নির্দেশক কাকে বলে

নির্দেশক কাকে বলে এবং কত প্রকার ও কি কি?

প্রিয় পাঠকগণ, আপনি নিশ্চয়ই নির্দেশক কাকে বলে? নির্দেশক কত প্রকার ও কি কি এই সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন। উক্ত বিষয়গুলো জানতে আমাদের আর্টিকেলটি  শেষ পর্যন্ত পড়ুন। 

নির্দেশক কি

বিজ্ঞান বিভাগের অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে নির্দেশক। নির্দেশকের  মাধ্যমে বিভিন্ন বস্তুর আয়তন মাত্রাবৃত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে কোন দ্রবণের নিরপেক্ষ প্রকৃতি নির্দেশ করে থাকে। সাধারণ ভাষায় যেসব পদার্থ নিজের রং পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বস্তুর এসিড বা ক্ষারক কোনটি নির্দেশ করে না তখন তাঁকে নির্দেশক বলে। যেমন, লিটমাস, ফেফথ্যালিন, মিথাইল অরেঞ্জ, মিথাইল রেড ইত্যাদি। 

তবে নির্দেশক সম্পর্কে বিভিন্ন রসায়নবিজ্ঞান বিভিন্ন সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। যে-সকল পদার্থ নিজেদের বর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে আয়তনিক বিশ্লেষণে রাসায়নিক ক্রিয়ার সমাপ্তি বিন্দু নির্দেশ করে এবং বর্ণ পরিবর্তন দ্বারা দ্রবণের আসিডিয় বা ক্ষারীয় অথবা কখনো বা নিরপেক্ষ প্রকৃতি নির্দেশ করতে পারে সেই পদার্থগুলিকে নির্দেশেক বলা হয়। 

নির্দেশক কাকে বলে

নির্দেশক কত প্রকার ও কি কি

নির্দেশকের কাজ হল কোনো রাসায়নিক পদার্থে প্রদত্ত দ্রবণটি অ্যাসিডিক, ক্ষারীয়, নিরেপক্ষ কিনা তা রং এর পরিবর্তন দেখিয়ে শনাক্ত করা হয়। বিজ্ঞানের ভাষায় নির্দেশক সাধারণত তিন প্রকার। যথা, অম্ল ক্ষারক নির্দেশক, জারন বিজারন নির্দেশক ও শোষণ নির্দেশক। 

১. অম্ল ক্ষারক নির্দেশকঃ যেসব রাসায়নিক পদার্থ অম্ল–ক্ষারক প্রশমন বিক্রিয়ায় উপস্থিত থেকে নিজ বর্ণপরিবর্তনের মাধ্যমে বিক্রিয়ায় শেষবিন্দু নির্দেশ করে তাকে অম্ল ক্ষারক নির্দেশক বলে।

২. জারন বিজারন নির্দেশকঃ জারণ বিজারণ নিদের্শক হল অংশগ্রহণকারী পদার্থ দুটির যে কোন একটির প্রমাণ দ্রবণের বা জ্ঞাত ঘনমাত্রার দ্রবণের নির্দিষ্ট আয়তনের সাথে অন্যটির অজানা ঘনমাত্রার দ্রবণ ধীরে যোগ করা হয় এবং সমাপ্তি বিন্দুতে আয়তন নির্ণয় করা হয়।

৩. শোষণ নির্দেশকঃ যে পদার্থ কোন একটি দ্রবণের নির্দিষ্ট আয়তন এর সাথে অন্য ঘনমাত্রার দ্রবণ শোষণ করে পৃথক কিছু নির্দেশ করে তাকে শোষণ নির্দেশক বলে। 

আরো জানতে দেখুন…

বাংলা ভাষার আদি নিদর্শনের নাম কি

1 ভরি সমান কত গ্রাম

পৃথিবীর ভর কত

নির্দেশকের বৈশিষ্ট্য

নিচে নির্দেশকের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কিছু উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো। যেমন, 

১. নির্দেশকের বর্ণ উজ্জ্বল হতে হবে। 

২. নির্দেশকের বর্ণ স্থায়ী হতে হবে।

৩. ভিন্ন ভিন্ন pH এ ভিন্ন ভিন্ন বর্ণ হবে। 

৪. পদার্থের দ্রবণের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ্য করা যাবে। 

৫. নির্দেশকটির বর্ণ পরিবর্তন টাইট্রেশনের ঠিক সমাপ্তি বিন্দুতে হওয়া উচিত। 

আশা করি আপনারা আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে নির্দেশক সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছেন। আমাদের পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে শেয়ার করে, তথ্যগুলো অন্যকে সংগ্রহ করার সুযোগ করে দিবেন। 

নির্দেশক সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

নির্দেশক বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ  যেসব পদার্থ নিজেদের বর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে কোনো দ্রবণের অ্যাসিডীয় বা ক্ষারকীয় প্রকৃতি নির্দেশ করে এবং আয়তনিক বিশ্লেষণে বিক্রিয়ার সমাপ্তি বিন্দু বা শেষ বিন্দু নির্দেশ করে, তাদেরনির্দেশক বলে। যেমন, লিটমাস কাগজ, মিথাইল অরেঞ্জ ইত্যাদি।

মিথাইল অরেঞ্জ কেন ব্যাবহার করা হয়?

উত্তরঃ বিক্রিয়াটি সম্পূর্ণ শেষে প্রশমন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত বিক্রিয়াটি ধীর গতিতে চলতে থাকে এবং pH এর মান 7 এ পৌছার পর 1 ফোঁটা এসিড যোগ করা হলে pH এর মান দ্রুত 7 থেকে 3.5 এ পৌছায়। তাই এক্ষেত্রে pH পরিসর হল 3.5 – 7। এ পরিসরে মিথাইল অরেঞ্জ হচ্ছে উৎকৃষ্ট নির্দেশক। কারণ এর pH পরিসর এ সীমানার মধ্যে থাকে।

নির্দেশক কয় প্রকার কি কি?

উত্তরঃ নির্দেশক দুই প্রকার: পদাশ্রিত নির্দেশক ও শব্দাশ্রিত নির্দেশক।

একটি নির্দেশকের নাম কি?

উত্তরঃ নির্দেশক হল এমন পদার্থ যা প্রদত্ত পদার্থটি অ্যাসিড বা ক্ষার কিনা তা সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। প্রাকৃতিক: এই নির্দেশকগুলি উদ্ভিদের মতো প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া যায়। হলুদ, লিটমাস, জবাফুলের পাপড়ি ইত্যাদি প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত কিছু নির্দেশক। সর্বাধিক ব্যবহৃত প্রাকৃতিক নির্দেশক হল লিটমাস।

এসিড বেস সূচকের রং পরিবর্তন হয় কেন?

উত্তরঃ  একটি pH সূচকের রঙ পরিবর্তন সূচক থেকে H + আয়নের বিচ্ছিন্নতার কারণে ঘটে। প্রত্যাহার করুন যে পিএইচ সূচকগুলি কেবল প্রাকৃতিক রঞ্জক নয়, দুর্বল অ্যাসিডও। দুর্বল অ্যাসিড সূচকের বিচ্ছিন্নতার কারণে সমাধানটি রঙ পরিবর্তন করে।

Scroll to Top