মালয়েশিয়া ভ্রমণ করতে চান? প্রথমেই জানুন মালয়েশিয়া ভিসার খরচ সম্পর্কে। ২০২৪ সালে মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত হবে, তা নিয়ে অনেকেরই কৌতূহল।
ভিসার ধরন অনুযায়ী খরচের ভিন্নতা হতে পারে। ট্যুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা কিংবা ওয়ার্ক ভিসার জন্য খরচ আলাদা। এছাড়াও, আবেদন প্রক্রিয়া ও অন্যান্য খরচ সম্পর্কেও তথ্য জানা জরুরি। তাই, মালয়েশিয়া ভিসার খরচ ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়তে থাকুন।
মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত ২০২৪
ভিসার ধরন | খরচ (টাকা) |
---|---|
স্টুডেন্ট ভিসা | ২ – ২.৫ লক্ষ |
এম্প্লয়মেন্ট ভিসা | ৫ – ৬ লক্ষ |
বিজনেস ভিসা | ৫ – ৬ লক্ষ |
ফ্যাক্টরি ভিসা | ৩ – ৪ লক্ষ |
কৃষি ভিসা | ৩ – ৩.৫ লক্ষ |
মেডিকেল ভিসা | ৩ – ৪ লক্ষ |
টুরিস্ট ভিসা | ৩.৫ – ৪ লক্ষ |
বিমানের টিকিট | ৩০ – ৫০ হাজার |
আরো পড়ুন: পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট
মালয়েশিয়ায় ভ্রমণ ও কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ভিসা তথ্য
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রধান কারণগুলির মধ্যে চাকরি, লেখা পড়া এবং ভ্রমণ অন্যতম। নিজেদের জীবনকে উন্নত করার ইচ্ছায় বহু বাংলাদেশি প্রতিনিয়ত মালয়েশিয়ার দিকে রওনা দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে প্রথম এবং প্রধান প্রয়োজন মালয়েশিয়া ভিসা। উল্লেখ্য, এর পাশেও আপনাকে পাসপোর্টও তৈরি করতে হবে। সম্প্রতি মালয়েশিয়া সরকার আবার বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা চালু করেছে, যার দাম নানা কারণে বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তন হতে পারে। অতএব, ভিসার বিস্তারিত তথ্য নিয়ে এখানে আলোচনা করা হবে।
মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকার ভিসার তালিকা
মালয়েশিয়া যেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে। মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট বা ছাত্র ভিসা, বিজনেস ভিসা, এন্ট্রি ভিসা, এম্প্লয়মেন্ট ভিসা, এবং মেডিকেল ভিসা। এই ভিসার প্রতিটি নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং খরচের ভিন্নতা আছে। কাজের ক্ষেত্রে এম্প্লয়মেন্ট ও বিজনেস ভিসা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়, এবং শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা অন্যতম জনপ্রিয়।
মালয়েশিয়া ভিসা কিভাবে অর্জন করবেন?
ভিসা তৈরির প্রক্রিয়াটি সার্থকভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রথমেই আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে কোন ভিসার মাধ্যমে আপনি যেতে চান। অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহজেই আপনি ভিসা করতে পারেন। এছাড়া কোনো দালালের মাধ্যমে গেলে আপনাকে শুধু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। ভিসা বানাতে অবশ্যই উপযুক্ত বয়স, জাতীয় পরিচয় পত্র এবং পাসপোর্ট প্রয়োজন। এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করার পর বিভিন্ন ভিসার জন্য বিভিন্ন ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।
২০২৪ সালে মালয়েশিয়া ভিসার খরচ
নতুন করে ভিসা চালুর ফলে বর্তমানে মালয়েশিয়া ভিসার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। স্টুডেন্ট ভিসা অন্যান্য ভিসার চেয়ে কম দামে পাওয়া যায়, সাধারণত এটি ২ থেকে ২.৫ লাখ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। এম্প্লয়মেন্ট ভিসার খরচ প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা হতে পারে। অন্যদিকে, বিজনেস ভিসার দর ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার মধ্যে হয়। এসময় ভিসার দাম ভিন্ন হতে পারে, তাই আপনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
