ইহকাল কোন সমাস?

ইহকাল একটি কর্মধারয় সমাস।

ইহকাল কোন সমাসের উদাহরণ?

বিস্তারিতঃ যখন আমরা দুটি শব্দ নিয়ে একটি নতুন শব্দ তৈরি করি যেখানে প্রথম শব্দটি কর্ম বা কাজ সম্পর্কিত ধারণা প্রকাশ করে এবং দ্বিতীয় শব্দটি কর্মের উদ্দেশ্য বা ফল নির্দেশ করে, তখন এই ধরণের সমাসকে কর্মধারয় সমাস বলা হয়। “ইহকাল” শব্দটি “ইহ” (এই জীবন) + “কাল” (সময়) থেকে গঠিত। এখানে “ইহ” শব্দটি কর্ম বা এই জীবনে কাজ করার ধারণা প্রকাশ করে এবং “কাল” শব্দটি সেই কর্মের উদ্দেশ্য বা সময় প্রকাশ করে, যার মানে এই জীবনের সময়। সুতরাং, এটি কর্মধারয় সমাসের একটি উদাহরণ।

উদাহরণ দিয়ে বুঝাই: ধরা যাক, তুমি একটা কেক বানাচ্ছো। এখানে “কেক বানানো” হলো তোমার কর্ম আর “কেক” হলো কর্মের ফল। যদি আমি এই কাজকে একটি শব্দে ব্যাখ্যা করি, যেমন “কেকবানানো”, তাহলে এটা একরকম কর্মধারয় সমাসের মতো হয়। একইভাবে, “ইহকাল” শব্দটি এই জীবনে করা কাজ বা এই জীবনের সময়কে নির্দেশ করে, যা একটি কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ।

ইহকাল কি ধরনের সময়কে নির্দেশ করে?

ইহকাল মানুষের এই পৃথিবীতে বর্তমান জীবনকে নির্দেশ করে, যা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।

ইহকাল ও পরকালের মধ্যে প্রধান পার্থক্য কী?

ইহকাল হলো মানুষের পৃথিবীতে বর্তমান জীবনের সময়কাল, অন্যদিকে পরকাল হলো মৃত্যুর পরের জীবন, যা অনন্ত ও চিরস্থায়ী।

ইহকালের গুরুত্ব কেন বেশি?

ইহকালের গুরুত্ব বেশি কারণ এই সময়ে মানুষ কর্ম করে তার পরকালের জীবনের ভাগ্য নির্ধারণ করে।

ইহকালে সফল হওয়ার জন্য মানুষের কী করা উচিত?

ইহকালে সফল হওয়ার জন্য মানুষের ভালো কর্ম করা, সত্যি ও ন্যায়ের পথে চলা এবং অন্যের প্রতি দয়ালু হওয়া উচিত।

ইহকাল ও পরকালের ধারণা কেন মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ?

ইহকাল ও পরকালের ধারণা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই ধারণাগুলো মানুষকে সত্যি, ন্যায় ও ভালো কর্মের পথে চালিত করে এবং জীবনের সবচেয়ে বড় লক্ষ্যের দিকে নির্দেশ করে।

Scroll to Top