নৈতিক বিচারের কর্তা কে?

নৈতিক বিচারের কর্তা হলেন সমাজ ও ব্যক্তির বিবেক।

নৈতিক বিচারের কর্তা কে?

নৈতিক বিচার মানে হচ্ছে ঠিক এবং ভুল, ভাল এবং মন্দের মধ্যে পার্থক্য করা। এটি অনেকটা এমন, যেমন তুমি যখন কিছু করবে, তোমার মনে একটা ভাবনা কাজ করে যে, “এটা কি ঠিক হবে?” বা “এই কাজটি করলে অন্য কেউ কষ্ট পাবে কি না?” এরকম ভাবনা আসে তোমার মনের ভেতর থেকে, যাকে বলা হয় বিবেক। এই বিবেক তোমাকে সাহায্য করে ভাল আর মন্দের মধ্যে পার্থক্য করতে।

ধর, তুমি এবং তোমার এক বন্ধু একসাথে খেলছো। হঠাৎ, তুমি অসাবধানবশত তোমার বন্ধুকে আঘাত করে ফেললে। এখন, তোমার মনের ভেতর থেকে একটা কথা আসবে, “আমি ভুল করে ফেলেছি, আমার বন্ধুকে ক্ষমা চাইতে হবে।” এটা হলো তোমার নিজের বিবেকের কথা।

আবার, সমাজের নিয়ম-নীতি আছে, যা বলে দেয় কি ঠিক আর কি ভুল। যেমন, স্কুলে শিক্ষকরা বলে দেন যে পরীক্ষায় নকল করা ভুল। এই নিয়মগুলো মেনে চলাও একরকম নৈতিক বিচারের অংশ।

তো, সংক্ষেপে, নৈতিক বিচারের কর্তা হল তোমার নিজের বিবেক এবং সমাজের নিয়ম-নীতি, যা তোমাকে শেখায় কি ঠিক এবং কি ভুল।

নৈতিক বিচারের কর্তা কাকে বলে?

নৈতিক বিচারের কর্তা হচ্ছেন এমন একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে কিনা নীতি, সঠিক এবং ভুলের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে এবং মানুষের কর্মের উপর মূল্যায়ন করতে পারে।

নৈতিক মূল্য কি?

নৈতিক মূল্য হল সেই ধারণা বা মানদণ্ড যা আমাদের বোঝায় কোন কর্ম বা আচরণ সঠিক এবং কোনটি ভুল। এই মূল্যবোধ আমাদের সমাজ এবং সংস্কৃতি থেকে আসে।

মানুষ কিভাবে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়?

মানুষ তাদের বিবেক, অভিজ্ঞতা, এবং সামাজিক শিক্ষা থেকে প্রাপ্ত নৈতিক মূল্যবোধ ব্যবহার করে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়।

নৈতিক শিক্ষা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

নৈতিক শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি শিশুদের ভালো এবং মন্দের মধ্যে পার্থক্য বোঝা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বিকাশে সাহায্য করে।

নৈতিক বিচার ব্যক্তিগত জীবনে কিভাবে প্রভাব ফেলে?

নৈতিক বিচার ব্যক্তিগত জীবনে সম্পর্ক, কর্মজীবন, এবং সামাজিক আচরণে প্রভাব ফেলে। এটি আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং সমাজে ভালো নাগরিক হওয়ার উপায় নির্ধারণ করে।

Scroll to Top