কেরোসিনের ঘনত্ব কত?

কেরোসিনের ঘনত্ব প্রায় ০.৮১ থেকে ০.৮২ গ্রাম/সেন্টিমিটার ঘনক (g/cm³)।

“কেরোসিনের ঘনত্ব কত?”

এখন একটু বিস্তারিত কথা বলা যাক। কেরোসিন একধরনের জ্বালানি তেল, যা বিমানের জ্বালানি হিসেবে এবং ঘরে আলো প্রদান করা বা রান্না করার কাজে ব্যবহার হয়। এর ঘনত্ব হল একটি পরিমাপ, যা দেখায় একই পরিমাণে এর ভর বা ওজন কত। আমরা জানতে পারি কেরোসিন বেশ লাইট বা হালকা, কারণ তার ঘনত্ব পানির ঘনত্ব (১.০ গ্রাম/সেন্টিমিটার ঘনক) থেকে কম।

উদাহরণ দিয়ে বলি, যদি আমরা এক লিটার কেরোসিন এবং এক লিটার পানি নিই, তাহলে কেরোসিনের ওজন হবে প্রায় ৮১০ থেকে ৮২০ গ্রাম, যেখানে পানির ওজন হবে ১০০০ গ্রাম। এই হিসাব থেকে আমরা বুঝতে পারি কেরোসিন পানির চেয়ে হালকা।

ঘনত্ব বলতে কী বুঝায়?

ঘনত্ব হলো একটি পদার্থের ভর ও আয়তনের মধ্যেকার অনুপাত। এটি দেখায় যে একই পরিমাণ আয়তনে কতটুকু ভর বা মাস থাকতে পারে।

কেরোসিন কি ধরনের পদার্থ?

কেরোসিন একটি হালকা পেট্রোলিয়াম পণ্য যা প্রধানত জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি বিভিন্ন ধরণের হিটার, ল্যাম্প এবং জেট ইঞ্জিনে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়।

জ্বালানি হিসেবে কেরোসিনের ব্যবহার কি কি?

কেরোসিন বিভিন্ন ধরণের ব্যবহারে লাগে, যেমন: ঘরোয়া হিটারল্যাম্প জ্বালানো, জেট ইঞ্জিন এবং কিছু ক্ষেত্রে কুকিং ফুয়েল হিসেবে।

কেরোসিন এবং পানির ঘনত্বের মধ্যে পার্থক্য কি?

কেরোসিনের ঘনত্ব পানির ঘনত্বের চেয়ে কম হয়, যার ফলে কেরোসিন পানির উপরে ভাসে। পানির ঘনত্ব প্রায় ১ গ্রাম/সেমি³ অথবা ১০০০ কিলোগ্রাম/মিটার³ এবং কেরোসিনের ঘনত্ব প্রায় ০.৮ গ্রাম/সেমি³ অথবা ৮০০ কিলোগ্রাম/মিটার³ হয়।

কেন ঘনত্ব জানা গুরুত্বপূর্ণ?

ঘনত্ব জানা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আমাদেরকে বিভিন্ন পদার্থের ভাস্তুত্ব এবং মিশ্রণের ধরণ সম্পর্কে ধারণা দেয়, যেমন কোনো পদার্থ পানিতে ভাসবে নাকি ডুবে যাবে তা নির্ধারণ করে। এছাড়াও, এটি বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রে মানের নির্ণায়ক হিসেবে কাজ করে।

Scroll to Top