যুক্তিবিদ্যা জনক কে

যুক্তিবিদ্যার জনক কে এবং কেন?

প্রিয় পাঠকগণ, আপনি যদি যুক্তিবিদ্যা শব্দের উৎপত্তি? যুক্তিবিদ্যা কাকে বলে এবং যুক্তিবিদ্যার জনক কে? জানার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। 

যুক্তিবিদ্যা শব্দের উৎপত্তি

যুক্তিবিদ্যার ইংরেজী প্রতিশব্দ লজিগ (Logic)। গ্রীক শব্দ লোগেস (Logos) থেকে  লজিগ (Logic) শব্দের উৎপত্তি। যার অর্থ হল চিন্তা বা শব্দ। সুতরাং বুৎপত্তিগতভাবে যুক্তিবিদ্যা হলো চিন্তার বিজ্ঞান। তাই যুক্তিবাদীরা মানুষের মনস্তান্তিক চিন্তাভাবনা চিন্তাভাবনা কে বিজ্ঞান আকারে প্রকাশ করেছেন। 

যুক্তিবিদ্যা কাকে বলে

সহজ ভাষায় যুক্তিবিদ্যা হল যে সাহিত্যের একটি শব্দ বা বাক্য থেকে অবৈধ এবং বৈধ যুক্তি কে পৃথক করে তাকে যুক্তিবিদ্যা বলে। কোন একটি বিষয়ের উপর অবৈধ যুক্তি অবৈধ যুক্তিকে নির্দেশ করে থাকে। যেমন, পাখি মাঠে ঘাস খায় এবং রাখাল মুরগী চড়ায়-এটি অবৈধ যুক্তি কারণ কেননা পাখি মাঠে ঘাস খায় না গরু-ছাগলে ঘাস খায় আর রাখাল মুরগী চড়ায় না গরু চড়ায়। 

যুক্তিবিদ্যা একটি সুশৃংখল বিজ্ঞান। এটি মিথ্যাকে বর্জন ও সত্যকে গ্রহণ করার সঠিক চিন্তা পদ্ধতির নির্দেশ করে। অর্থাৎ সত্যের সন্ধান ও ভ্রান্তি পরিহারের উদ্দেশ্যে যুক্তিপদ্ধতি ও তার সহায়ক প্রক্রিয়া যেমন সংজ্ঞা, বিভাগ, ব্যাখ্যা, শ্রেণিকরণ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে। 

আরো কিছু বিখ্যাত যুক্তিবিদরা তাদের যুক্তিবিদ্যা সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। যেমন, এলড্রিসের মতে, যুক্তিবিদ্যা হলো যুক্তি বা ন্যায় পদ্ধ্যতিরফলিত কলা। আবার হোয়েটলীর মতে, যুক্তিবিদ্যা ন্যায় পদ্ধ্যতির কলা ও বিজ্ঞান। জেভনস যুক্তিবিদ্যাকে যুক্তি পদ্ধ্যতির বিজ্ঞান বলে আখ্যায়িত করেছেন। 

যুক্তিবিদ্যা জনক কে

যুক্তিবিদ্যার জনক কে

গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটলকে যুক্তিবিদ্যার জনক বলা হয়। প্রাচীন গ্রীক দর্শনের এক বিশাল ব্যক্তিত্ব হলেন এরিস্টটল হলেন। এরিস্টটলই প্রথম যুক্তিবিদ্যা জন্য একটি আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তোলেন। যিনি যুক্তিবিদ্যা, সমালোচনা, অলঙ্কারশাস্ত্র, পদার্থবিদ্যা, জীববিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, গণিত এবং রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন।

আরো জানতে দেখুন…

দর্পন কাকে বলে

পৃথিবীর ভর কত

হাদীস শব্দের অর্থ কি

এরিস্টটলকে যুক্তিবিদ্যার জনক বলা হয় কেন? 

গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটলকে যুক্তিবিদ্যার জনক বলার বেশ কিছু কারন রয়েছে। গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটলের মতে, যে কোন যুক্তির ডিডাক্টিভ বৈধতা তার বিষয়বস্তুর পরিবর্তে তার গঠন দ্বারা নির্ধারিত হতে পারে। আধুনিক প্রস্তাবনামূলক যুক্তি এবং ভবিষ্যদ্বাণীমূলক যুক্তির উত্থানের আগ পর্যন্ত অ্যারিস্টোটেলিয়ান যুক্তির প্রাধান্য ছিল। এরিস্টটলই প্রথম যুক্তিবিদ্যা জন্য একটি আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তোলেন। যিনি যুক্তিবিদ্যা অন্যান্য বিজ্ঞানের মতে করে সবার সামনে তুলে ধরেছেন। 

আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে, তা অবশ্যই আমাদের কাছে কমেন্ট করে জানাবেন। আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভাল লেগে থাকলে আপনার আশেপাশের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শেয়ারকে শেয়ার করে অন্যকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করার সুযোগ করে দিবেন। 

যুক্তিবিদ্যা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

যুক্তিবিদ্যার জনক কে?

উত্তরঃ গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটলকে যুক্তিবিদ্যার জনক বলা হয়।

যুক্তিবিদ্যার উৎপত্তি কোথা থেকে হয়?

উত্তরঃ  যুক্তিবিদ্যা প্রাচীন ভারতে স্বাধীনভাবে শুরু হয়েছিল এবং গ্রীক যুক্তিবিদ্যার কোনো পরিচিত প্রভাব ছাড়াই আধুনিক যুগের প্রথম দিকে বিকশিত হতে থাকে।

যুক্তিবিদ্যার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস কি?

উত্তরঃ একটি বুদ্ধিবৃত্তিক ঘটনা হিসাবে, যুক্তিবিদ্যা ঐতিহাসিকভাবে প্রাচীন চীন, গ্রীস এবং ভারত সহ বিভিন্ন সভ্যতার মধ্যে নিহিত। একটি বৈজ্ঞানিক শৃঙ্খলা হিসাবে, প্রাতিষ্ঠানিক যুক্তিবিদ্যার উদ্ভব হয়েছিল প্রাচীন গ্রীক মেগারিয়ান এবং স্টোইক স্কুলের অ্যারিস্টটল, ক্রিসিপ্পাস এবং অন্যান্য দার্শনিকদের মূল রচনায়।

আধুনিক যুক্তিবিদ্যা কি? 

উত্তরঃ আধুনিক যুক্তিবিদ্যা -কখনও কখনও লজিস্টিক, প্রতীকী যুক্তি বা গাণিতিক যুক্তি বলা হয় – কৃত্রিম প্রতীকী ভাষার অপরিহার্য ব্যবহার করে। অ্যারিস্টটলের পর থেকে যুক্তিবিদ্যা দর্শনের একটি অংশ। 1850 সালের দিকে গণিতবিদ বুলে প্রতীকী যুক্তিবিদ্যার আধুনিক বিকাশ শুরু করেন।

যুক্তিবিদ্যা গণিত নাকি দর্শন? 

উত্তরঃ যুক্তিবিদ্যার কিছু আনুষ্ঠানিক কাজ বেশ গাণিতিক, কিন্তু গণিত নিজেই অনেক গভীর দার্শনিক প্রশ্ন উত্থাপন করে।

যুক্তিবাক্যের কয়টি অংশ ও কি কি?

উত্তরঃ একটি যুক্তিবাক্যে তিনটি অংশ থাকে। এই তিনটি অংশ হচ্ছে- (১) উদ্দেশ্য পদ (২) বিধেয় পদ ও (৩) সংযোজক। এগুলোর মধ্যে সংযোজক ছাড়াও বাক্য হয় কিন্তু যুক্তিবাক্য হয় না।

প্রতীকী যুক্তিবিদ্যা কত প্রকার?

উত্তরঃ প্রতীকী যুক্তিবিদ্যা ২ প্রকার।

Scroll to Top