তৎসম শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কী?

তৎসমের সন্ধি বিচ্ছেদ হল “তৎ + সম”।

তৎসম শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কী?

এখন এই বিষয়ে আরেকটু বিস্তারিত ভাবে বলি। বাংলা ভাষায় “তৎসম” শব্দটি দুইটি ছোট শব্দের মিলনে তৈরি হয়েছে। এখানে, “তৎ” মানে হলো “সেই” এবং “সম” মানে “সমান”। এই দুইটি শব্দ মিলে “তৎসম” শব্দটির অর্থ দাঁড়ায়, সেই ভাষার সমান বা সেই ভাষা থেকে আগত শব্দ। এর মাধ্যমে বোঝানো হয় সেসব শব্দ যেগুলো সংস্কৃত থেকে খুব অল্প পরিবর্তন বা কোনো পরিবর্তন ছাড়াই বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয়।

উদাহরণ দিয়ে বুঝাই, যেমন “মাতৃ” শব্দটি সংস্কৃত থেকে এসে বাংলায় তেমনি “মা” বা “মাতা” হিসাবে ব্যবহৃত হয়, এবং তার মানে অপরিবর্তিত থাকে। এই প্রকারের শব্দগুলোকে আমরা “তৎসম” শব্দ বলি।

তৎসম শব্দ কি?

তৎসম বলতে আমরা সেই সব বাংলা শব্দকে বুঝি যা সংস্কৃত থেকে প্রায় অপরিবর্তিত রূপে এসেছে। এগুলো ভাষার মধ্যে সরাসরি ধার করা শব্দ।

তৎসম শব্দের উদাহরণ কী কী?

তৎসম শব্দের কিছু উদাহরণ হল “কর্ম”, “বিদ্যা”, “মাতৃ”, “পিতৃ” ইত্যাদি। এগুলো সবই সংস্কৃত থেকে এসেছে এবং বাংলায় ব্যবহৃত হয়।

তৎসম এবং তদ্ভব শব্দের মধ্যে পার্থক্য কি?

তৎসম শব্দ হল সেই শব্দ যা সংস্কৃত থেকে প্রায় অপরিবর্তিত রূপে বাংলা ভাষায় এসেছে, যেমন “মাতৃ”, “পিতৃ”। অন্যদিকে, তদ্ভব শব্দগুলো সংস্কৃত থেকে এসে বাংলা ভাষায় রূপ, উচ্চারণ অথবা অর্থে কিছুটা পরিবর্তন সহকারে গৃহীত হয়, যেমন “মা”, “বাপ”।

কেন তৎসম শব্দ শেখা গুরুত্বপূর্ণ?

তৎসম শব্দ শেখা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ভাষার শুদ্ধতা এবং সাহিত্যিক রীতির ব্যবহারে সমৃদ্ধি আনে। এছাড়াও, এগুলি শেখা ভাষার উৎস এবং ইতিহাস বুঝতে সাহায্য করে।

বাংলা ভাষায় তৎসম শব্দের প্রভাব কেমন?

বাংলা ভাষায় তৎসম শব্দের প্রভাব অত্যন্ত গভীর। এগুলি ভাষাকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে এবং বাংলা সাহিত্যে একটি শুদ্ধ এবং উচ্চতর মানের ভাষার ব্যবহার সুনিশ্চিত করে।

Scroll to Top