বাইনারি সংখ্যা হল শুধুমাত্র ০ এবং ১ দিয়ে গঠিত সংখ্যা পদ্ধতি। সুতরাং, ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত সব সংখ্যাকে বাইনারি আকারে প্রকাশ করা যায়।
তুমি কি ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত বাইনারি সংখ্যা প্রকাশ করতে পারো?
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
চিন্তা করুন, আপনি একটা খেলা খেলছেন যেখানে কেবল দুই ধরণের ব্লক আছে – একটি সাদা এবং একটি কালো। এই দুই ধরনের ব্লক দিয়ে আপনি যেকোনো ছবি বা নম্বর তৈরি করতে পারেন। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিও অনেকটা এমনই। এখানে ০ কে সাদা ব্লক এবং ১ কে কালো ব্লক হিসেবে ভাবুন। এই দুটি সংখ্যা দিয়ে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় যেকোনো সংখ্যা প্রকাশ করতে পারি।
উদাহরণ:
১. দশমিক সংখ্যা ১ এর বাইনারি রূপ হল ১।
২. দশমিক সংখ্যা ২ এর বাইনারি রূপ হল ১০।
৩. দশমিক সংখ্যা ৫ এর বাইনারি রূপ হল ১০১।
৪. দশমিক সংখ্যা ১০ এর বাইনারি রূপ হল ১০১০।
এভাবে আমরা ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত প্রতিটি সংখ্যাকে বাইনারি আকারে প্রকাশ করতে পারি। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কম্পিউটার সাইন্সে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় কারণ কম্পিউটার তার ভেতরের কাজ শুধুমাত্র এই দুই সংখ্যা (০ এবং ১) দিয়েই করে।
একটি সহজ উদাহরণ হল, যখন আপনি কম্পিউটারে কোনো টেক্সট লিখেন বা একটি ছবি দেখেন, কম্পিউটারের ভেতরে সেগুলো বাইনারি সংখ্যায় পরিণত হয়ে প্রক্রিয়াজাত হচ্ছে। এই বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির সাহায্যে কম্পিউটার তার সব ধরনের তথ্য সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়া করে থাকে।
বাইনারি সংখ্যা কি?
উত্তর: বাইনারি সংখ্যা হল এমন একটি সংখ্যা পদ্ধতি যা ০ এবং ১ এই দুইটি সংখ্যা দিয়ে গঠিত। এটি কম্পিউটার প্রযুক্তিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
বাইনারি সংখ্যার মৌলিক বৈশিষ্ট্য কি কি?
উত্তর: বাইনারি সংখ্যার মৌলিক বৈশিষ্ট্য হলো, এতে কেবল ০ এবং ১ এই দুইটি অংক থাকে, এবং এর প্রতিটি অংকের মান ডান থেকে বামে বৃদ্ধি পায় যেখানে প্রতিটি অংকের মান দ্বিগুণ হয়।
দশমিক সংখ্যা ৫ কে বাইনারি সংখ্যায় কিভাবে প্রকাশ করা হয়?
উত্তর: দশমিক সংখ্যা ৫ কে বাইনারি সংখ্যায় ১০১ হিসাবে প্রকাশ করা হয়।
বাইনারি সংখ্যার গুরুত্ব কি কি?
উত্তর: বাইনারি সংখ্যার গুরুত্ব হলো, এটি কম্পিউটার প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় কারণ কম্পিউটার কেবল চালু (১) এবং বন্ধ (০) এই দুইটি অবস্থার মাধ্যমে তথ্য প্রক্রিয়া করে।
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যা ১০ (দশমিক) কিভাবে প্রকাশ করা হয়?
উত্তর: বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যা ১০ (দশমিক) কে ১০১০ হিসাবে প্রকাশ করা হয়।