ডাটা কমিউনিকেশন মাধ্যম কি?

মনে প্রশ্ন আসতে পারে – যোগাযোগের যে সংযোগ রয়েছে তার ভেতর দিয়ে তথ্য আসলে কীভাবে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে দেওয়া নেওয়া হয়?

এটা আসলে হয় যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণকারী সফট্ওয়্যারের মাধ্যমে। এই সফট্ওয়্যারের মাধ্যমে বিভিন্ন সিস্টেমের সাথে যোগাযোগ সম্ভবপর হয়।

এটা যোগাযোগ যন্ত্রকে নির্দেশ দেয় ঠিক কীভাবে এবং কী নিয়মে তথ্যকে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে নিতে হবে। যোগাযোগ যন্ত্রগুলি এই নির্দেশনা মেনে তথ্য এক যন্ত্র হতে অন্য যন্ত্রে দেওয়া নেওয়া করে।

তথ্য আদান প্রদানের জন্য যে নিয়ম কানুন আছে, যা আসলে সফট্ওয়্যার আকারে থাকে, তাকে বলা হয় প্রোটোকল।

নির্ভুল ও দক্ষতার সাথে ডাটা ট্রান্সমিশন করার জন্য কমিউনেকশন সফট্ওয়্যার বা প্রোটোকল নীচের কাজগুলো করে থাকে।

  1. ডাটা সিকোয়েন্সিং (Data Sequencing) – বড় তথ্যকে ছোটো ছোটো সুনির্দিষ্ট আকারে ভেঙে প্রেরণ করে যাতে ভুল না হয় এবং ভুল হলে সংশোধন করা যায় ।
  2. ডাটা রাউটিং (Data Routing)- তথ্য প্রেরণের পূর্বে প্রেরক এবং প্রাপকের মধ্যে সবচে ভালো পথ খুঁজে বের করা ।
  3. ফ্লো কন্ট্রোল (Flow Control) – তথ্য প্রেরক এবং প্রাপকের মধ্যে গতির তারতম্য থাকতে পারে। ফ্লো কন্ট্রোল প্রেরক ও গ্রাহকের মধ্যে তথ্য আদান প্রদান প্রক্রিয়া এমন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে যাতে গতির কম বেশি হওয়ার জন্য কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয়।
  4. ইরর কন্ট্রোল (Error Control) – কমিউনিকেশন প্রোটোকলের অন্যতম কাজ তথ্য আদান প্রদানে প্রক্রিয়ার ভুল শনাক্ত করা এবং তা সংশোধন করা। ইরর কন্ট্রোল নিশ্চিত করে যে, ডেটা ট্রান্সমিশন নির্ভুলভাবে হয়েছে।
Scroll to Top