সায়েন্সের কোন কোন বই আছে?

সাইন্সের বই মূলত বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা যেমন পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, মহাকাশ বিজ্ঞান ইত্যাদি নিয়ে লেখা হয়।

সাইন্সের বই কোন কোন?

বিস্তারিতঃ সাইন্স বা বিজ্ঞান অনেক বিস্ময়কর বিষয় নিয়ে গঠিত। যেমন, পদার্থবিজ্ঞানে তুমি শিখতে পারবে মাটি থেকে আকাশ পর্যন্ত সবকিছু কীভাবে কাজ করে, নিউটনের আইন কি বা গ্র্যাভিটি কীভাবে কাজ করে। রসায়নে তুমি জানবে পানি তৈরি হয় কীভাবে, বা বিভিন্ন রাসায়নিক মিশ্রণের পিছনের গল্প। জীববিজ্ঞানে তুমি প্রাণী ও উদ্ভিদের জীবন চক্র, মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবে। মহাকাশ বিজ্ঞানে তুমি জানতে পারবে মহাকাশ, গ্রহ, তারা, ছায়াপথ সম্পর্কে।

উদাহরণ হিসেবে, ধরো তুমি একটি ম্যাগনেট নিয়ে খেলছো। এটি কীভাবে লোহার টুকরোকে আকর্ষণ করে, এবং কেন কিছু বস্তু আকর্ষণ করে আর কিছু করে না, তা সম্পর্কে জানতে পদার্থবিজ্ঞানের বইটি তোমাকে সাহায্য করবে। অথবা যখন তুমি একটি গাছের পাতা দেখো এবং ভাবো এটি সবুজ কেন, জীববিজ্ঞানের বই তোমাকে বলবে এটি ক্লোরোফিলের কারণে এবং এই ক্লোরোফিল কীভাবে সূর্যের আলো থেকে খাদ্য তৈরি করে।

এভাবে, বিজ্ঞানের বইগুলো আমাদের চারপাশের দুনিয়া সম্পর্কে জানার এক অসাধারণ সুযোগ দেয়।

পৃথিবীর ঘূর্ণন এবং অভিকর্ষ বলের কারণে দিন এবং রাত কিভাবে সৃষ্টি হয়?

পৃথিবী নিজের অক্ষের চারপাশে ঘূর্ণন করে, যা পৃথিবীর এক পাশকে সূর্যের দিকে এবং অন্য পাশকে সূর্য থেকে দূরে রাখে। যে পাশ সূর্যের দিকে থাকে, সেখানে দিন হয় এবং যে পাশ সূর্য থেকে দূরে থাকে, সেখানে রাত হয়।

পানির তিনটি অবস্থা কি কি এবং তা কিভাবে পরিবর্তন হয়?

পানির তিনটি অবস্থা হলো তরল, কঠিন (বরফ), এবং গ্যাস (বাষ্প)। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে পানি তরল থেকে গ্যাসে পরিণত হয়, যাকে বাষ্পীভবন বলে, এবং তাপমাত্রা কমলে তরল থেকে কঠিনে পরিণত হয়, যাকে হিমায়ন বলে।

গাছ কিভাবে খাবার তৈরি করে?

গাছ সূর্যের আলো, পানি, এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করে ফটোসিন্থেসিস প্রক্রিয়া দ্বারা খাবার তৈরি করে। এই প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন উৎপাদন হয়, যা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণী শ্বাস নিতে ব্যবহার করে।

কিভাবে বৃষ্টি হয়?

বৃষ্টি হয় যখন মেঘের মধ্যে জমে থাকা জলকণা পর্যাপ্ত ভারী হয়ে পড়ে, এবং আকাশ থেকে জলবিন্দু হিসেবে পৃথিবীর দিকে পড়ে। এই প্রক্রিয়া শুরু হয় যখন সূর্যের তাপে পানি বাষ্প হয়ে উঠে এবং আকাশে উঠে মেঘ তৈরি করে।

চাঁদের বিভিন্ন দশা কিভাবে সৃষ্টি হয়?

চাঁদের বিভিন্ন দশা হলো চাঁদের এবং পৃথিবীর মধ্যে সূর্যের আলো পড়ার ভিন্নভাবে বিন্যাসের কারণে সৃষ্টি। যেমন, পূর্ণিমা হয় যখন চাঁদ পৃথিবী থেকে সূর্যের বিপরীত দিকে থাকে এবং পুরো চাঁদটি আলোকিত হয়। অমাবস্যা হয় যখন চাঁদ পৃথিবী এবং সূর্যের মধ্যে থাকে, এবং চাঁদের যে অংশ পৃথিবীর দিকে থাকে তা আলোকিত হয় না।

Scroll to Top