ফেসবুক হ্যাক করা অবৈধ এবং খুবই অনিরাপদ।
“ফেসবুক হ্যাক করার পদ্ধতি কি?”
ফেসবুক হ্যাক করা মানে অন্যের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা, যা খুবই অনৈতিক। ফেসবুকে প্রত্যেকের একটি অ্যাকাউন্ট থাকে, যা তাদের নিজের নাম, ছবি, ভিডিও এবং বন্ধুদের তথ্য নিয়ে গঠিত। এই অ্যাকাউন্ট একটি পাসওয়ার্ড দ্বারা সুরক্ষিত থাকে, যা শুধু অ্যাকাউন্টের মালিকই জানে। কেউ যদি অন্যের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করার চেষ্টা করে, তাকে হ্যাকার বলা হয়। হ্যাকাররা বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে যেমন: মিথ্যা লিংক পাঠানো, ভুয়া লগইন পেজ, বা অন্যের ফোন নাম্বার ব্যবহার করে অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। তবে, এই কাজগুলো শুধুমাত্র অবৈধ নয়, এগুলো অন্যের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা এবং তাদের অনুমতি ছাড়া তা ব্যবহার করা বোঝায়। এই কারণে, ফেসবুক হ্যাক করা খুবই অন্যায় এবং এটি করা উচিত নয়।
উদাহরণ: ধরুন, তোমার একটি ডায়েরি আছে যেখানে তুমি তোমার সব গোপন কথা লেখো। একদিন কেউ একজন তোমার ডায়েরি চুরি করে এবং সেখানে লেখা সব গোপন কথা অন্যদের জানিয়ে দেয়। তুমি কেমন অনুভব করবে? ফেসবুক হ্যাক করা একই রকম কিছু, যেখানে হ্যাকাররা অন্যের গোপন তথ্য চুরি করে।
ইন্টারনেটে নিরাপদে থাকার জন্য আমাদের কি কি বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত?
ইন্টারনেটে নিরাপদে থাকার জন্য আমাদের স্ট্রং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা, দুই-ধাপের নিরাপত্তা (Two-Factor Authentication) সক্রিয় করা, এবং অপরিচিত লিঙ্কে ক্লিক না করা উচিত।
ফেসবুকে আমাদের প্রোফাইল আরও নিরাপদ করার জন্য কোন কোন ধাপ অনুসরণ করা উচিত?
ফেসবুকে প্রোফাইল আরও নিরাপদ করার জন্য প্রাইভেসি সেটিংস আপডেট করা, অপরিচিত ব্যক্তিদের ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট গ্রহণ না করা, এবং পাবলিক পোস্ট কম করা উচিত।
ইন্টারনেটে কেন স্ট্রং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ?
ইন্টারনেটে স্ট্রং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি হ্যাকারদের কাছ থেকে আমাদের অ্যাকাউন্ট এবং তথ্য নিরাপদ রাখে।
দুই-ধাপের নিরাপত্তা (Two-Factor Authentication) কি এবং এটি কেন জরুরি?
দুই-ধাপের নিরাপত্তা হল একটি নিরাপত্তা প্রক্রিয়া যেখানে ব্যবহারকারীকে লগইন করার সময় দুটি আলাদা প্রমাণ (যেমন: পাসওয়ার্ড এবং মোবাইল নম্বরে পাঠানো একটি কোড) প্রদান করতে হয়। এটি জরুরি কারণ এটি অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে।
ইন্টারনেটে অপরিচিত লিঙ্কে ক্লিক না করার গুরুত্ব কি?
ইন্টারনেটে অপরিচিত লিঙ্কে ক্লিক না করার গুরুত্ব হল, এটি আমাদেরকে ফিশিং এটাক এবং ম্যালওয়্যার ইনফেকশন থেকে বাঁচায়, যা আমাদের তথ্য চুরি করতে পারে অথবা আমাদের ডিভাইসে ক্ষতি করতে পারে।