ব্যস্তানুপাতিক বলতে কী বোঝায়?

ব্যস্তানুপাতিক মানে হলো দুটি জিনিসের মধ্যে এমন একটি সম্পর্ক, যেখানে একটি বাড়লে অপরটিও একই অনুপাতে বাড়ে বা কমে।

ব্যস্তানুপাতিক এর অর্থ কি?

চলো, আমরা একটি সহজ উদাহরণ দিয়ে ব্যস্তানুপাতিকের ধারণাটি আরো ভালোভাবে বুঝি। ধরা যাক, তুমি একটি দোকানে আম কিনতে গিয়েছো, যেখানে প্রতি আমের দাম হলো ২০ টাকা। যদি তুমি ১টি আম কিনো, তবে খরচ হবে ২০ টাকা; ২টি কিনলে ৪০ টাকা; ৩টি কিনলে ৬০ টাকা। এখানে, আমের সংখ্যা এবং মোট খরচের মধ্যে একটি ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক আছে, কারণ আমের সংখ্যা যত বাড়ে, মোট খরচও তত বাড়ে এবং এই বৃদ্ধির হার সবসময় সমান থাকে।

একটি গাণিতিক উদাহরণ দিয়ে আরো স্পষ্ট করা যাক। যদি আমরা বলি x এবং y ব্যস্তানুপাতিক, এর মানে হলো y = kx, যেখানে k হলো স্থির অনুপাতের মান। যদি x দ্বিগুণ হয়, y ও দ্বিগুণ হবে। এই সম্পর্কটি বুঝতে গেলে, তুমি মনে করতে পারো একটি সোজা রেখা যেখানে যত দূরে যাও না কেন, রেখাটি সবসময় একই অনুপাতে বেড়ে যায়।

ব্যস্তানুপাত হল কোন ধরনের সম্পর্ক?

ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক হল এমন এক ধরনের গাণিতিক সম্পর্ক, যেখানে দুটি পরিমাণ একে অপরের সাপেক্ষে সমান হারে বাড়ে বা কমে।

ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্কে দুটি পরিমাণের মধ্যে কি ধরনের সম্পর্ক থাকে?

ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্কে দুটি পরিমাণের মধ্যে একটি সরাসরি সম্পর্ক থাকে, যেখানে একটি পরিমাণ বাড়লে অপরটিও সমান হারে বাড়ে এবং একটি কমলে অপরটিও কমে।

সরাসরি ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্কের একটি উদাহরণ কি হতে পারে?

একটি উদাহরণ হতে পারে, যখন একটি গাড়ির গতি স্থির থাকে, তখন গাড়িটি যত সময় এগিয়ে চলে, তার দূরত্বও সেই সমান হারে বাড়তে থাকে।

ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক গণনা করার সূত্র কি?

ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্কের গণনা সূত্র হল: যে কোনো দুটি পরিমাণের অনুপাত সমান থাকে, অর্থাৎ ( frac{a}{b} = frac{c}{d} )।

ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক ব্যবহারের কিছু বাস্তব জীবনের উদাহরণ কি কি হতে পারে?

ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক ব্যবহারের বাস্তব জীবনের উদাহরণ হতে পারে, রেসিপির উপকরণ পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া, গাড়ির জ্বালানি খরচ এবং দূরত্বের মধ্যে সম্পর্ক, এবং কোনো পণ্যের মূল্য এবং তার পরিমাণের মধ্যে সম্পর্ক।

Scroll to Top