ডাটা কমিউনিকেশন কী?

আমরা আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় বিভিন্ন রকম যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবহার করে থাকি। যেমন আমরা
কথা বলি এবং শুনি। কথা বলার ফলে একজনের কাছ থেকে আরেকজনের কাছে আমাদের মনে থাকা তথ্যটি পৌঁছে যায়।

আমরা দূরে কোথাও যোগাযোগ করার জন্য টেলিফোন অথবা ডাক ব্যবহার করি। সংবাদ জানার জন্য টেলিভিশন দেখি। এই সবই এক স্থান থাকে আরেক স্থানে তথ্য স্থানান্তর করছে।

একইভাবে কম্পিউটারের সাহায্যেও তথ্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠানো যায়। ডাটা কমিউনিকেশন হল তথ্যকে এক স্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তর করার সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি। এটা কম্পিউটার বা যেকোনো ডিভাইস হতে অন্য আরেকটি কম্পিউটার বা যেকোনো ডিভাইসের মধ্যে হতে পারে।

ধরা যাক কোনো ব্যক্তি তার অফিসের আরো কয়েক জনের কাছে একটি চিঠি পাঠাতে চান। সে প্রথমে তার
কম্পিউটারে চিঠিটি লিখবে। এই কম্পিউটারটি যদি ইন্টারনেটের (তথ্য যোগাযোগ মাধ্যম) সাথে যুক্ত থাকে
তাহলে সে মিনিটের মধ্যে তার চিঠিটি সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারবে।

অন্যরা ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়ে চিঠিটি কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইস দিয়ে পড়তে পারবে। অর্থাৎ ভৌগোলিক অবস্থান যত দূরে বা কাছে হোক চিঠি বা ফাইল মুহূর্তেই আরেকজনের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে যদি তারা কমিউনিকেশন চ্যানেলের সাথে কোনো মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে।

আজকের ই-মেইলের মত আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্ভব হয়েছে কেবল কম্পিউটার নেটওয়ার্কের উদ্ভবের ফলে। আর এই নেটওয়ার্ক হল কম্পিউটারের ডেটা কমিউনিকেশন ব্যবস্থা।

ডেটা কমিউনিকেশন কী?

ডেটা কমিউনিকেশন হল তথ্যকে এক স্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তর করার সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি

Scroll to Top