itali visa khoroch itali jete koto taka lage

ইতালি ভিসা খরচ ২০২৪ & ইতালি যেতে কত টাকা লাগে 

ইতালি ভ্রমণ করতে চান? তাহলে প্রথমেই জানতে হবে ভিসা প্রক্রিয়া এবং এর খরচ সম্পর্কে। ২০২৪ সালে ইতালি ভিসার জন্য কত টাকা লাগবে, সেটা নিয়ে অনেকেরই কৌতূহল। ভিসা ফি, ভ্রমণ বীমা, এবং অন্যান্য খরচের হিসাব দিলে মোট খরচটা কত দাঁড়ায়?

এই ব্লগে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো। ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াটি কীভাবে শুরু করবেন, এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি লাগবে। এছাড়াও, ভিসার জন্য সম্ভাব্য খরচের তালিকা পাবেন। ইতালি ভ্রমণের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য এই তথ্যগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ইতালি ভিসা খরচ ২০২৪ & ইতালি যেতে কত টাকা লাগে 

ভিসার ক্যাটাগরি খরচ (টাকা)
টুরিস্ট ভিসা ৩ থেকে ৪ লক্ষ
স্টুডেন্ট ভিসা ৩ থেকে ৪ লক্ষ (সিজনাল ভিসা), সর্বনিম্ন ৫ লক্ষ টাকা ব্যাংক ব্যালান্স

আরো পড়ুন: সম্পূর্ণ বিনা খরচে মালয়েশিয়া

ইতালির পরিচিতি ও অর্থনৈতিক শ্রেষ্ঠত্ব

ইতালি হলো পশ্চিম ইউরোপের একটি উল্লেখযোগ্য প্রজাতান্ত্রিক সংসদীয় রাষ্ট্র, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটা সদস্য। শেনঝেন চুক্তিতে স্বাক্ষরিত হওয়ায় শেনঝেন ভিসা নিয়ে এখানে প্রবেশ করা যায়। ইতালির রাজধানী হলো রোম। দেশের জিডিপি ১.৮ বিলিয়ন ডলারের উর্ধ্বে নিয়ে ইতালি ইউরোপের চতুর্থ বৃহত্তম এবং বিশ্বব্যাপী অষ্টম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে বসবাস এবং কাজের উদ্দেশ্যেই পাড়ি জমায়।

বাংলাদেশ থেকে ইতালির যাত্রা ও ভিসার প্রয়োজনীয় খরচ

বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক ইতোমধ্যেই প্রবাসী হিসেবে ইতালিতে বসবাস করছে। অন্যান্য অনেকেই জীবিকার তাগিদে এখানে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। তবে ইতালি যেতে হলে ভিসাসহ নানা খরচের ব্যাপার আছে যা বেশিরভাগের কাছেই অজানা। তাই, ইতালিতে যাওয়ার বিস্তারিত খরচ সম্পর্কে জানার জন্য অনেকেই ইন্টারনেট অনুসন্ধান করেন। এই আর্টিকেলে তাদের সুবিধার জন্য ইতালি যাওয়ার খরচ সহ আসার উপায় সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হবে।

ইতালি ভিসার ব্যয় ২০২৪

যদি আপনি বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে চান, তাহলে ভিসার খরচ আপনার জন্য অনেক বেশি হবে। কারণ ইউরোপের যে কোন দেশে ভিসার জন্য বাংলাদেশিদের তুলনামূলকভাবে বেশি টাকা খরচ করতে হয়। অন্য দেশ থেকেও ইতালি যাওয়ার খরচ বেশি হয়। বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে যারা আগ্রহী, তাদের জন্য ভিসার দাম সম্পর্কিত তথ্য এখানে উল্লেখ করা হলো।

ইতালি ভ্রমণের আনুমানিক খরচ

ইতালি যেতে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা লাগতে পারে তা জানার জন্য অনেকেই অনলাইনে খোঁজ করেন। এখানে বিস্তারিত সেই বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে। ইতালি যেতে হলে আপনাকে আগে ভিসার ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে। নানা ক্যাটাগরির ভিসার জন্য খরচের পার্থক্য থাকে, তাই অনলাইনে বা কোনো এজেন্টের মাধ্যমে সঠিক ভিসার খরচ জেনে নেয়া বাঞ্ছনীয়।

