সামন্তরিকের পরিসীমা নির্ণয়ের সূত্র হল: (পরিসীমা = 2(দৈর্ঘ্য + প্রস্থ))।
সামান্তরিকের পরিসীমা নির্ণয়ের সূত্র কি?
এখন, এই সূত্রটি সম্পর্কে আমরা একটু বিস্তারিত জানবো। ধরা যাক, তুমি একটি বাগানের চারপাশে বেড়া দিতে চাও। এই বাগানটি একটি সামন্তরিক আকারের। এখানে, বাগানের লম্বা ও চওড়া হলো দুই প্রধান দিক। তুমি যদি জানতে চাও যে, বেড়া দেয়ার জন্য তোমার কতো মিটার বেড়া লাগবে, তাহলে তুমি এই সূত্রটি ব্যবহার করে সেই দৈর্ঘ্য বের করতে পারো।
উদাহরণ: ধরা যাক, তোমার বাগানের দৈর্ঘ্য হল 10 মিটার এবং প্রস্থ হল 6 মিটার। এখন, আমরা সূত্রটি ব্যবহার করব।
পরিসীমা = (2(10 + 6) = 2 times 16 = 32) মিটার।
এই উদাহরণে, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, তোমার বাগানের চারপাশে বেড়া দিতে হলে তোমার ৩২ মিটার বেড়া লাগবে। এই সূত্রটি তোমাকে এই ধরনের নির্দিষ্ট পরিমাপ করার কাজে সাহায্য করে।
সামন্তরিকের পরিসীমা নির্ণয়ের সূত্র কি?
উত্তর: সামন্তরিকের পরিসীমা নির্ণয়ের সূত্র হল: ২(দৈর্ঘ্য + প্রস্থ)। এখানে, দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ উভয়ই সামন্তরিকের দুই বিপরীত বাহুর দৈর্ঘ্য।
যদি একটি সামন্তরিকের দৈর্ঘ্য হয় ৮ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থ হয় ৪ সেন্টিমিটার, তাহলে এর পরিসীমা কত?
উত্তর: এখানে, সামন্তরিকের পরিসীমা হবে ২(৮ + ৪) = ২(১২) = ২৪ সেন্টিমিটার।
সামন্তরিক এবং আয়তক্ষেত্রের পরিসীমা নির্ণয়ের সূত্রে পার্থক্য কি?
উত্তর: সামন্তরিক এবং আয়তক্ষেত্রের পরিসীমা নির্ণয়ের সূত্রে কোনো পার্থক্য নেই; উভয়ের জন্যই সূত্র হল: ২(দৈর্ঘ্য + প্রস্থ)।
একটি সামন্তরিকের দৈর্ঘ্য যদি এর প্রস্থের দ্বিগুণ হয়, এবং এর পরিসীমা যদি হয় ৩০ সেন্টিমিটার, তাহলে দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ কত?
উত্তর: ধরা যাক, প্রস্থ = x সেন্টিমিটার, তাহলে দৈর্ঘ্য = 2x সেন্টিমিটার। সুতরাং, ২(২x + x) = ৩০।
অতঃপর, ৬x = ৩০ ➔ x = ৫। এর মানে, প্রস্থ = ৫ সেন্টিমিটার এবং দৈর্ঘ্য = ১০ সেন্টিমিটার।
পরিসীমা নির্ণয়ের সূত্র ছাড়াও সামন্তরিকের কোন বৈশিষ্ট্য জানা গেলে তার পরিসীমা নির্ণয় করা যায়?
উত্তর: সামন্তরিকের পরিসীমা নির্ণয় করতে গেলে প্রায়শই দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ জানা প্রয়োজন। তবে, যদি সামন্তরিকের একটি বাহুর দৈর্ঘ্য এবং কোনও কোণের মান জানা থাকে, তবে ত্রিকোণমিতির সাহায্যে অন্য বাহুর দৈর্ঘ্য নির্ণয় করে পরিসীমা জানা সম্ভব হতে পারে। এটি করতে গেলে অবশ্যই গাণিতিক জ্ঞান এবং ত্রিকোণমিতির প্রয়োগ আবশ্যক।
