সামান্তরিকের পরিসীমার সূত্র হলো: ২(দৈর্ঘ্য + প্রস্থ)।
সামান্তরিকের পরিসীমার সূত্র কী?
এখন এই সূত্রটি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করি। ধরা যাক, তুমি একটি বাগানের চারপাশে বেড়া দিতে চাও। এই বাগানটি সামান্তরিক আকারের, মানে এর দুই দৈর্ঘ্য এবং দুই প্রস্থ সমান। বাগানের দৈর্ঘ্য যদি ৫ মিটার এবং প্রস্থ ৩ মিটার হয়, তবে বেড়া দেয়ার জন্য কত মিটার দরকার হবে তা বের করতে গেলে আমরা প্রথমে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যোগ করবো, অর্থাৎ ৫ + ৩ = ৮। এরপর আমরা এই যোগফলকে ২ দিয়ে গুণ করবো, কারণ বাগানের দুইটি দৈর্ঘ্য এবং দুইটি প্রস্থ রয়েছে। সুতরাং, ২(৫+৩) = ২(৮) = ১৬ মিটার। এর মানে বাগানের চারপাশে বেড়া দেয়ার জন্য তোমার ১৬ মিটার দরকার হবে। এটি হলো সামান্তরিকের পরিসীমার হিসেব।
সামান্তরিক কি?
সামান্তরিক হল এক ধরণের চতুর্ভুজ, যার বিপরীত দুই পাশ সমান এবং সমান্তরাল।
সামান্তরিকের ক্ষেত্রফলের সূত্র কি?
সামান্তরিকের ক্ষেত্রফলের সূত্র হলো উচ্চতা × ভূমির দৈর্ঘ্য।
চতুর্ভুজ এবং সামান্তরিকের মধ্যে পার্থক্য কি?
চতুর্ভুজ হল চার পাশের একটি আকৃতি, যেখানে সামান্তরিক হল বিশেষ ধরণের চতুর্ভুজ যা তার বিপরীত পাশগুলি সমান এবং সমান্তরাল।
সামান্তরিকের পরিসীমা কিভাবে নির্ণয় করা হয়?
সামান্তরিকের পরিসীমা নির্ণয় করা হয় দুই পাশের দৈর্ঘ্য এবং দুই প্রস্থের দৈর্ঘ্যের যোগফলের দ্বিগুণ করে।
সামান্তরিকের বৈশিষ্ট্যগুলি কি কি?
সামান্তরিকের বৈশিষ্ট্যগুলি হলো: এর বিপরীত পাশগুলি সমান ও সমান্তরাল, বিপরীত কোণগুলি সমান, এবং এর বিকর্ণগুলি একে অপরকে সমান দুই ভাগে ভাগ করে।