ব্যাসের দৈর্ঘ্য ব্যাসার্ধের দুই গুণ।
ব্যাসের দৈর্ঘ্য ব্যাসার্ধের কত গুণ?
চলো, এই বিষয়টি আরেকটু সহজভাবে বুঝার চেষ্টা করি। ধরো, তোমার কাছে একটি গোলাপি বল আছে। এখন তুমি ওই বলটির ঠিক মাঝখানে একটি বিন্দু অঙ্কন করেছো, যেটাকে আমরা কেন্দ্র বলতে পারি। এখন যদি তুমি ওই কেন্দ্র বিন্দু থেকে বলের এক প্রান্ত পর্যন্ত একটি সোজা রেখা অঙ্কন করো, তাহলে সেই রেখাটির দৈর্ঘ্যকে আমরা ব্যাসার্ধ বলি।
এবার, যদি তুমি বলের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত, ঠিক কেন্দ্র বিন্দু দিয়ে একটি সোজা রেখা অঙ্কন করো, তাহলে সেই রেখাটির দৈর্ঘ্যকে আমরা ব্যাস বলি। তোমার দেখা যাবে, ব্যাস আসলে দুইটি ব্যাসার্ধের যোগফল, অর্থাৎ ব্যাসার্ধের দুই গুণ।
উদাহরণ দিয়ে বলি, ধরো ব্যাসার্ধের দৈর্ঘ্য 5 সেমি। তাহলে ব্যাসের দৈর্ঘ্য হবে 5 সেমি x 2 = 10 সেমি। এটা ঠিক একইরকম যেন তুমি দুইটি একই দৈর্ঘ্যের পেন্সিল পাশাপাশি রেখেছো, তাদের মোট দৈর্ঘ্য হবে একটি পেন্সিলের দ্বিগুণ।
ব্যাস ও ব্যাসার্ধ কি?
ব্যাস হলো কোনো বৃত্তের সবচেয়ে বড় সোজা রেখা, যা বৃত্তের মাঝ দিয়ে গিয়ে দুই প্রান্ত বিন্দুতে স্পর্শ করে। ব্যাসার্ধ হলো বৃত্তের কেন্দ্র থেকে পরিধি পর্যন্ত অংশের দৈর্ঘ্য, যা ব্যাসের অর্ধেক।
ব্যাস ও ব্যাসার্ধের মধ্যে সম্পর্ক কি?
ব্যাস সবসময় ব্যাসার্ধের দ্বিগুণ হয়। অর্থাৎ, যদি ব্যাসার্ধের দৈর্ঘ্য হয় র, তাহলে ব্যাসের দৈর্ঘ্য হবে ২র।
বৃত্তের ক্ষেত্রফল কিভাবে নির্ণয় করা হয়?
বৃত্তের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করা হয় πr² ব্যবহার করে, যেখানে π (পাই) এর মান ৩.১৪১৫৯ (প্রায়) এবং r হল বৃত্তের ব্যাসার্ধের দৈর্ঘ্য।
বৃত্তের পরিধি কিভাবে নির্ণয় করা হয়?
বৃত্তের পরিধি নির্ণয় করা হয় ২πr ব্যবহার করে, যেখানে π (পাই) এর মান ৩.১৪১৫৯ (প্রায়) এবং r হল বৃত্তের ব্যাসার্ধের দৈর্ঘ্য।
যদি একটি বৃত্তের ব্যাস ১০ সেন্টিমিটার হয়, তাহলে তার ব্যাসার্ধ কত হবে?
যদি ব্যাস হয় ১০ সেন্টিমিটার, তাহলে ব্যাসার্ধ হবে ৫ সেন্টিমিটার, কারণ ব্যাসার্ধ ব্যাসের অর্ধেক।