গ্রাফাইটের সংকেত কী?

গ্রাফাইটের রাসায়নিক সংকেত হল “C”।

গ্রাফাইটের রাসায়নিক সংকেত কী?

গ্রাফাইট মূলত কার্বনের (‘C’ হল কার্বনের প্রতীক) একটি রূপ। কার্বনের অনেক রূপ আছে, যেমন হীরা ও গ্রাফাইট। একে বলে অলোট্রপ। গ্রাফাইটের বিশেষত্ব হল এর স্তরবিন্যাস। চিন্তা করো, তুমি একটি খাতায় অনেক পৃষ্ঠা স্তুপ করে রেখেছো, প্রতিটি পাতা অন্যটির উপর সহজেই সরে যেতে পারে। গ্রাফাইটে, কার্বনের পরমাণুগুলি একটি স্তরের মত সাজানো থাকে এবং এই স্তরগুলি খুব সহজেই একে অপরের উপর সরে যেতে পারে, যা গ্রাফাইটকে খুব ভালো লুব্রিকেন্ট (মাখনের মত পিচ্ছিল পদার্থ) এবং পেন্সিলের লেড হিসেবে এত ভালো কাজে লাগে। যখন তুমি পেন্সিল দিয়ে কিছু লিখতে বা আঁকতে থাকো, তখন গ্রাফাইটের এই স্তরগুলি কাগজের উপরে স্থানান্তরিত হয়, যা লেখা বা আঁকার চিহ্ন তৈরি করে।

গ্রাফাইট কি?

গ্রাফাইট হল এক ধরনের কার্বন যা প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায় এবং তার অণুগুলি লেয়ার আকারে সাজানো থাকে। এটি পেন্সিলে লেখার জন্য ব্যবহৃত হয়।

গ্রাফাইট এর গঠন কি রকম?

গ্রাফাইটের গঠন হল ষষ্ঠ বর্গীয় পর্যায়ের মৌলিক কাঠামো, যেখানে প্রতিটি কার্বন অণু চারটি অন্য কার্বন অণুর সাথে বন্ধন তৈরি করে না, বরং একটি প্লেনে তিনটি অন্য কার্বন অণুর সাথে হেক্সাগোনাল গঠন তৈরি করে।

গ্রাফাইট কেন ভাল পরিবাহক?

গ্রাফাইটের মধ্যে মুক্ত ইলেকট্রন থাকে যা বিদ্যুৎ পরিবাহিতা সহজ করে। এই মুক্ত ইলেকট্রনগুলি গ্রাফাইটের লেয়ারের মধ্যে সহজেই চলাচল করে, যা গ্রাফাইটকে ভাল একটি বিদ্যুৎ পরিবাহী করে তোলে।

গ্রাফাইট কোথায় ব্যবহৃত হয়?

গ্রাফাইট বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত হয়, যেমন: পেন্সিলের লিড, বিদ্যুৎ সেল, লুব্রিক্যান্ট, এবং উচ্চ তাপমাত্রার তাপ নিরোধক হিসেবে।

গ্রাফাইট এবং ডায়মন্ডের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য কি?

গ্রাফাইট এবং ডায়মন্ড উভয়েই কার্বন থেকে তৈরি হয়েছে, কিন্তু তাদের কাঠামোগত পার্থক্য রয়েছে। গ্রাফাইটে কার্বন অণুগুলি লেয়ার আকারে সাজানো থাকে যেখানে ডায়মন্ডে প্রতিটি কার্বন অণু চারটি অন্য কার্বন অণুর সাথে টেট্রাহেড্রাল গঠন তৈরি করে।

Scroll to Top