bajrigar pakhir dam koto

বাজরিগার পাখির দাম কত ২০২৪

বাজরিগার পাখি, যা সাধারণত “বাজি” নামে পরিচিত, পোষা পাখির জগতে খুবই জনপ্রিয়। এদের রঙ-বেরঙের পালক এবং মিষ্টি স্বভাব সব বয়সের মানুষের মন কেড়ে নেয়। কিন্তু, এই পাখির দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠে।

২০২৪ সালে বাজরিগার পাখির দাম কত হতে পারে? বিভিন্ন কারণের উপর ভিত্তি করে এদের দাম পরিবর্তিত হতে পারে। স্থান, প্রজাতি, এবং পাখির স্বাস্থ্য এ ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করে। বাজারে কোথায় এবং কখন আপনি কিনছেন, সেটাও একটি বড় ফ্যাক্টর। তাই, বাজরিগার পাখি কেনার আগে কিছু বিষয় জানা জরুরি।

বাজরিগার পাখির দাম কত ২০২৪

শিরোনাম বিবরণ
বাজরিগার পাখির মূল্যের পরিসীমা ৫০০ টাকা থেকে শুরু, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, বিভিন্ন জাতের বাজরিগার ১৫০০ টাকা পর্যন্ত
বাজরিগার খামার পরিচালনার বিনিয়োগ ৩০০০০ থেকে ৪০০০০ টাকা
প্রতি মাসের আয় প্রায় ১০০০০ থেকে ২০০০০ টাকা
বাজরিগার পাখির বাজার মূল্য ছোট আকারের: ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, বড় আকারের: ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা, ছোট জোড়া: ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় জোড়া: ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা
২০২৪ সালের দাম ছোট পাখি: ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, মাঝারি: ৬০০ টাকা, বড়: ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা
বাজরিগার পাখির চেনার পদ্ধতি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ: নীল ঝিল্লি, পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী: বাদামি ঝিল্লি, অল্পবয়স্ক: গোলাপি, সাদা বা নীল ঝিল্লি
প্রতি জোড়া পাখির আয় ৬০০ টাকা
প্রতি মাসের গড় বিক্রি ২০ জোড়া পাখি
বছরের আয় প্রায় ১৫০০০০ টাকা
খাদ্য তালিকা চিনা, তিসি, সূর্যমুখী বীজ, ব্লাক মিলেট, হোয়াইট মিলেট, সেদ্ধ ডিম, আপেল, ছোলাবুট, সবুজ শাকসবজি (কলমি শাক, লাল শাক, সজিনা গাছের কচি পাতা), মিক্সড খাবার, সমুদ্রের ফেনা, ডিমের খোসা, পোড়া মাটি বা ইটের গুড়া

আরো পড়ুন: জয়া প্যাড এর দাম কত

বাজরিগার পাখি: শখ ও ব্যবসার দিগন্ত

মানুষের জীবনে নানা ধরনের শখ রয়েছে, যার মধ্যে পাখি পালন বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বিশেষ করে বাজরিগার পাখি অধিক জনপ্রিয়, যা শখের পাশাপাশি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেও অত্যন্ত লাভজনক। এক নজরে দেখা গেলে এই পাখির মূল্য সাধারণত ৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়, যা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। বিভিন্ন জাতের বাজরিগার পাখির মূল্য ১৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, যা তাদের জাত এবং বিশেষত্ব অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।

বাণিজ্যিক সম্ভাবনা ও লাভজনকতা

বাজরিগার পাখি পালন অনেকের শখ হলেও এর ব্যবসায়িক সম্ভাবনাও অপার। এই পাখিগুলি লালন-পালনে খরচ কম হওয়ায় ব্যবসার দিক থেকে খুবই লাভজনক। মধ্যম আকারের এবং ছোট আকারের বাজরিগার পাখি সহজেই কয়েক মাস পালনের পর বিক্রি করা যায়, যা ব্যবসায়ে দ্রুত ফিরতি মুনাফা প্রদানে সক্ষম। বাজরিগার পাখির খামার পরিচালনা করতে কমপক্ষে ৩০০০০ থেকে ৪০০০০ টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন হয়, যার মাধ্যমে প্রতি মাসে প্রায় ১০০০০ থেকে ২০০০০ টাকা আয় সম্ভব।

