মনিটরিং কী?

মনিটরিং হলো কিছুর উপর নজর রাখা এবং তা যাচাই করা প্রক্রিয়া।

তুমি কি মনিটরিং করছ?

মনিটরিং মানে হলো কোনো কিছুর উপর নজর রাখা, যেমন স্কুলে শিক্ষকরা যেমন ছাত্রদের পড়ালেখা এবং আচরণের উপর নজর রাখেন। ধরো, তুমি একটি গাছের বাগান করেছো এবং তুমি প্রতিদিন গাছগুলোর উপর নজর রাখছো যে তারা সুস্থ আছে কিনা, ঠিক মতো পানি পাচ্ছে কিনা। এখানে, তুমি তোমার গাছগুলোর ‘মনিটরিং’ করছো।

একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝাই, যেমন তোমার স্কুলে একটি পরীক্ষা আছে। স্কুলের শিক্ষকরা চায় নিশ্চিত করতে যে সবাই ঠিক মতো পড়াশোনা করছে এবং কেউ পিছিয়ে না পড়ে যাচ্ছে। তাই তারা নিয়মিত ক্লাস টেস্ট নেয়, ছাত্রদের হোমওয়ার্ক চেক করে এবং প্রয়োজনে অতিরিক্ত সাহায্য করে। এখানে শিক্ষকরা ছাত্রদের পড়াশোনার উপর ‘মনিটরিং’ করছেন যাতে সবাই ভালো করতে পারে।

মনিটরিং শুধু স্কুল বা গাছের বাগানে না, এটি অনেক জায়গায় হয়। যেমন, একজন ডাক্তার রোগীর স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখেন যাতে তিনি সুস্থ থাকেন, অথবা একটি কোম্পানি তার পণ্যের মানের উপর নজর রাখে যাতে ক্রেতারা সন্তুষ্ট হন। মনিটরিং সাহায্য করে সমস্যাগুলো দ্রুত চিহ্নিত করতে এবং তাদের সমাধান করতে।

মনিটরিং এর অর্থ কি?

মনিটরিং হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য বা কার্যক্রম সাবধানে দেখা হয় এবং নজর রাখা হয় যাতে সময়ের সাথে সাথে সেগুলোর গুণগত মান বা অগ্রগতি বুঝা যায়।

মনিটরিং কেন জরুরি?

মনিটরিং জরুরি কারণ এর মাধ্যমে আমরা যেকোনো কার্যক্রম বা প্রক্রিয়ার উন্নতি ও ত্রুটি সনাক্ত করতে পারি। এতে করে আমরা সমস্যা শনাক্ত করে তার সমাধান খুঁজে বের করতে পারি।

মনিটরিং কিভাবে সাহায্য করে?

মনিটরিং সাহায্য করে বিভিন্ন কারণে। এটি আমাদের উন্নতির দিক এবং সম্ভাব্য সমস্যার সংকেত উভয়ই ধরতে সাহায্য করে। ফলে আমরা সময় মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারি।

মনিটরিং এর পদ্ধতি কি কি?

মনিটরিং এর বিভিন্ন পদ্ধতি আছে যেমনঃ ম্যানুয়াল মনিটরিং, যেখানে মানুষ সরাসরি নজরদারি করে এবং অটোমেটেড মনিটরিং, যেখানে কম্পিউটার বা অন্য যন্ত্রপাতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ করে এবং বিশ্লেষণ করে।

মনিটরিং এর উপকারিতা কি কি?

মনিটরিং এর উপকারিতা অনেক। এটি আমাদের কার্যক্রমের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে, সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে, এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করে।

Scroll to Top