অকৃতকার্য দরখাস্ত হল এমন একটি আবেদন যা কোনো কাজ বা উদ্দেশ্য সফলভাবে সম্পন্ন হয়নি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
তুমি বর্তমানে কী করছো?
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
চলো, একটি সহজ উদাহরণ দিয়ে বুঝাই। ধরো, তুমি একটি স্কুলে পড়ো এবং তোমার একটি পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষাটি খুব কঠিন ছিল, এবং তুমি ভালো করতে পারোনি। তোমার শিক্ষক তোমার পরীক্ষার খাতায় লিখলেন, “অকৃতকার্য”। এটা মানে হল, তুমি সেই পরীক্ষায় পাশ করতে পারোনি বা তোমার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়নি।
এখানে “দরখাস্ত” শব্দটি বাংলায় আবেদন বা অনুরোধ বুঝায়। তাহলে, “অকৃতকার্য দরখাস্ত” বলতে আমরা এমন একটি আবেদন বা অনুরোধকে বুঝাতে পারি যা কোনো কারণে সফল হয়নি বা যার লক্ষ্য পূরণ হয়নি। যেমন, তুমি যদি কোনো ক্লাবে যোগ দিতে চাও এবং তোমার আবেদন গ্রহণ করা হয়নি, তুমি তাকে “অকৃতকার্য দরখাস্ত” বলতে পারো।
এই ধারণাটি সব ধরনের কাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যেখানে কোনো লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থতা আসে। এটি শিখতে বা কাজ করতে গিয়ে সবাই কখনো না কখনো ব্যর্থ হয়ে থাকে, কিন্তু মুখ্য কথা হল, আমরা সেই ব্যর্থতা থেকে শিখে এগিয়ে চলি।
অকৃতকার্য দরখাস্ত কী?
অকৃতকার্য দরখাস্ত হলো একটি নথি বা আবেদন যা কোনো ছাত্র বা ছাত্রী তাদের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর জমা দেয়, যার মাধ্যমে তারা পরীক্ষার পুনর্মূল্যায়ন বা পুনর্পরীক্ষার জন্য অনুরোধ করে।
অকৃতকার্য হলে কী করা উচিত?
যদি কেউ অকৃতকার্য হয়, তাকে উচিত তার শিক্ষক বা শিক্ষিকার সাথে কথা বলা, পুনর্মূল্যায়ন বা পুনর্পরীক্ষার জন্য দরখাস্ত জমা দেওয়া এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো করার জন্য পড়াশোনার উপর বিশেষ মনোনিবেশ করা।
পুনর্মূল্যায়ন এবং পুনর্পরীক্ষার মধ্যে পার্থক্য কী?
পুনর্মূল্যায়ন হলো যখন একজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষার খাতা আবার যাচাই করা হয়, অন্যদিকে পুনর্পরীক্ষা হলো যখন শিক্ষার্থীকে পুনরায় সেই বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হয়।
অকৃতকার্য দরখাস্ত জমা দেওয়ার সময়সীমা কত?
অকৃতকার্য দরখাস্ত জমা দেওয়ার সময়সীমা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভিন্ন হতে পারে; তবে সাধারণত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটি জমা দেওয়া উচিত।
অকৃতকার্য দরখাস্ত জমা দেওয়ার জন্য কী তথ্য প্রয়োজন হয়?
অকৃতকার্য দরখাস্ত জমা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীর নাম, রোল নম্বর, বিষয়ের নাম, পরীক্ষার তারিখ এবং কেন তারা পুনর্মূল্যায়ন বা পুনর্পরীক্ষার জন্য দরখাস্ত করছেন সে বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রয়োজন হয়।