বাজরিগার পাখির বাজার মূল্য

বাজরিগার পাখির বাজার মূল্য তাদের আকার, বয়স ও জাতের উপর নির্ভর করে। ছোট আকারের বাজরিগার পাখির দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে থাকে, যেখানে বড় আকারের পাখির মূল্য ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। একটি পূর্ণবয়স্ক বাজরিগার পাখির দাম নিষ্পত্তি হয় প্রায় ১৫০০ টাকার মধ্যে। জোড়া হিসেবে বাজারে প্রাপ্ত ছোট সাইজের পাখির মূল্য ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, যেখানে বড় সাইজের জোড়ার দাম ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে ভিন্ন হতে পারে।

২০২৪ সালে বাজরিগার পাখির দাম

২০২৪ সালে বাজরিগার পাখির মূল্য কেমন হতে পারে, তা নির্ভর করবে তাদের আকার, ধর্ম এবং জাতের ওপর। সাধারণত ছোট পাখি গুলো ২৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। মাঝারি সাইজের পাখির দাম প্রায় ৬০০ টাকা এবং বড় সাইজের পাখির দাম ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। বিভিন্ন জাতের বাজরিগার পাখি প্রাপ্ত এই দর বৃদ্ধি হবার একটি সাম্ভাব্য পরিসীমা দিতে পারে।

বাজরিগার পাখির পরিচয় চেনার পদ্ধতি

বাজরিগার পাখিকে চিনতে হলে তাদের কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করতে হবে। পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাজরিগারের নাকের চারপাশে নীল ঝিল্লি, আর পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী বাজরিগারের চারপাশে বাদামি ঝিল্লি দেখা যায়। অল্পবয়স্ক পুরুষ এবং স্ত্রী বাজরিগারের নাকের চারপাশের ঝিল্লির রঙ গোলাপি, সাদা বা নীল হতে পারে। এসব বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে আপনি সহজেই বাজরিগার পাখি চেনার পক্ষপাতী হতে পারেন।

বাজরিগার খামার থেকে আয় করার উপায়

বাংলাদেশে বাজরিগার পাখির খামার গড়ে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী লাভবান হয়েছেন। প্রতি জোড়া পাখি বিক্রি করে ৬০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা যেতে পারে। প্রতি মাসে গড়ে ২০ জোড়া পাখি বিক্রি করে ১০০০০ থেকে ২০০০০ টাকা আয়ের সক্ষমতা রয়েছে। বাজরিগার পাখির খামারে খরচের প্রতিফল হিসাব করলে, বছরে প্রায় ১৫০০০০ টাকা লাভজনক হতে পারে, যা বাণিজ্যিক খামারির সমুদ্র পারাবার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে।

বাজরিগার পাখির খাদ্য তালিকা

বাজরিগার পাখির সঠিক পরিচর্যা ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। তাদের খাদ্যতালিকায় চিনা, তিসি, সূর্যমুখী বীজ, ব্লাক মিলেট, এবং হোয়াইট মিলেট অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এছাড়া সেদ্ধ ডিম, আপেল, ছোলাবুটও ছোট বাচ্চাদের জন্য উপযোগী। সবুজ শাকসবজি যেমন কলমি শাক, লাল শাক এবং সজিনা গাছের কচি পাতা সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন তাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। দোকান থেকে প্রাপ্ত মিক্সড খাবার এবং সমুদ্রের ফেনা, ডিমের খোসা, পোড়া মাটি বা ইটের গুড়া তাদের খাবারের বিশেষ অংশ হতে পারে।

শেষ কথা

বাজরিগার পাখির বিস্তারিত পালন পদ্ধতি, এদের দাম এবং খামার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে এই নিবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে। এই তথ্যগুলি পাখি পালনকারী এবং ব্যবসায়ী উভয়ের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাজরিগার পাখি পালন যেমন আনন্দদায়ক, তেমনি এর মাধ্যমে বিপুল মুনাফাও অর্জন করা সম্ভব। যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং পূর্ণ উদ্যমে এগিয়ে গেলে বাজরিগার পাখির খামার থেকে আপনি একক্ষেত্রে বিশেষ সক্ষম হওয়ার সম্ভাবনা পাবেন।

Scroll to Top