সামান্তরিকের উচ্চতা নির্ণয়ের সূত্র হল: উচ্চতা = ক্ষেত্রফল ÷ ভূমির দৈর্ঘ্য।
সামান্তরিকের উচ্চতা নির্ণয়ের সূত্র কী?
এখন আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। সামান্তরিক একটি চারকোণা আকৃতি যার দুই দুইটা বিপরীত বাহু সমান এবং সমান্তরাল। ধরা যাক, তুমি একটি বইয়ের পাতা দেখছো, এটা একটি সামান্তরিকের উদাহরণ হতে পারে।
একটি সামান্তরিকের উচ্চতা বুঝতে গেলে আমরা একে এমন একটি উল্লম্ব রেখা দিয়ে বুঝতে পারি যা একটি বাহু থেকে অপর বাহু পর্যন্ত যায়। এই উল্লম্ব রেখাটিই হল উচ্চতা। এখন, যদি তুমি সামান্তরিকের ক্ষেত্রফল জানো এবং একটি বাহুর দৈর্ঘ্য জানো, তাহলে তুমি সহজেই উচ্চতা বের করতে পারবে। ক্ষেত্রফল ভাগ করতে হবে সেই বাহুর দৈর্ঘ্য দিয়ে যেটা তুমি ব্যবহার করছো মেপের জন্য।
উদাহরণ: ধরো, একটি সামান্তরিকের ক্ষেত্রফল হল 120 বর্গ সেন্টিমিটার এবং এর একটি বাহুর দৈর্ঘ্য হল 15 সেন্টিমিটার। এখন, উচ্চতা বের করতে চাইলে আমরা ক্ষেত্রফলকে ভূমির দৈর্ঘ্য দিয়ে ভাগ করব: 120 ÷ 15 = 8। তাহলে সামান্তরিকের উচ্চতা হবে 8 সেন্টিমিটার।
এই নিয়ম অনুসরণ করে তুমি যে কোনো সামান্তরিকের উচ্চতা নির্ণয় করতে পারবে।
সামান্তরিকের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র কি?
উত্তর: সামান্তরিকের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র হল, ক্ষেত্রফল = ভূমি × উচ্চতা। এখানে, ভূমি হল সামান্তরিকের একটি দৈর্ঘ্য এবং উচ্চতা হল সেই দৈর্ঘ্যের লম্ব দূরত্ব।
সামান্তরিকের পরিসীমা নির্ণয়ের সূত্র কি?
উত্তর: সামান্তরিকের পরিসীমা নির্ণয়ের সূত্র হল, পরিসীমা = ২(দৈর্ঘ্য + প্রস্থ)। সামান্তরিকের দুটি দৈর্ঘ্য এবং দুটি প্রস্থ যোগ করে তার দ্বিগুণ করলে পরিসীমা পাওয়া যায়।
সামান্তরিক এবং আয়তক্ষেত্রের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তর: সামান্তরিক এবং আয়তক্ষেত্রের মধ্যে মূল পার্থক্য হল, সামান্তরিকের সমস্ত কোণ সমকোণ নয়, কিন্তু আয়তক্ষেত্রের সব কোণই সমকোণ। এছাড়াও, সামান্তরিকের বিপরীত দিকের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ সমান হয় কিন্তু সমস্ত দিকের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ অবশ্যই সমান নয়।
সামান্তরিকে কোন ধরণের কোণ থাকে?
উত্তর: সামান্তরিকে সাধারণত দুই ধরণের কোণ থাকে – অন্যান্য দুই কোণের চেয়ে বড় দুটি কোণ, যা অভ্যন্তরীণ বড় কোণ বলা হয়, এবং অন্যান্য দুই কোণের চেয়ে ছোট দুটি কোণ, যা অভ্যন্তরীণ ছোট কোণ বলা হয়।
সামান্তরিকের বৈশিষ্ট্যগুলি কি কি?
উত্তর: সামান্তরিকের কিছু মুখ্য বৈশিষ্ট্য হল:
– এর বিপরীত দিকের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ সমান হয়।
– বিপরীত দিকের কোণগুলি সমান।
– এর প্রতিটি বিপরীত দিক পরস্পরের সঙ্গে সমান্তরাল।
– এর আভ্যন্তরীণ কোণগুলির যোগফল ৩৬০ ডিগ্রি।