স্বায়ত্তশাসন কি

স্বায়ত্তশাসন অর্থ কি ও কাকে বলে?

স্বায়ত্তশাসন হলো এমন একটি শাসনব্যবস্থা যে শাসন ব্যবস্থায় সকল ক্ষমতা থাকবে একজনের হাতে। আপনারা যারা স্বায়ত্তশাসন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার জন্য আগ্রহী তারা অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। 

স্বায়ত্তশাসন অর্থ কি

১৮৮৫ সালে ব্রিটিশ সরকার আইনের মাধ্যমে সর্বপ্রথম ভারতীয় উপমহাদেশে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থাটি সর্বপ্রথম চালু করা হয়। সহজ কথায় স্বায়ত্তশাসন হল নিজ শাসন বা নিজ হাতে শাসন করা। যেখানে একটি গোষ্ঠী বা পরিবারের সকল ক্ষমতার দায়িত্বে থাকবে একজনের কাছে। যেমন, আমাদের পরিবারের প্রধান কর্তা বা শাসক হচ্ছে বাবা। অর্থাৎ তিনি হচ্ছেন একজন স্বায়ত্ব শাসক। 

স্বায়ত্তশাসন কি

স্বায়ত্তশাসন কাকে বলে

সহজ ভাষায় স্বায়ত্তশাসন হল সংবিধান স্বীকৃত নিজ শাসন বা ‘স’ শাসন প্রতিষ্ঠা করা। অর্থাৎ কোনো দেশের সংবিধানের আওতাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে নিয়ন্ত্রণ মুক্ত রেখে প্রাদেশিক সরকার পরিচালনা করাকে স্বায়ত্তশাসন বলা হয়। প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলি দেশ এবং দেশেরর রাজনৈতিক ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে, তবে এটি সাধারণত প্রদেশের মধ্যে প্রযোজ্য আইন ও প্রবিধান প্রণয়ন, প্রাদেশিক সংস্থান পরিচালনা এবং বরাদ্দকরণ এবং প্রাদেশিক পরিষেবা এবং প্রোগ্রামগুলি পরিচালনা করার ক্ষমতা ১ জনের উপর অন্তর্ভুক্ত থাকে।

গ্রিক দার্শনিক প্লেটো স্বায়ত্তশাসন এর সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন, যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে না, যদি তারা তাদের নিজস্ব আনন্দ এবং আকাঙ্ক্ষাগুলি নিয়ন্ত্রণ করে এবং পরবর্তীতে দাসত্বের অবস্থায় থাকে। তবে এই নীতিতেই শুধুমাত্র একটি মৌলিক নৈতিক স্বাধীনতা স্বাধীনতা নয় বরং রাজনৈতিক স্বাধীনতার একটি প্রয়োজনীয় শর্ত। যেকোনো রাজনৈতিক কাঠামো হল স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন। 

১৯৭১ সালে প্রায় দীর্ঘ নয় মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির লড়াই করে, দেশের জন্য এবং নিজেদেরকে স্বাধীন করার জন্য নিজের রক্তের বিনিময়ে দেশকে স্বাধীনতা উপহার দেয়। ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশ স্বায়ত্তশাসন সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে। 

আরো জানুন…

দর্পন কাকে বলে

হাদীস শব্দের অর্থ কি

যুক্তিবিদ্যা জনক কে?

স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য

একটি পরিবার বা গোষ্ঠী যখন স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার মধ্যে পরিচালিত হয় তখন ঐ পরিবার বা গোষ্ঠীর সকল ক্ষমতা থাকে পরিবারের প্রধান কর্তার নিকট। ঐ পরিবার বা গোষ্ঠীর সকল সদস্যরা সমান অধিকার পাচ্ছে কিনা এই সকল বিষয় তার উপর নির্ভর করে। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক সাহিত্য শাসিত শাসন ব্যবস্থার কিছু বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। 

  • সকলের জন্য নির্দিষ্ট একটি আইনি ব্যবস্থা থাকবে, যা সকলের ক্ষেত্রেই সমভাবে প্রযোজ্য।
  • সকল ক্ষমতার অধিকারী থাকবেন একজন। 
  • দল, উপদল, প্রবণতা বা অন্যান্য উপ-গোষ্ঠী দমন করার একটি উপায় যা ইউনিট বা গোষ্ঠী থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায়।

আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে, তা অবশ্যই আমাদের কাছে কমেন্ট করে জানাবেন। আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভাল লেগে থাকলে আপনার আশেপাশের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শেয়ার করে, অন্যকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করার সুযোগ করে দিবেন।

স্বায়ত্তশাসন সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

স্বায়ত্তশাসন কি? 

উত্তরঃ স্বায়ত্তশাসন বা স্ব-শাসন বা নিজ-শাসন হল একজন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী, যার কোনো বহিরাগত কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই নিয়ন্ত্রণের সমস্ত প্রয়োজনীয় কার্য সম্পাদন করার ক্ষমতা রয়েছে।

জীবনে স্বায়ত্তশাসনের গুরুত্ব কি? 

উত্তরঃ সংস্কৃতি জুড়ে, স্বায়ত্তশাসন একটি মৌলিক মানুষের প্রয়োজন। যারা স্বায়ত্তশাসন অনুভব করেন তারা উচ্চতর মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামাজিক কার্যকারিতার রিপোর্ট করেন। তাদের মঙ্গল এবং আত্মমর্যাদার বোধ রয়েছে।

স্বায়ত্তশাসন অর্থ কি? 

উত্তরঃ স্বায়ত্তশাসন অর্থ হল স্ব-শাসন বা নিজ-শাসন।

স্বায়ত্তশাসন ইংরেজি কি?  

উত্তরঃ স্বায়ত্তশাসনের ইংরেজি হল Autonomous। 

প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন বলতে কি বুঝায়? 

উত্তরঃ প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন বলতে বুঝায় প্রদেশের নিজস্ব শাসন।

Scroll to Top