মূল ধারণা হল একটি সংখ্যাকে অন্য একটি সংখ্যার দ্বারা ভাগ করে দেখা, যদি ভাগশেষ শূন্য হয়, তাহলে প্রথম সংখ্যাটি দ্বিতীয় সংখ্যার গুণক।

গুণক নির্ণয়ের সূত্র কী?

এবার বিস্তারিত বলি, মনে করো তোমার কাছে দুটি সংখ্যা আছে, ১৫ এবং ৩। এখন তুমি যদি জানতে চাও যে ৩ কি ১৫-এর একটি গুণক কিনা, তাহলে তুমি ১৫কে ৩ দ্বারা ভাগ করবে। এখানে, ১৫ কে ৩ দিয়ে ভাগ করলে ভাগফল আসবে ৫ এবং ভাগশেষ হবে শূন্য। এটি দেখায় যে ৩ হল ১৫-এর একটি গুণক।

উদাহরণ দিয়ে আরও সহজ করে বোঝাই, ধরো তুমি একটি দোকান থেকে ২০টি চকলেট কিনেছো এবং তোমার সাথে তোমার ৪ বন্ধু আছে। এখন তুমি যদি প্রত্যেককে সমান সংখ্যক চকলেট দিতে চাও, তাহলে তুমি দেখবে প্রত্যেকে ৫টি করে চকলেট পাবে। এখানে, ২০কে ৪ দ্বারা ভাগ করলে ভাগফল আসে ৫, অর্থাৎ ভাগশেষ শূন্য। সুতরাং, ৪ হল ২০-এর একটি গুণক। এটি দেখিয়ে দেয় যে যখন একটি সংখ্যাকে অন্য একটি সংখ্যার দ্বারা ভাগ করে ভাগশেষ শূন্য আসে, তখন বলা যায় প্রথম সংখ্যাটি দ্বিতীয় সংখ্যার একটি গুণক।

গুণনীয়ক কী?

গুণনীয়ক হলো এমন সংখ্যা যা অন্য একটি সংখ্যাকে ভাগ করতে পারে বিভাজনের বাকি ছাড়া।

গুণক এবং গুণনীয়কের মধ্যে পার্থক্য কি?

গুণক হল একটি সংখ্যাকে বিভিন্ন সংখ্যা দিয়ে গুণ করার ফলাফল আর গুণনীয়ক হলো এমন সংখ্যা যা অন্য একটি সংখ্যাকে ভাগ করতে পারে বিভাজনের বাকি ছাড়া।

গুণনীয়ক নির্ণয়ের সহজ উপায় কি?

গুণনীয়ক নির্ণয়ের সহজ উপায় হলো ঐ সংখ্যাকে ১ থেকে শুরু করে সেই সংখ্যা পর্যন্ত প্রতিটি সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা এবং দেখা যে কোন সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে বিভাজনের বাকি না থাকে।

একটি সংখ্যার সবচেয়ে বড় গুণনীয়ক কি হয়?

একটি সংখ্যার সবচেয়ে বড় গুণনীয়ক হলো সেই সংখ্যা নিজেই।

যদি দুটি সংখ্যার সর্বোচ্চ গুণনীয়ক (GCD) ১ হয়, তাহলে সেই দুটি সংখ্যাকে কি বলে?

যদি দুটি সংখ্যার সর্বোচ্চ গুণনীয়ক (GCD) ১ হয়, তাহলে সেই দুটি সংখ্যাকে সহমৌলিক সংখ্যা বলে।

Scroll to Top