মনোবিজ্ঞান কি

মনোবিজ্ঞান কি ও মনোবিজ্ঞানের জনক কে?

প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা নিশ্চয়ই মনোবিজ্ঞানের উৎপত্তি ? মনোবিজ্ঞান কাকে বলে ও মনোবিজ্ঞানের জনক কে? ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন। আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। 

মনোবিজ্ঞানের উৎপত্তি

গ্রিক শব্দ সাইকি’ (Psyche) এবং ‘লোগোস’ (Logos) শব্দ থেকে ইংরেজি সাইকোলজি  (Psychology শব্দের উৎপত্তি। সাইকি অর্থ হল আত্মা এবং লোগোস অর্থ হল বিজ্ঞান।  প্রাচীন দার্শনিকেরা আত্মা ও মনকে একই অর্থে ব্যবহার করতেন। তাই বলা হয় মনোবিজ্ঞানের উৎস দর্শনশাস্ত্র।  

গ্রীক দার্শনিক অ্যারিস্টটল, প্লেটো এবং সক্রেটিস তাঁদের লেখায় আত্ম বা মন সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। সর্বপ্রথম অ্যারিস্টটল তাঁর De Anima (On the Soul) নামক গ্রন্থে ‘সাইকোলজি’ সম্পর্কে বিশদভাবে লিখেন। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে মনোবিজ্ঞান দর্শনশাস্ত্র থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন শাখা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৮৭৯ সালে মনোবিজ্ঞানের গবেষণায় লক পরীক্ষা শুরু হয়। 

মনোবিজ্ঞান কি

মনোবিজ্ঞান কাকে বলে

এক কথায় মনোবিজ্ঞান হলো জীবিত জীবের আচরণ, ব্যক্তিবিশেষের কার্যকলাপ সম্পর্কিত বিজ্ঞান। মনোবিজ্ঞান হলো একজন মানুষের মানসিক প্রক্রিয়া ও আচরণ সম্পর্কিত বিদ্যা ও অধ্যায়ন। এটি বিজ্ঞানের একটি তান্ত্রিক ও ফলিত শাখা যাতে মানসিক কর্মপ্রক্রিয়া ও কারণসমূহ নিয়ে বিজ্ঞান অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করে থাকে। তবে বিভিন্ন মনোবিজ্ঞানী মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে বিভিন্ন সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। 

গ্রীক দার্শনিক প্লেটো, এরিস্টটল ও মাহের মনোবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন মনোবিজ্ঞান হলো আত্মাসম্পর্কীয় বিজ্ঞান। মনোবিজ্ঞানী মাহের বলেছেন, মনোবিজ্ঞান হলো দর্শনের সেই শাখা যা মানুষের আত্মা বা মন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করো। 

অন্যদিকে মনোবিজ্ঞানী এঞ্জেল বলেছেন,  মনোবিজ্ঞান হল চেতনার বিজ্ঞান। আবার মনোবিজ্ঞানে ওয়াটসন বলেছেন, মনোবিজ্ঞান হলো আচরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান। মনোবিজ্ঞান হল এমন একটি বিজ্ঞান যা মানুষের মনোবোধ, মনোবিচার, মনোবিকল্প ও মনোবিশৃঙ্খলার ব্যাপারে বিশেষ ক্ষেত্রে গবেষণা করে। এটি মানুষের মনোবোধের প্রক্রিয়া সম্পর্কে কৃত্রিম ত্রুটি প্রতিফলন, বৈজ্ঞানিক মনোবিজ্ঞান ও প্রতিবন্ধীতা সম্পর্কে গবেষণা করে।

মনোবিজ্ঞানের জনক কে

সর্বপ্রথম অ্যারিস্টটল তাঁর De Anima (On the Soul) নামক গ্রন্থে  মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে বিশ্লেষণ করে মানুষের মাঝে প্রথম প্রকাশ করে। মনোবিজ্ঞানের জনক ছিলেন অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা শহরের শারীরবিজ্ঞানী ডাঃ সিগমুন্ড ফ্রয়েড। মনোবিজ্ঞান হচ্ছে মানুষ ও প্রাণীর আচরণ ও মানসিক ক্রিয়াকলাপের বিজ্ঞান। এটি একটি খাঁটি বিজ্ঞান। এটি মানুষের আচরণ ও মনস্তাত্ত্বিক সমস্য বিশ্লেষণের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান।

আরো দেখুন…

যুক্তিবিদ্যা জনক কে?

