দেহ কোষ কী?

দেহ কোষ হল জীবন্ত প্রাণীর শরীরের সর্বক্ষুদ্র একক, যা মিলে পুরো শরীর গঠিত।

দেহ কোষের সংজ্ঞা কি?

কল্পনা করো, তুমি একটি জটিল পাজল বানাচ্ছো যেখানে প্রতিটি টুকরা খুবই জরুরি। এই পাজলের প্রতিটি টুকরার মতোই, আমাদের দেহ অসংখ্য কোষ দিয়ে তৈরি যা নানা কাজ করে। প্রতিটি কোষের একটি নির্দিষ্ট কাজ থাকে; যেমন, কিছু কোষ আমাদের রক্ত তৈরি করে, কিছু আমাদের ব্রেনের কাজ করে, আবার কিছু আমাদের ত্বক তৈরি করে। ঠিক যেমন পাজলের প্রতিটি টুকরো একত্রে মিলে একটি বড় ছবি তৈরি করে, তেমনি প্রতিটি কোষ মিলে আমাদের দেহ তৈরি করে।

এই কোষগুলো খুবই সূক্ষ্ম, তাই সাধারণত চোখে দেখা যায় না; এদের দেখতে হলে মাইক্রোস্কোপের প্রয়োজন হয়। প্রতিটি কোষের ভেতরে নানা ধরণের ছোট ছোট অংশ থাকে যা নানা কাজ করে, যেমন কোষের কেন্দ্রস্থলে থাকে ‘নিউক্লিয়াস’ যা কোষের সব কাজের নির্দেশনা দেয়। এই কোষ মিলে টিস্যু তৈরি করে, টিস্যু মিলে অঙ্গ তৈরি করে, এবং শেষে অঙ্গগুলো মিলে সম্পূর্ণ একটি জীবন্ত প্রাণী তৈরি করে।

কোষ কি?

কোষ হলো জীবনের মৌলিক একক, যা সমস্ত জীবিত প্রাণীদের গঠন করে। এটি একটি ছোট ঘরের মতো, যেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ হয়।

দেহ কোষের মৌলিক অংশগুলো কী কী?

দেহ কোষের মৌলিক অংশগুলো হলো নিউক্লিয়াস (কোষের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র), সাইটোপ্লাজম (কোষের মধ্যবর্তী তরল পদার্থ), এবং কোষঝিল্লি (কোষকে বাইরের পরিবেশ থেকে আলাদা করে)।

কোষের কাজ কি কি?

কোষের প্রধান কাজগুলো হলো পুষ্টি গ্রহণ, বৃদ্ধি, বংশবিস্তার, এবং শ্বাস-প্রশ্বাস। এছাড়াও কোষ বর্জ্য পদার্থ নির্গত করে এবং বিভিন্ন ঘটনাকে সমন্বয় করে।

দেহ কোষ কেন গুরুত্বপূর্ণ?

দেহ কোষ গুরুত্বপূর্ণ কারণ এগুলো জীবনের মৌলিক একক এবং সমস্ত জীবিত প্রাণীর গঠন ও ক্রিয়াকলাপের ভিত্তি। কোষ ছাড়া জীবনের কোন অস্তিত্ব নেই।

কোষ কিভাবে বৃদ্ধি পায়?

কোষ বৃদ্ধি পায় মূলত দুই প্রক্রিয়ায় – সেল ডিভিশন (কোষ ভাগ হয়ে নতুন কোষ তৈরি হওয়া) এবং সাইটোপ্লাজমিক বৃদ্ধি (কোষের অংশবিশেষের আকার বৃদ্ধি পাওয়া)।

Scroll to Top