ভাতিজার ফুফুর সম্পত্তিতে সরাসরি অধিকার থাকে না, তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে অধিকার থাকতে পারে।
ফুফুর সম্পত্তিতে ভাতিজার অধিকার কেমন?
আসো, একটু সহজ করে বুঝার চেষ্টা করি। ধরো, তুমি একটি চকলেটের বাক্স পেলে, সেটা তোমার নিজের। কিন্তু যদি তুমি চাও, তোমার বন্ধুদের সাথে সেটা ভাগ করে খেতে। এখানে, চকলেট তোমার সম্পত্তি এবং তুমি সিদ্ধান্ত নিচ্ছো কার সাথে ভাগ করে নিবে।
একইভাবে, ফুফুর সম্পত্তি আসলে ফুফুর নিজের। তিনি যদি তার ইচ্ছায় কোনো উইল (will) বা উপহার (gift) আকারে তার ভাতিজাকে কিছু দেন, তবেই শুধু ভাতিজার সেই সম্পত্তিতে অধিকার থাকবে। তবে আইন অনুযায়ী, ফুফুর মৃত্যুর পর যদি উনি কোনো উইল না ছেড়ে যান এবং তার কোনো সরাসরি উত্তরাধিকারী (যেমন সন্তান বা স্বামী) না থাকে, তবে দূর আত্মীয় হিসেবে ভাতিজার অধিকার আসতে পারে। কিন্তু সাধারণত, ভাতিজাকে ফুফুর সম্পত্তিতে সরাসরি অধিকার পাওয়ার জন্য ফুফুর সিদ্ধান্ত বা উইল থাকা প্রয়োজন।
উদাহরণ হিসাবে, চলো মিনা নামের একজন ফুফুর কথা ভাবি। মিনা আছেন একটি বাড়ি, এবং তিনি চান তার ভাতিজা রহিম এই বাড়িটি পাক। মিনা যদি একটি উইল লিখে যান যেখানে বলা আছে বাড়িটি রহিমের হবে, তবে মিনার মৃত্যুর পর রহিম আইনত সেই বাড়ির মালিক হবে। কিন্তু যদি মিনা কোনো উইল না লেখেন এবং তার নিজের সন্তান বা স্বামী থাকে, তবে সেই বাড়ি আগে তাদেরই প্রাপ্য হবে, রহিমের নয়।
ভাতিজা কি সরাসরি ফুফুর সম্পত্তিতে অধিকার রাখেন?
উত্তর: না, সাধারণত ভাতিজা সরাসরি ফুফুর সম্পত্তিতে অধিকার রাখেন না, কারণ সম্পত্তির উত্তরাধিকার নীতিমালা অনুসারে প্রথমে নিকটতম আত্মীয়দের অধিকার বিবেচনা করা হয়।
ফুফুর মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি কারা পেতে পারে?
উত্তর: ফুফুর মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি প্রথমে তার স্বামী এবং সন্তানেরা পেতে পারে। যদি তারা না থাকে, তবে তার বাবা-মা এবং ভাই-বোনরা পেতে পারে।
সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ম কি সব দেশে একই রকম?
উত্তর: না, সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ম দেশ অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। প্রতিটি দেশের নিজস্ব আইন ও নীতিমালা আছে যা তারা অনুসরণ করে।
যদি ফুফু তার ইচ্ছাপত্রে ভাতিজাকে সম্পত্তি দেওয়ার কথা লিখে যান, তবে কি ভাতিজা সম্পত্তি পাবে?
উত্তর: হ্যাঁ, যদি ফুফু তার ইচ্ছাপত্রে ভাতিজাকে সম্পত্তি দেওয়ার কথা লিখে যান, তবে আইন অনুযায়ী ভাতিজা সম্পত্তি পেতে পারে।
উত্তরাধিকারে সম্পত্তি বণ্টনে সমস্যা হলে কী করা উচিত?
উত্তর: উত্তরাধিকারে সম্পত্তি বণ্টনে সমস্যা হলে তা সমাধানের জন্য আইনি পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং প্রয়োজনে আদালতে মামলা করা যেতে পারে।