সামন্তরিকের পরিসীমার সূত্র কী?

সামন্তরিকের পরিসীমার সূত্র হল: পরিসীমা = 2(দৈর্ঘ্য + প্রস্থ)।

সামন্তরিকের পরিসীমার সূত্র কী?

এখন, আসুন এটি সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝি। ধরা যাক, আপনার একটি বইয়ের আকারের মতো সামন্তরিক আছে। সামন্তরিক মানে হল এমন একটি চারিদিক বিশিষ্ট আকৃতি যার বিপরীত দিকগুলি সমান এবং সমান্তরাল। এখন, আপনি যদি বইয়ের চারপাশ দিয়ে একটি রশি পেঁচিয়ে দেন, তাহলে সেই রশির মোট দৈর্ঘ্যই হবে সামন্তরিকের পরিসীমা।

উদাহরণ দিই, ধরুন একটি সামন্তরিকের দৈর্ঘ্য হল 10 সেন্টিমিটার এবং প্রস্থ হল 5 সেন্টিমিটার। এখানে, পরিসীমা হবে = 2(10+5) = 2*15 = 30 সেন্টিমিটার। সুতরাং, রশির মোট দৈর্ঘ্য বা সামন্তরিকের পরিসীমা হল 30 সেন্টিমিটার। এই সূত্র ব্যবহার করে আপনি যেকোনো সামন্তরিকের পরিসীমা খুব সহজেই নির্ণয় করতে পারবেন।

সামন্তরিকের কোন চারটি বিশেষ গুণ আছে?

উত্তর: সামন্তরিকের বিশেষ গুণ হলো, এর বিপরীত বাহু সমান এবং সমান্তরাল, এর কোণাগুলো সমান ৯০ ডিগ্রী না হলেও বিপরীত কোণ সমান, এর উল্লম্ব দূরত্ব সমান, এবং এর ডায়াগোনালগুলো একে অপরকে মাঝখানে অর্ধেক করে।

সামন্তরিকের ক্ষেত্রফল কিভাবে বের করা যায়?

উত্তর: সামন্তরিকের ক্ষেত্রফল বের করা যায় এর ভূমি এবং উচ্চতা গুণ করে। ফর্মুলাটি হলো, ক্ষেত্রফল = ভূমি x উচ্চতা।

সামন্তরিকের ডায়াগোনালগুলি কি একে অপরকে সমান ভাগে ভাগ করে?

উত্তর: হ্যাঁ, সামন্তরিকের ডায়াগোনালগুলি একে অপরকে মাঝখানে ঠিক সমান ভাগে ভাগ করে।

সামন্তরিকের পরিসীমা কিভাবে নির্ণয় করা যায়?

উত্তর: সামন্তরিকের পরিসীমা বের করা যায় এর দুই দিকের দৈর্ঘ্য গুণিত করে ২ দ্বারা গুণ করে। ফর্মুলাটি হলো, পরিসীমা = ২(দৈর্ঘ্য + প্রস্থ)।

সামন্তরিক এবং আয়তক্ষেত্রের মধ্যে প্রধান পার্থক্য কি?

উত্তর: সামন্তরিক এবং আয়তক্ষেত্রের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো, আয়তক্ষেত্রের সব কোণ ৯০ ডিগ্রী হয় কিন্তু সামন্তরিকের কোণগুলি অবশ্যই ৯০ ডিগ্রী হতে হবে না।

Scroll to Top