বি নেগেটিভ রক্তের মূল্য কত?

বি নেগেটিভ রক্তের দাম সরাসরি কোনো নির্দিষ্ট মূল্য নেই, তবে এর প্রক্রিয়াজাত খরচ থাকতে পারে।

“বি নেগেটিভ রক্তের বর্তমান দাম কী?”

এখন আমরা বিস্তারিত কথা বলি, বি নেগেটিভ (B-) রক্ত খুবই দুর্লভ ধরনের রক্ত যা বিশ্বব্যাপী মাত্র 2% মানুষের শরীরে পাওয়া যায়। এই রক্তের গ্রুপ যাদের আছে, তারা শুধু বি নেগেটিভ রক্তই গ্রহণ করতে পারেন। এই কারণে, এই রক্তের চাহিদা সবসময় বেশি থাকে।

তবে, একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, বেশিরভাগ দেশে রক্ত দান করা একটি স্বেচ্ছাসেবী কাজ এবং এর জন্য কোনো অর্থ প্রদান করা হয় না। তবে, রক্ত সংগ্রহ, পরীক্ষা, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ এবং বিতরণের জন্য কিছু খরচ আসে, যা রোগীর চিকিৎসা বিলে যুক্ত হয়ে থাকে। এর মানে এই নয় যে রক্তের জন্য অর্থ দিতে হয়, বরং এর প্রক্রিয়াজাত ও পরিচালনা খরচ দিতে হয়।

উদাহরণ দিতে গেলে, ধরা যাক তুমি একটি খেলাধুলা করছ, এবং হঠাৎ তুমি পড়ে গিয়ে আঘাত পেলে। ডাক্তার জানালেন, তোমার রক্তের প্রয়োজন। তোমার রক্তের গ্রুপ যদি B- হয়, তাহলে তোমাকে B- রক্ত দিতে হবে। এই রক্ত যোগাড় করা, পরীক্ষা করা, বহন এবং তোমার শরীরে স্থানান্তর করার জন্য যে খরচ হবে, সেটি তোমার চিকিৎসা বিলে যুক্ত হবে। এভাবে রক্তের “দাম” হিসেবে কথা বলা হয়, তবে আসলে এটি রক্তের প্রক্রিয়াজাত ও পরিচালনা খরচ।

বিভিন্ন রক্তের গ্রুপ কি কি?

উত্তর: মূলত চারটি রক্তের গ্রুপ আছে: A, B, AB, এবং O। প্রতিটি গ্রুপের জন্য রেসাস ফ্যাক্টর (Rh) হতে পারে পজিটিভ (+) অথবা নেগেটিভ (-)।

রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কেন গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তর: রক্তের গ্রুপ নির্ণয় গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি রক্তদান, রক্তগ্রহণ, এবং মেডিকেল চিকিৎসায় সঠিক রক্ত মিলানোর জন্য অপরিহার্য। ভুল রক্তের গ্রুপ গ্রহণ করলে গুরুতর প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

রক্তদানের সময় কি কি বিষয় মাথায় রাখা উচিৎ?

উত্তর: রক্তদানের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিৎ: দাতার স্বাস্থ্য অবস্থা, ওজন, বয়স, এবং শেষ রক্তদান থেকে কতদিন গেছে। এছাড়াও, দাতা যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানিখাবার গ্রহণ করেন।

রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ কিভাবে করা হয়?

উত্তর: রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ করা হয় এন্টিজেনএন্টিবডি পরীক্ষার মাধ্যমে। রক্তের নমুনায় বিশেষ ধরনের এন্টিজেন এবং এন্টিবডির উপস্থিতি দেখে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়।

রক্তের গ্রুপ ভিন্ন হলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে?

উত্তর: রক্তের গ্রুপ ভিন্ন হলে রক্তের গ্রহণকারীর শরীরে অ্যান্টিজেন-অ্যান্টিবডি প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে, যা আইমুনোলজিক্যাল রিঅ্যাকশন ঘটায়। এই প্রতিক্রিয়া গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন জ্বর, ক্ষুধামান্ধ্য, বা আরও গুরুতর অবস্থা ঘটাতে পারে।

Scroll to Top