ভাজ্য এর সূত্র হল ভাজ্য = ভাজক × ভাগফল + ভাগশেষ।
ভাজ্যের সূত্র কি?
এবার আমরা এই সূত্রটি সহজ ভাবে বুঝার চেষ্টা করব। ধরো, তুমি একটি বড় চকোলেট বার নিয়েছ, এবং তুমি চাও তোমার ৫ জন বন্ধুর সাথে সেটা ভাগ করে নিতে। এখানে চকোলেট বারটি হল ভাজ্য, এবং তুমি যেই ৫ জনের সাথে ভাগ করতে চাচ্ছো তারা হল ভাজক। যদি সবাই সমান অংশ পায়, এবং কিছুই বাকি না থাকে, তাহলে ভাগশেষ হবে ০।
একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝি, ধরো ২৫ টি চকোলেট আছে এবং তুমি তা ৫ জনের সাথে ভাগ করতে চাও। এখানে, ২৫ হল ভাজ্য, ৫ হল ভাজক। যখন তুমি ২৫ কে ৫ দিয়ে ভাগ করো, প্রত্যেকে ৫টি করে চকোলেট পাবে, যা হল ভাগফল, এবং কিছুই বাকি থাকবে না, অর্থাৎ ভাগশেষ হবে ০। তাহলে আমাদের সমীকরণ দাঁড়ায়, ভাজ্য (২৫) = ভাজক (৫) × ভাগফল (৫) + ভাগশেষ (০)।
এই সূত্রটি দিয়ে আমরা যেকোনো ভাগ করার সমস্যার সমাধান করতে পারি, যেখানে আমরা জানতে চাই ভাজ্য, ভাজক, ভাগফল এবং ভাগশেষ কী হবে।
ভাজ্য কাকে বলে?
ভাজ্য হলো সেই সংখ্যাটি যেটিকে আমরা ভাগ করতে চাই। যেমন, ১০ কে ২ দিয়ে ভাগ করলে, এখানে ১০ হচ্ছে ভাজ্য।
ভাগফল কাকে বলে?
ভাগফল হলো ভাজ্য এবং ভাজকের ভাগ করার পর পাওয়া ফলাফল। উদাহরণ, ১০ কে ২ দিয়ে ভাগ করলে, পাওয়া ফলাফল ৫ হচ্ছে ভাগফল।
ভাজক কাকে বলে?
ভাজক হলো সেই সংখ্যা যার দ্বারা ভাজ্যকে ভাগ করা হয়। যেমন, ১০ কে ২ দিয়ে ভাগ করলে, এখানে ২ হচ্ছে ভাজক।
ভাগশেষ কাকে বলে?
ভাগশেষ হলো ভাজ্য এবং ভাজকের ভাগ করার পর বাকি থাকা সংখ্যা। যেমন, ১১ কে ২ দিয়ে ভাগ করলে, পাওয়া ফলাফল ৫ এবং বাকি থাকা ১ হচ্ছে ভাগশেষ।
কোনো সংখ্যাকে শূন্য দ্বারা ভাগ করা যায় কিনা?
কোনো সংখ্যাকে শূন্য দ্বারা ভাগ করা যায় না। কারণ, শূন্য দ্বারা ভাগ করা হলে ভাগফলের মান অনির্দিষ্ট হয়ে যায়, যা গণিতে অবৈধ।