ভগ্নাবশেষ মূল্য কী?

ভগ্নাবশেষ মূল্য হল এমন এক পরিমাণ টাকা যা আপনি ব্যবহৃত সম্পত্তি বিক্রি করে শেষে পেতে পারেন।

ভগ্নাবশেষ মূল্য কি?

চলো, আমরা একটি সহজ উদাহরণের মাধ্যমে ভগ্নাবশেষ মূল্যের ধারণাটি আরো ভালোভাবে বুঝি। ধরো, তুমি একটি সাইকেল কিনেছো যার দাম ছিল ১০০০০ টাকা। কিন্তু সাইকেলটি ব্যবহার করার পর, কয়েক বছর পর এর অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে এটি আর ভালোভাবে চলে না। তখন তুমি ঠিক করলে এটি বিক্রি করে দিবে। এখন, যদি তুমি সাইকেলটি বিক্রি করে ১০০০ টাকা পেতে পারো, তাহলে এই ১০০০ টাকাই হল সাইকেলের ভগ্নাবশেষ মূল্য।

এই ধারণাটি সব ধরণের সম্পত্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যেমন: গাড়ি, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ইত্যাদি। মূলত, ভগ্নাবশেষ মূল্য বলতে আমরা বোঝাই যে পুরাতন বা ব্যবহৃত সম্পত্তির শেষ বিক্রয় মূল্যকে, যা আমরা তার জীবনকালের শেষে পেতে পারি।

ভগ্নাংশের মূল্য কিভাবে গণনা করা হয়?

ভগ্নাংশের মূল্য গণনা করতে হলে আমাদের উপরের সংখ্যাটি (অংশ) নিচের সংখ্যাটি (হর) দ্বারা ভাগ করতে হয়। যেমন, যদি আমাদের ভগ্নাংশ হয় ৩/৪, তাহলে এর মূল্য হবে ৩ ভাগ করা ৪ সমান, যা হল ০.৭৫।

ভগ্নাংশ এবং দশমিকের মধ্যে পার্থক্য কি?

ভগ্নাংশ হল দুটি সংখ্যার মধ্যে একটি ভাগের সম্পর্ক যা একটি স্ল্যাশ (/) দ্বারা প্রকাশ করা হয়, যেখানে দশমিক হল একটি সংখ্যা যা দশমিক চিহ্ন (.) ব্যবহার করে সংখ্যার পূর্ণ এবং ভগ্ন অংশকে প্রকাশ করে। যেমন, ৩/৪ ভগ্নাংশের দশমিক মূল্য হল ০.৭৫।

ভগ্নাংশ কিভাবে সরলীকরণ করা যায়?

ভগ্নাংশ সরলীকরণ করতে হলে অংশ এবং হরের সর্বোচ্চ সাধারণ ভাজক (জিসিডি) বের করে উভয়কে সেই সংখ্যাটি দ্বারা ভাগ করতে হয়। যেমন, ৮/১২ ভগ্নাংশের জিসিডি হল ৪, তাই উভয়কে ৪ দ্বারা ভাগ করলে পাওয়া যায় ২/৩।

ভগ্নাংশ এবং পূর্ণ সংখ্যা একত্রে কিভাবে লেখা যায়?

ভগ্নাংশ এবং পূর্ণ সংখ্যা একত্রে লেখার জন্য পূর্ণ সংখ্যাটি প্রথমে লিখে তার পরে ভগ্নাংশটি লেখা হয়। একে মিশ্র সংখ্যা বলা হয়। যেমন, ২ এবং ৩/৪ একত্রে লেখা হলে হয় ২ ৩/৪।

ভগ্নাংশের যোগ কিভাবে করা যায়?

ভগ্নাংশের যোগ করার জন্য প্রথমে তাদের হর সমান করতে হয়, এরপর তাদের অংশগুলোকে যোগ করতে হয়। যেমন, ১/৪ + ২/৪ = ৩/৪। যদি হর সমান না হয়, তাহলে প্রথমে হরগুলোকে সমান করে তারপর যোগ করতে হয়।

Scroll to Top