গণসংখ্যা কাকে বলা হয়?

গণসংখ্যা বলতে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় বসবাস করা মানুষের মোট সংখ্যাকে বোঝায়।

গণসংখ্যা বোঝায় কি?

এখন, আমরা গণসংখ্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানবো। চিন্তা করো, তুমি একটি বিশাল বাগানে আছো যেখানে অনেক গুলো ফুল আছে। এখানে, বাগানটি হলো একটি নির্দিষ্ট এলাকা, আর ফুলগুলো হলো সেই এলাকায় বসবাস করা মানুষ। যদি আমরা বলি, বাগানে মোট ১০০টি ফুল আছে, তাহলে এই সংখ্যা ১০০ হলো গণসংখ্যা, কিন্তু এই ক্ষেত্রে মানুষের পরিবর্তে আমরা ফুলের কথা বলছি।

একটি দেশের গণসংখ্যা জানতে গেলে, আমাদের সেই দেশের সরকার বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত জনগণনা বা জনসংখ্যা গণনা রিপোর্ট দেখতে হবে। এই গণনা প্রতি কয়েক বছর অন্তর অন্তর হয়ে থাকে, যেখানে প্রতিটি বাড়ি, পারিবারিক সদস্য, তাদের বয়স, লিঙ্গ, পেশা ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই তথ্য সরকারকে অনেক ধরনের পরিকল্পনা বা সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে, যেমন- স্কুল, হাসপাতাল, রাস্তা নির্মাণ ইত্যাদির জন্য কোথায় কী পরিমাণে প্রয়োজন।

উদাহরণ হিসেবে, যদি একটি এলাকায় অনেক শিশু থাকে, তাহলে সেখানে স্কুলের প্রয়োজন বেশি হবে। অনুরূপভাবে, যদি অনেক বয়স্ক মানুষ থাকে, তাহলে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নতির দিকে বেশি মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন।

গণসংখ্যা কি?

গণসংখ্যা মানে হল একটি নির্দিষ্ট এলাকায় বাস করা মানুষের সংখ্যা। এই সংখ্যা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে বাড়তে বা কমতে পারে।

গণসংখ্যা গণনা কেন জরুরি?

গণসংখ্যা গণনা জরুরি কারণ এর মাধ্যমে সরকার ও অন্যান্য সংস্থা জনগণের চাহিদা, যেমন- শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান ইত্যাদি সেবা শ্রেণী নির্ধারণ করে এবং উন্নয়নের পরিকল্পনা করতে পারে।

জনসংখ্যার বৃদ্ধির প্রভাব কি কি?

জনসংখ্যার বৃদ্ধির প্রভাব পরিবেশের ওপর চাপ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য সেবার ওপর চাপ, শিক্ষা ও চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি ইত্যাদি।

জনসংখ্যার হার কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়?

জনসংখ্যার হার নিয়ন্ত্রণ করা যায় শিক্ষা বৃদ্ধি করে, স্বাস্থ্য সেবা উন্নতি করে, জন্মনিয়ন্ত্রণ প্রচারের মাধ্যমে এবং আর্থিক উন্নয়নের মাধ্যমে।

গণসংখ্যা গণনার প্রক্রিয়া কি?

গণসংখ্যা গণনার প্রক্রিয়া হল জনগণনা, যেখানে প্রতি নির্দিষ্ট সময়ে একটি দেশের বা এলাকার সকল মানুষের সংখ্যা, বয়স, লিঙ্গ, পেশা ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

Scroll to Top