আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কুইজ হলো ভাষার প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রতীক। ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটি সারা বিশ্বে মাতৃভাষার গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য পালিত হয়। এই দিনটি বাঙালি জাতির জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ভাষার জন্য শহীদ হওয়া সেই সংগ্রামীদের স্মরণে আমরা কুইজের আয়োজন করেছি।
কুইজের মাধ্যমে আমরা ভাষার ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিতে চাই। এটি শুধু জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য নয়, বরং আমাদের মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত করার একটি প্রয়াস। আসুন, অংশগ্রহণ করে আমাদের ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কুইজ
প্রশ্ন | উত্তর |
---|---|
কত সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করা হয়? | ১৯৯৯ সালে |
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে কতজন শহীদ হয়েছিলেন? | ধারণা করা হয় ৯ থেকে ১৩ জন শহীদ হয়েছিলেন |
বিশ্বব্যাপী কতটি দেশে মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়? | ১৯৩ টিরও বেশি দেশে |
‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি কে রচনা করেছেন? | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
‘বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য’ কবিতাটি কে রচনা করেছেন? | আল মাহমুদ |
‘ভাষা শহীদদের স্মরণে’ কবিতাটি কে রচনা করেছেন? | কাজী আনোয়ার হোসেন |
বাংলা ভাষার প্রথম বইটি কে অনুবাদ করেছিলেন? | কাশীদাস |
আরো পড়ুন: কাতারে সোনার দাম কত
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: আমাদের গর্ব ও ঐক্যের প্রতীক
প্রিয় পাঠক, আপনাদের সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমাদের ওয়েবসাইটে। আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব একুশে ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য এবং কিছু কুইজ প্রশ্নের উত্তর।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি
ভাষা আমাদের পরিচয়ের অপরিহার্য অংশ। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও ১৯৫২ সালের শহীদ স্মরণে ২১ ফেব্রুয়ারিকে ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে ১৯৯৯ সালে।
এটি শুধু একটি দিবস নয়, এটি একটি আন্দোলন যা বিশ্বের ভাষাগত বৈচিত্র্য ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে। এর মূল উদ্দেশ্য হল ভাষা এবং সংস্কৃতির গুরুত্ব প্রতিটি জনগোষ্ঠীর কাছে তুলে ধরা। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর উল্লেখ করা হল:
কুইজ: জানতে চাইলে অবশ্যই পড়ুন
১. কত সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করা হয়?
উত্তর: ঘোষণা করা হয় ১৯৯৯ সালে।
২. ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে কতজন শহীদ হয়েছিলেন?
উত্তর: ধারণা করা হয় ৯ থেকে ১৩ জন শহীদ হয়েছিলেন।
৩. বিশ্বব্যাপী কতটি দেশে মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়?
উত্তর: ১৯৩ টিরও বেশি দেশে।
৪. ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি কে রচনা করেছেন?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৫. ‘বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য’ কবিতাটি কে রচনা করেছেন?
উত্তর: আল মাহমুদ।
৬. ‘ভাষা শহীদদের স্মরণে’ কবিতাটি কে রচনা করেছেন?
উত্তর: কাজী আনোয়ার হোসেন।
৭. বাংলা ভাষার প্রথম বইটি কে অনুবাদ করেছিলেন?
উত্তর: কাশীদাস।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব ও প্রভাব
মাতৃভাষা একটি জাতির সংস্কৃতির মূল ভিত্তি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আমাদের ভাষার মর্যাদা রক্ষার ও প্রচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। দিনটির তাৎপর্য নিম্নরূপ:
ভাষার মর্যাদা রক্ষা: এ দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় ভাষা আমাদের জাতিগত পরিচয় ও মর্যাদার প্রতীক। ভাষাগত বৈচিত্র্য: বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ দিবস পালন করা হয়। ভাষা অধিকার: ভাষাগুলোর সমান অধিকার ও ব্যবহারিক বৈষম্য দূর করার প্রচেষ্টা প্রচার করে। সংস্কৃতির ধারক: শিক্ষা এবং সংস্কৃতি সংরক্ষণে মাতৃভাষার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে।
মাতৃভাষার প্রতি আমাদের দায়িত্ব
মাতৃভাষায় কথা বলা এবং প্রসারকে সমর্থন করা একটি প্রধান দায়িত্ব। আমরা প্রযত্ন করতে পারি মাতৃভাষায় শিক্ষা ও গবেষণার প্রসারের। এ ছাড়া, বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করা উচিত।
মাতৃভাষা দিবস আমাদের উদ্দীপ্ত করে আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে। শিক্ষা এবং সৃজনশীলতা উৎসাহিত করে মাতৃভাষায় সাহিত্য, সঙ্গীত, ও অন্যান্য সৃজনশীল কাজে।
উপসংহার
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আমাদের মাতৃভাষার প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং এর সুরক্ষার দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেয়। এ দিবসে আমরা মাতৃভাষায় কথা বলতে উৎসাহিত হতে পারি, এবং মাতৃভাষায় গবেষণা ও বিশ্ব ভাষার সম্পর্কে জানার প্রচেষ্টা চালাতে পারি।
ধন্যবাদ জানাই আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য। আশা করি দিনটি উদযাপন করতে এবং দেশের ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে প্রেরণা পাবেন।