বিভাজ্য হলো একটি সংখ্যা অন্য একটি সংখ্যা দ্বারা সম্পূর্ণরূপে বিভাজিত হওয়ার গুণ।
বিভাজ্যতা কি?
এখন, আসুন এই বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে বুঝার চেষ্টা করি। যেমন, আমরা যদি ১০ এবং ২ নিয়ে ভাবি, তাহলে আমরা বলতে পারি ১০ কে ২ দ্বারা বিভাজন করলে সম্পূর্ণ সংখ্যা ৫ পাওয়া যায়, অর্থাৎ কোনো ভগ্নাংশ বা অবশিষ্ট নেই। এই কারণে, আমরা বলতে পারি ১০ সংখ্যাটি ২ দ্বারা বিভাজ্য।
একটি উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাক: ধরুন, আপনার কাছে ১২টি চকলেট আছে এবং আপনি চান এগুলোকে সমানভাবে ৩ জন বন্ধুর মাঝে ভাগ করে দিতে। প্রত্যেকে কতটি করে চকলেট পাবে? এখানে, ১২টি চকলেটকে ৩ দ্বারা ভাগ করলে প্রত্যেকে ৪টি করে চকলেট পাবে। তাই, আমরা বলতে পারি ১২ সংখ্যাটি ৩ দ্বারা বিভাজ্য।
বিভাজ্যতা বুঝতে এবং এর গুরুত্ব বুঝতে হলে আমাদের অংক শেখার প্রাথমিক ধাপে এই ধারণাটি সম্পর্কে জানা জরুরি। এটি বিভিন্ন গণিতিক সমস্যা সমাধানে, যেমন সমীকরণ সমাধানে, লসাগু গুণনীয়ক খোঁজা, এবং অঙ্কের খেলায় অত্যন্ত সাহায্য করে।
বিভাজ্য সংখ্যাটি কত সংখ্যা দ্বারা ভাগ যায়?
বিভাজ্য সংখ্যা হলো এমন একটি সংখ্যা, যা অন্য একটি বা একাধিক সংখ্যা দ্বারা নির্দিষ্ট শর্ত মেনে ভাগ যায় এবং ভাগফল একটি পূর্ণসংখ্যা হয়।
২ দ্বারা বিভাজ্যতার নিয়ম কী?
কোনো সংখ্যা যদি শেষ অঙ্কে ০, ২, ৪, ৬, অথবা ৮ হয়, তাহলে সেই সংখ্যাটি ২ দ্বারা বিভাজ্য হয়। এটি একটি বিভাজ্যতার সাধারণ নিয়ম।
৩ দ্বারা বিভাজ্যতার নিয়ম কী?
কোনো সংখ্যা যদি তার সব অঙ্কের যোগফল ৩ দ্বারা বিভাজ্য হয়, তাহলে সেই সংখ্যাটি ৩ দ্বারা বিভাজ্য হয়। যেমন, ১২৩ এর অঙ্কগুলোর যোগফল হল ১+২+৩=৬, যা ৩ দ্বারা বিভাজ্য। এটি ৩ দ্বারা বিভাজ্যতার নিয়ম।
৫ দ্বারা বিভাজ্যতার নিয়ম কী?
কোনো সংখ্যা যদি শেষ অঙ্কে ০ অথবা ৫ হয়, তাহলে সেই সংখ্যাটি ৫ দ্বারা বিভাজ্য হয়। এটি একটি সহজ এবং মৌলিক নিয়ম।
১০ দ্বারা বিভাজ্যতার নিয়ম কী?
কোনো সংখ্যা যদি শেষ অঙ্কে ০ হয়, তাহলে সেই সংখ্যাটি ১০ দ্বারা বিভাজ্য হয়। এটি ১০ দ্বারা বিভাজ্যতার সরল নিয়ম এবং এটি বোঝা খুবই সহজ।