পৃথিবীর ভর কত

জাযাকাল্লাহু খাইরান মানে কি

অপটিক্যাল ফাইবার কেবল কাকে বলে?

মনোবিজ্ঞানের প্রধান শাখা কয়টি

মনোবিজ্ঞান যেহেতু মনের বিজ্ঞান। তাই মনোবিজ্ঞান বিজ্ঞান হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের ক্ষেত্রে মনোবিজ্ঞানীরা মনোবিজ্ঞানকে কয়েকটি শাখায় বিভক্ত করেছে। চলুন দেখে নেয়া যাক মনোবিজ্ঞানের প্রধান শাখা গুলো সম্পর্কে। যেমন, 

  • সাধারণ মনোবিজ্ঞান,
  •  অস্বভাবি মনোবিজ্ঞান,
  • শিশু মনোবিজ্ঞান,
  •  চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান,
  •  নির্দেশনা মনোবিজ্ঞান, 
  • প্রাণি মনোবিজ্ঞান,
  •  বিকাশমূলক মনোবিজ্ঞান, 
  • পরীক্ষণ মনোবিজ্ঞান,
  •  শিল্প মনোবিজ্ঞান, 
  • শারীরবৃত্তীয় মনোবিজ্ঞান, 
  • সমাজ মনোবিজ্ঞান, 
  • মানুষ পরিমাপক মনোবিজ্ঞান, 
  • শিক্ষা মনোবিজ্ঞান ইত্যাদি।  

আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে, তা অবশ্যই আমাদের কাছে কমেন্ট করে জানাবেন। আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভাল লেগে থাকলে আপনার আশেপাশের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শেয়ারকে শেয়ার করে অন্যকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করার সুযোগ করে দিবেন।

মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

মনোবিজ্ঞানের উৎপত্তি কোথায়? 

উত্তরঃ গ্রিক শব্দ সাইকি’ (Psyche) এবং ‘লোগোস’ (Logos) শব্দ থেকে ইংরেজি সাইকোলজি  (Psychology শব্দের উৎপত্তি। সাইকি অর্থ হল আত্মা এবং লোগোস অর্থ হল বিজ্ঞান। 

মনোবিজ্ঞানের জনক কে? 

উত্তরঃ মনোবিজ্ঞানের জনক হলেন শারীরবিজ্ঞানী ডাঃ সিগমুন্ড ফ্রয়েড।

মনোবিজ্ঞানের জন্ম কত সালে? 

উত্তরঃ মনোবিজ্ঞানের জন্ম ১৮৭৯ সালে।

১৯৫৪ সালে মনোবিজ্ঞানের কোন ক্ষেত্রটি শুরু হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৯৫৪ সালে মনোবিজ্ঞানের মানবতাবাদী মনোবিজ্ঞান ক্ষেত্রটি শুরু হয়েছিল।

সাইকোলজিস্ট কবে শুরু হয়? 

উত্তরঃ ১৯শতকে কাজ করা দুজন ব্যক্তিকে সাধারণত বিজ্ঞান এবং একাডেমিক শৃঙ্খলা হিসাবে মনোবিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে কৃতিত্ব দেওয়া হয় যা দর্শন থেকে আলাদা ছিল। তাদের নাম ছিল উইলহেম ওয়ান্ড এবং উইলিয়াম জেমস।

Scroll to Top