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাত্রার প্রক্রিয়া

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে হলে আপনাকে বিমানে করে যেতে হবে। তবে বিমানে যাত্রা করার আগে কিছু প্রস্তুতি দরকার। প্রথমে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে কোন কাজের জন্য এবং কোন ভিসায় আপনি ইতালি যেতে চান। এরপর অনলাইনে বা পরিচিত অথর্স অফিসিয়ালের মাধ্যমে ভিসার মূল্য জেনে নিতে হবে। যাত্রার জন্য একটি সর্বনিম্ন এক বছর মেয়াদী পাসপোর্ট থাকা বাঞ্ছনীয়, পাশাপাশি ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে।

ইতালির ভিসার ক্যাটাগরি

ইতালি যেতে চাইলে দুটি প্রধান ভিসার ক্যাটাগরির মধ্যে একটি বেছে নিতে হবে: সিজনাল নয় নন-সিজনাল ভিসা। এছাড়াও, যেই ভিসা নেয়া হোক না কেন, বাংলাদেশের সরকারী মান্যতায় তা করতে হবে। ভিসার জন্য যা প্রয়োজন:

ইতালি স্পন্সর ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, কৃষি ভিসা, মেডিকেল ভিসা, টুরিস্ট ভিসা

ইতালি যাওয়ার জন্য পাওয়া যাবে যেসব ভিসা

বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য বর্তমানে নানা ধরনের ভিসা পাওয়া যায়। কিছু কিছু ভিসা যে সময়ে বন্ধ ছিল, তা এখন আবার চালু হয়েছে। টুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, কাজের ভিসা, বিভিন্ন শ্রমিক ভিসা ইত্যাদি নিয়ে ইতালি যেতে পারবেন।

ইতালি টুরিস্ট ভিসার দাম ২০২৪

ভিসার মূল্য নির্ধারণ সিজনাল নয় নন-সিজনাল ভিসার উপর নির্ভর করে। ভ্রমণের জন্য সিজনাল ভিসার খরচ ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা হতে পারে। এই পরিমাণ টাকা খরচ করলে আপনি টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ইতালি স্টুডেন্ট ভিসার দাম ২০২৪

উচ্চশিক্ষার্থে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর শিক্ষার্থী ইতালি এসেছেন এবং আরও যেতে ইচ্ছুক। স্টুডেন্ট ভিসার জন্য অত্যন্ত বেশি টাকা খরচ করতে হয়, যা সিজনাল ভিসার জন্য ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা হয়। শিক্ষার্থী ভিসা র জন্য সর্বনিম্ন ৫ লক্ষ টাকা ব্যাংক ব্যালান্স থাকা বাধ্যতামূলক।

ইতালির ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া

ভিসা পেতে হলে বেশ কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। প্রথমে, একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। এরপর, সিজনাল নাকি নন-সিজনাল ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনীয় সকল ব্যক্তিগত ডকুমেন্ট বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ অফিসে জমা দিতে হবে। যথাযথ বৈধতার সাথে তথ্যাদি নির্দিষ্ট অফিসে জমা দিলে, ইতালিতে ঢোকার সকল নিয়ম পূরণ করতে হবে।

শেষ কথা

ইতালি যেতে হলে নির্ধারিত নিয়ম মেনে ভিসাপ্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ অধীনে জমা দিতে হবে। সঠিকতার সাথে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেই বৈধভাবে ইতালিতে যাওয়া সম্ভব। উপরের আলোচনা থেকে ইতালি ভিসা খরচ সম্পর্কে জানতে পারলেন। আশেপাশে যারা ইতালি যেতে ইচ্ছুক তাদেরকে এই পোস্টটি শেয়ার করে সাহায্য করুন।

আরও দেখুনঃ ইতালিতে বেতনের পরিমাণ ২০২৪

Scroll to Top