ইউরিন টেস্টের প্রকারভেদ কী কী?

ইউরিন টেস্ট মূলত দুই প্রকার – রুটিন ও মাইক্রোস্কপিক।

ইউরিন টেস্টের প্রকার কতটি?

ইউরিন টেস্ট হচ্ছে আমাদের প্রস্রাব পরীক্ষা করে শরীরের বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য অবস্থা জানার একটি উপায়। এই পরীক্ষা দুই ধরনের হতে পারে। প্রথমটি হল “রুটিন পরীক্ষা” যা সাধারণত রোগ নির্ণয়ে এবং শরীরের সাধারণ অবস্থা জানার জন্য করা হয়। এটি প্রোটিন, গ্লুকোজ, লাল রক্ত কোষ, সাদা রক্ত কোষ, এবং অন্যান্য উপাদানের মাত্রা পরীক্ষা করে। দ্বিতীয়টি হল “মাইক্রোস্কপিক পরীক্ষা” যেখানে প্রস্রাবে থাকা কণিকাগুলি যেমন কোষ, লবণের ক্রিস্টাল, বা ব্যাক্টেরিয়া ইত্যাদি মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখা হয়।

উদাহরণস্বরূপ, ধরুন তুমি কিছুদিন ধরে খুব বেশি পিপাসা অনুভব করছো এবং প্রস্রাবে বারবার যেতে হচ্ছে। ডাক্তার হয়তো তোমার প্রস্রাবের রুটিন পরীক্ষা করতে বলবেন যেখানে তারা গ্লুকোজের মাত্রা পরীক্ষা করবেন। যদি প্রস্রাবে গ্লুকোজের মাত্রা বেশি পাওয়া যায়, তাহলে এটি ডায়াবেটিসের ইঙ্গিত দিতে পারে।

ইউরিন টেস্টে কেন ডাক্তাররা আগ্রহী হন?

ডাক্তাররা ইউরিন টেস্টে আগ্রহী হন কারণ এটি শরীরের বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য অবস্থা যেমন: ইনফেকশন, ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা ইত্যাদি সনাক্ত করতে সক্ষম।

ইউরিন টেস্টে কি কি জিনিস পরীক্ষা করা হয়?

ইউরিন টেস্টে সাধারণত গ্লুকোজ, প্রোটিন, লবণ (যেমন ন্যাত্রিয়াম), পিএইচ লেভেল, এবং ইনফেকশনের লক্ষণ যেমন ব্যাকটেরিয়া এবং রক্তের প্রতিরক্ষা কোষ পরীক্ষা করা হয়।

ইউরিন টেস্ট কীভাবে কিডনির সমস্যা সনাক্ত করে?

ইউরিন টেস্টে প্রোটিনের উপস্থিতি কিডনির সমস্যা সনাক্ত করার একটি মূল উপায়। স্বাভাবিকভাবে, প্রোটিন রক্তে থাকে এবং ইউরিনে পাওয়া যায় না। যদি প্রোটিন ইউরিনে পাওয়া যায়, তাহলে তা কিডনির ফিল্টারিং সিস্টেমে সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।

ইউরিন টেস্ট কিভাবে ডায়াবেটিস সনাক্ত করে?

ইউরিন টেস্টে গ্লুকোজের উপস্থিতি ডায়াবেটিস সনাক্ত করার একটি পদ্ধতি। সাধারণত, ইউরিনে গ্লুকোজ পাওয়া যায় না; তবে ডায়াবেটিসের কারণে রক্তের উচ্চ গ্লুকোজ লেভেল থেকে গ্লুকোজ ইউরিনে চলে যায়।

ইউরিন টেস্টে কীভাবে ইনফেকশন সনাক্ত করা হয়?

ইউরিন টেস্টে ব্যাকটেরিয়া এবং লিউকোসাইট এস্টেরেজ (এক ধরণের এনজাইম যা শরীরের প্রতিরক্ষা কোষ থেকে আসে) এর উপস্থিতি দ্বারা ইনফেকশন সনাক্ত করা হয়। এই দুই উপাদানের উপস্থিতি মূত্রপথের ইনফেকশন বা অন্য কোনো ইনফেকশনের ইঙ্গিত দেয়।

Scroll to Top