সমান্তর ধারা কী?

সমান্তর ধারা হচ্ছে এমন একটি ধারা যেখানে প্রতিটি পদের মধ্যে সমান পার্থক্য থাকে।

সমান্তর ধারা কি?

চলো একটু বিস্তারিত বুঝি। ধরা যাক, তুমি প্রতি দিন একই সময়ে ৫ টি করে চকলেট খাও। প্রথম দিন তুমি ৫টি, দ্বিতীয় দিন ১০টি, তৃতীয় দিন ১৫টি, এভাবে চলতে থাকে। এখানে প্রতিদিন তুমি যে চকলেটের সংখ্যা বাড়াচ্ছো, তার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা (এখানে ৫) দ্বারা পার্থক্য আছে। এমন একটি ধারাকে আমরা সমান্তর ধারা বলে থাকি।

আরেকটি উদাহরণ হল, যদি তুমি একটি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠো, এবং প্রতিটি ধাপে তুমি একই উচ্চতায় উঠো, তাহলে সেই ধাপগুলোর উচ্চতা একটি সমান্তর ধারার মতো। প্রতিটি ধাপের উচ্চতার পার্থক্য সমান, যেমন প্রতিটি ধাপ ২০ সেন্টিমিটার উচ্চ।

সুতরাং, সমান্তর ধারা মূলত এমন এক ধারার সিরিজ যেখানে পরপর প্রতিটি সংখ্যার মধ্যে সমান পার্থক্য থাকে, এবং এই ধারাটি একই হারে বৃদ্ধি পায়।

সমান্তর ধারা কি?

সমান্তর ধারা হলো একটি গণিতের শ্রেণি যেখানে প্রতিটি পরপর সংখ্যার মধ্যে সমান পার্থক্য থাকে। যেমন, 2, 4, 6, 8 একটি সমান্তর ধারা কারণ প্রতিটি সংখ্যা 2 দ্বারা বৃদ্ধি পায়।

সমান্তর ধারার প্রথম পদ এবং তার ব্যবধান জানলে কীভাবে কোনো নির্দিষ্ট পদের মান নির্ণয় করা যায়?

সমান্তর ধারার কোনো নির্দিষ্ট পদের মান নির্ণয় করার জন্য ফর্মুলা হলো: a_n = a + (n-1)d, যেখানে a_n হলো n তম পদের মান, a হলো প্রথম পদের মান, n হলো পদের সংখ্যা, এবং d হলো ব্যবধান।

সমান্তর ধারার নির্দিষ্ট সংখ্যক পদের যোগফল কীভাবে নির্ণয় করা যায়?

সমান্তর ধারার নির্দিষ্ট সংখ্যক পদের যোগফল নির্ণয়ের ফর্মুলা হলো: S_n = n/2[2a + (n-1)d], যেখানে S_n হলো n পদের যোগফল, n হলো পদের সংখ্যা, a হলো প্রথম পদের মান, এবং d হলো পদের মধ্যে ব্যবধান।

যদি একটি সমান্তর ধারার প্রথম পদ হয় 5 এবং ব্যবধান হয় 3, তাহলে 10ম পদের মান কত হবে?

এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য আমরা ফর্মুলাটি ব্যবহার করবো: a_n = a + (n-1)d। এখানে, a = 5, d = 3, এবং n = 10। সুতরাং, a_10 = 5 + (10-1)3 = 5 + 27 = 32।

একটি সমান্তর ধারা কেন গণিতে গুরুত্বপূর্ণ?

সমান্তর ধারা গণিতে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে, যেমন সময় ও দূরত্ব সম্পর্কিত প্রশ্ন, অর্থনৈতিক মডেলিং, এবং পরিসংখ্যানে ডেটা বিশ্লেষণ। এটি অনুক্রমিক যোগফল নির্ণয়ের একটি মৌলিক উপায় হিসেবে কাজ করে।

Scroll to Top