বেজ হলো একটি মৌলিক গাণিতিক ধারণা যা সংখ্যার গ্রুপকে আরো সহজে বোঝাতে সাহায্য করে।
আপনি কি করছেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন?
এখন আসি বিস্তারিত ব্যাখ্যায়। যখন আমরা গাণিতিক সংখ্যা নিয়ে কাজ করি, তখন আমরা সাধারণত দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি (বেজ ১০) ব্যবহার করি। এর মানে হলো, আমাদের গাণনার ভিত্তি হলো ১০। কিন্তু গাণিতে আরও অনেক বেজ আছে, যেমন বেজ ২ (বাইনারি), বেজ ৮ (অক্টাল), এবং বেজ ১৬ (হেক্সাডেসিমাল)।
উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাক: ধরা যাক, তুমি ১০টি আপেল কিনেছো। এখানে, ১০ সংখ্যাটি দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে আছে, অর্থাৎ বেজ ১০। এখন, যদি আমরা এই একই সংখ্যাকে বাইনারি (বেজ ২) পদ্ধতিতে প্রকাশ করি, তাহলে তা হবে ১০১০। এখানে, সংখ্যাটি দেখতে ভিন্ন মনে হলেও, মান একই রয়েছে।
বেজ ব্যবহার করে আমরা গাণিতিক সংখ্যাগুলির বিভিন্ন প্রকারের প্রতিনিধিত্ব দেখতে পাই, যা বিভিন্ন ধরনের গাণিতিক ও প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধানে খুবই সাহায্যকর।
বেজ কী?
বেজ হলো এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যা অম্লের বিপরীত বৈশিষ্ট্য রাখে। বেজ পানিতে দ্রবীভূত হলে হাইড্রক্সাইড আয়ন (OH-) উৎপাদন করে।
বেজগুলি সাধারণত কিসের সাথে প্রতিক্রিয়া করে?
বেজগুলি সাধারণত অম্লের সাথে প্রতিক্রিয়া করে লবণ এবং জল উৎপাদন করে, এই প্রতিক্রিয়াকে নিরপেক্ষীকরণ প্রতিক্রিয়া বলে।
বেজের কিছু উদাহরণ কী কী?
বেজের উদাহরণ হলো সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড (NaOH), ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড (Ca(OH)2) এবং অ্যামোনিয়াম হাইড্রক্সাইড (NH4OH)।
বেজ কিভাবে চেনা যায়?
বেজ সাধারণত লাল লিটমাস কাগজকে নীল করে এবং তাদের পানিতে দ্রবীভূত সমাধান পিচ্ছিল অনুভূত হয়। এছাড়া, বেজ ফিনলফথেলাইন ইন্ডিকেটরকে গোলাপি বা বেগুনি করে দেয়।
বেজের ব্যবহার কী কী?
বেজের ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে সাবান এবং ডিটারজেন্ট তৈরি, খাবারের শিল্পে ব্যবহার (যেমন চকলেট এবং কোকো উৎপাদনে), এবং মেডিকেল সেক্টরে অ্যান্টাসিড হিসেবে পেটের অম্লতা কমাতে।
