দ্রব ও দ্রাবকের মধ্যে পার্থক্য কী?

দ্রব হলো যে পদার্থটি একটি দ্রাবকে মিশে যায় এবং দ্রাবক হলো যে পদার্থটি অন্য পদার্থকে মিশিয়ে নেয়।

দ্রব এবং দ্রাবকের মধ্যে পার্থক্য কী?

চলো, এ বিষয়ে একটু বিস্তারিত কথা বলি। ধরা যাক, তুমি এক গ্লাস পানি (দ্রাবক) নিয়েছো এবং তাতে চিনি (দ্রব) মিশিয়েছো। এখানে, পানি হচ্ছে দ্রাবক কারণ এটি অন্য পদার্থকে, যেটি এখানে চিনি, নিজের মধ্যে মিশিয়ে নিতে পারে। আর চিনি হচ্ছে দ্রব কারণ এটি পানিতে মিশে গিয়ে এক সমাধান তৈরি করে।

এই উদাহরণের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাচ্ছি, দ্রাবক এমন একটি পদার্থ যা অন্য কিছুকে নিজের মধ্যে মিশিয়ে নিতে পারে এবং দ্রব হলো সেই পদার্থ যা অন্য পদার্থের মধ্যে মিশে যায়। সাধারণত, দ্রাবকের পরিমাণ দ্রবের তুলনায় বেশি হয়।

দ্রব কি?

দ্রব হলো এমন কিছু যা একটি দ্রাবকে মিশে যায়। উদাহরণস্বরূপ, চিনি বা লবণ জলে মিশে গেলে চিনি বা লবণটি দ্রব হয়ে যায়।

দ্রাবক কি?

দ্রাবক হলো এমন একটি মাধ্যম যা অন্য পদার্থকে নিজের মধ্যে মিশিয়ে নিতে পারে। যেমন, জল একটি দ্রাবক যা চিনি বা লবণকে নিজের মধ্যে দ্রবীভূত করে নিতে পারে।

দ্রবণ কি?

দ্রবণ হলো দ্রব এবং দ্রাবকের মিশ্রণ, যেখানে দ্রব সম্পূর্ণরূপে মিশে যায় এবং অভিন্ন একটি মিশ্রণ তৈরি করে। উদাহরণস্বরূপ, চিনি ও জলের মিশ্রণ।

দ্রবণের ধরন কি কি?

দ্রবণের মূলত তিন প্রকার আছে: সত্য দ্রবণ, কলয়ডী দ্রবণ, এবং অবসাদন। সত্য দ্রবণে দ্রব পুরোপুরি মিশে যায়, কলয়ডী দ্রবণে দ্রবের কণা সূক্ষ্ম থাকে কিন্তু পুরোপুরি মিশে যায় না, অবসাদনে বড় দ্রবের কণা দ্রাবকে মিশে থাকে কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তলানিতে জমা হয়।

কিভাবে দ্রবণ তৈরি করা হয়?

দ্রবণ তৈরি করতে হলে প্রথমে একটি দ্রাবক নিতে হবে এবং তার মধ্যে দ্রবকে মিশ্রিত করতে হবে। দ্রবকের পরিমাণ বাড়ানো বা কমানোর মাধ্যমে দ্রবণের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

Scroll to Top