কাজের ভিসার খরচ ও প্রক্রিয়া
মালয়েশিয়ায় কাজের জন্য বিভিন্ন উন্নতমানের কোম্পানি রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি উভয়ভাবেই কাজের জন্য ভিসা তৈরি করা যায়। সাধারণত কাজের ভিসার দাম ব্যয়সাপেক্ষ হয়ে থাকে এবং ভিসার খরচ প্রায় ৫ লাখ টাকা। যদি কোনো এজেন্ট বা দালালের মাধ্যমে কাজ করতে চান তবে এটি হতে পারে আরও খরচ বেড়ে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এই অর্থের মধ্যে আপনার অন্যান্য খরচের দিকে নজর দিতে হবে যেমন ভিসার প্রসেসিং ফি এবং অন্যান্য অতিরিক্ত খরচ।
ফ্যাক্টরি ভিসার তথ্য ও দাম
ফ্যাক্টরি ভিসা মালয়েশিয়ায় কাজের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ভিসাগুলির একটি। ভালো মানের বেতন এবং কম খরচে যাওয়া যায় এই ভিসার মাধ্যমে। বর্তমানে এর খরচ ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। আগে এই ভিসাটি ২.৫ থেকে ৩ লাখ টাকার মধ্যে হয়ে যেতো তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি কিছুটা বেশি খরচ হচ্ছে।
কৃষি ভিসার খরচ ও সুবিধা
কৃষি ভিসা পেয়ে মালয়েশিয়ায় যাওয়া সুবিধাজনক কিন্তু এর চাহিদা অনেক কম। কৃষি ভিসার খরচ প্রায় ৩ লক্ষ টাকা, যা তুলনামূলকভাবে কম তবে এজেন্সির মাধ্যমে গেলে ৩.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কৃষি ভিসায় আগ্রহী লোকের সংখ্যা খুবই কম কিন্তু যারা এই পথে যেতে চান তারা নির্দিষ্ট এজেন্সির মাধ্যমে সহজেই ভিসা পেতে পারেন।
স্টুডেন্ট ভিসার খরচ ও প্রক্রিয়া
স্টুডেন্ট ভিসা হল সবচেয়ে কম খরচে মালয়েশিয়া যাওয়ার উপায়। এই ভিসা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের জন্য সুবিধাজনক। সাধারণত সরকারি সহায়তায় ডজনখানিক ছাত্র পর্যায়ক্রমে স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে থাকে যা ২ থেকে ২.৫ লক্ষ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি খুবই মূল্যবান একটি ভিসা।
মালয়েশিয়ার মেডিকেল ভিসার দাম
মেডিকেল ভিসা মালয়েশিয়ায় চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য অন্যতম জনপ্রিয়। উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা পেতে অনেকেই এই ভিসার জন্য আবেদন করেন। মেডিকেল ভিসার খরচ প্রায় ৩ লক্ষ টাকা, তবে চিকিৎসার অন্যান্য খরচের সাথে মিলিয়ে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাজেট রাখতে হবে।
ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় টুরিস্ট ভিসার খরচ
মালয়েশিয়া ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে প্রচলিত ভিসা হল টুরিস্ট ভিসা। এই ভিসা দিয়ে কেবলমাত্র ভ্রমণ করা যাবে এবং নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত অবস্থান করা যাবে। এর খরচ ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, তবে এজেন্সির মাধ্যমে করলে এটি ৩.৫ লক্ষ টাকার মধ্যে হতে পারে।
বিমানের টিকিটের খরচ
ভিসার সাথে সঙ্গে আপনাকে পাসপোর্টও করতে হবে এবং মালয়েশিয়া পৌঁছানোর জন্য প্লেনের টিকিট কিনতে হবে। টিকিটের দাম বিমানের ধরণের উপর নির্ভর করবে, সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে। এই খরচ ভিসা ও পাসপোর্টের পাশাপাশি গুনতে হবে।
শেষ কথা
বলা বাহুল্য, মালয়েশিয়া যেতে ভিসা একটি অপরিহার্য উপাদান। প্রতিটি ভিসার জন্য ভিন্নধর্মী কাগজপত্র এবং খরচ প্রয়োজন। এই আর্টিকেলে মালয়েশিয়া ভিসার যাবতীয় তথ্য বিশদভাবে উপস্থাপন করেছি। আশা করছি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সহায়ক হবে।