প্রান্তিক উৎপাদন কী?

প্রান্তিক উৎপাদন হলো একটি অতিরিক্ত ইউনিট উত্পাদন করতে গিয়ে যে পরিমাণ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

প্রান্তিক উৎপাদন কি?

চলো, এবার একটি সহজ উদাহরণের মাধ্যমে প্রান্তিক উৎপাদনের ধারণাটি বুঝার চেষ্টা করি। ধরো, তুমি একটি ছোট বাগানে টমেটো চাষ করছো। প্রথমে তুমি বাগানে ৫ টি টমেটো গাছ লাগালে, সেগুলো থেকে মোট ৫০ টি টমেটো পেলে। এরপরে, তুমি আরও একটি গাছ লাগালে, এবং এবার মোট টমেটোর সংখ্যা হলো ৬৫। এখানে, সেই অতিরিক্ত একটি গাছ লাগানোর ফলে যে ১৫টি টমেটো বাড়তি পেলে, সেটাই হলো প্রান্তিক উৎপাদন।

এই উদাহরণ থেকে বোঝা যায়, প্রান্তিক উৎপাদন আমাদের বোঝায় যে, যখন আমরা উৎপাদনে কিছু বাড়াই, যেমন আরও একটি গাছ লাগাই, তখন কী পরিমাণ উৎপাদন বাড়ে, সেই বাড়তি পরিমাণটাই প্রান্তিক উৎপাদন। এর মাধ্যমে, কোনো ব্যবসা বা উৎপাদনকারী বুঝতে পারে যে, তার উৎপাদনে কোন পর্যায়ে আরও বিনিয়োগ করা লাভজনক হবে এবং কোন পর্যায়ে নয়।

প্রান্তিক উৎপাদন কি?

প্রান্তিক উৎপাদন হল যখন একটি কারখানা বা উৎপাদন ইউনিটে অতিরিক্ত একজন কর্মী বা অতিরিক্ত এক ইউনিট সম্পদ ব্যবহার করা হয়, তখন মোট উৎপাদনে যে পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তাকে প্রান্তিক উৎপাদন বলা হয়।

প্রান্তিক উৎপাদনের গুরুত্ব কি?

প্রান্তিক উৎপাদন একটি উদ্যোগের সম্পদের ব্যবহারের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করে। এটি উৎপাদনের সঠিক মাত্রা নির্ধারণ করতে এবং লাভ সর্বোচ্চ করতে সাহায্য করে।

প্রান্তিক উৎপাদনের হ্রাস কেন ঘটে?

প্রান্তিক উৎপাদনের হ্রাস ঘটে যখন উৎপাদনে ব্যবহৃত সম্পদের পরিমাণ এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছায় যেখানে প্রত্যেক নতুন ইউনিট সম্পদ উৎপাদনে কম পরিমাণে অবদান রাখে, যা প্রান্তিক উৎপাদনের হ্রাসের সিদ্ধান্ত কে প্রদর্শন করে।

কোন উপাদানগুলো প্রান্তিক উৎপাদনে প্রভাব ফেলে?

প্রান্তিক উৎপাদনে প্রভাব ফেলে এমন উপাদানগুলো হল শ্রমিকের দক্ষতা, মেশিনের কার্যকারিতা, কাঁচামালের মান, এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ার দক্ষতা। এই উপাদানগুলোর সমন্বয়ে উৎপাদনের মাত্রা নির্ধারিত হয়।

প্রান্তিক উৎপাদন কি সব সময় ইতিবাচক হয়?

না, প্রান্তিক উৎপাদন সব সময় ইতিবাচক হয় না। যখন উৎপাদনে ব্যবহৃত সম্পদের পরিমাণ অত্যধিক হয়, তখন প্রতিটি নতুন ইউনিট সম্পদ উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, যা প্রান্তিক উৎপাদনের নেতিবাচক মান উৎপন্ন করে।

Scroll to Top