bangladesh theke america jete koto taka lage

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে | আমেরিকা ভিসার দাম কত 2024

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার স্বপ্ন অনেকের মনেই থাকে। কিন্তু এই স্বপ্ন পূরণ করতে কত টাকা লাগে, সেটা জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এই ব্লগ আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব আমেরিকা ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় খরচ। ২০২৪ সালে ভিসার ফি কত হবে এবং অন্যান্য খরচ কেমন হবে, তা নিয়ে বিশদ আলোচনা থাকবে। আশা করি, এই তথ্যগুলো আপনাদের ভ্রমণ পরিকল্পনায় সহায়ক হবে। চলুন, জেনে নিই আমেরিকা ভিসার জন্য কী পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে | আমেরিকা ভিসার দাম কত 2024

খরচের ধরন পরিমাণ (৳)
বিমান ভাড়া ৳40,000-৳100,000
ভিসা ফি ৳16,000
আবাসন ৳2,000-৳5,000 প্রতি রাত
খাবার খরচ ৳1,000-৳2,000 প্রতিদিন
পরিবহন খরচ ৳500-৳1,000 প্রতিদিন
কার্যকলাপ ৳500-৳2,000 প্রতিদিন
B-1/B-2 (পর্যটন/ব্যবসা) ৳16,000
F-1 (ছাত্র) প্রায় 33,000 টাকা
J-1 (বিনিময় প্রোগ্রাম) প্রায় 33,000 টাকা
H-1B (বিশেষ দক্ষ কর্মী) প্রায় 16,600 টাকা
L-1 (কোম্পানির কর্মী) প্রায় 28,000 টাকা
IR-1/CR-1 (অবিলম্বে অভিবাসী স্পাউস) প্রায় 36,000 টাকা
IR-5 (পারিবারিক স্পন্সরশিপ) প্রায় 28,000 টাকা
DV-1 (ডাইভার্সিটি লটারি ভিসা) প্রায় 19,000 টাকা
DS-160 আবেদন ফি প্রায় 14,000 টাকা
SEVIS ফি প্রায় 30,000 টাকা

আরো পড়ুন: বাংলাদেশি টাকায় বিভিন্ন দেশের আজকের টাকার রেট

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাত্রার বিস্তারিত ও আনুমানিক খরচ

প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের স্বাগতম। আজকের আলোচনা হচ্ছে আমেরিকা যেতে বাংলাদেশের একজন নাগরিকের কত টাকা খরচ হয়। এই তথ্যগুলি গুরুত্বপূর্ণ যাদের বিদেশে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে যাত্রার ইচ্ছা আছে কিংবা শুধু ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। আমেরিকা যাওয়ার পথ সবসময় সহজ নয়, তবে আমাদের এই বিস্তারিত বিশ্লেষণ আপনাকে সঠিক ধারনা পেতে সহায়ক হবে।

অনেক মানুষ আমেরিকা যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে, কিন্তু তারা সঠিক খরচ সম্বন্ধে অবগত নয়। এখানে আমেরিকান ভিসা সহ যাবতীয় খরচ বিশ্লেষণ করে দেখানো হলো, যাতে আপনার যাত্রাপথ মসৃণ হয়। আসুন, জেনে নেয়া যাক বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার ভিসা এবং অন্যান্য খরচ সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য।

প্রাথমিক তথ্যে: বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাত্রা

বাংলাদেশ থেকে কর্ম বা অন্যান্য বিবিধ কারণের ভিত্তিতে অসংখ্য মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। আমেরিকা অন্যতম একটি জনপ্রিয় গন্তব্য, কারণ এখানের আয় অনেক বেশি এবং বাংলাদেশের টাকার বিনিময়ে ডলারের মানও উল্লেখযোগ্য। তাই ভিসার খরচ সাথে ভ্রমণের আনুষঙ্গিক খরচ নিয়েও আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।

আমেরিকা যাত্রার সাথে সংযুক্ত বিভিন্ন খরচের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য এখানে প্রদান করা হলো। সঠিক তথ্য জানাটা যেকোনো আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীর জন্য আবশ্যক, তা সে ভ্রমণ হোক কর্মসূত্রে বা জাস্ট ছুটি কাটানোর জন্য।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাত্রার আনুমানিক খরচ

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা ভ্রমণের খরচ কয়েকটি বিষয়ে নির্ভর করে, যেমন:
1. ভ্রমণের সময়: ছুটির মরসুমে টিকিটের দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে।
2. এয়ারলাইন্স পছন্দ: লো-কস্ট এয়ারলাইন্সের টিকিট সাধারণত ফুল-সার্ভিস এয়ারলাইন্সের থেকে কম।
3. রমবিশ্রুত শহর: বড় শহরগুলির তুলনায় ছোট শহরে খরচ কম হতে পারে।
4. থাকার ব্যবস্থা: হোটেলের তুলনায় হোস্টেলে থাকা অনেক কম খরচ।

একটি সাধারণ ধারণা পেতে এখানে খরচের একটি তালিকা দেয়া হলো:
– বিমান ভাড়া: ৳40,000-৳100,000
– ভিসা ফি: ৳16,000
– আবাসন: ৳2,000-৳5,000 প্রতি রাত
– খাবার খরচ: ৳1,000-৳2,000 প্রতিদিন
– পরিবহন খরচ: ৳500-৳1,000 প্রতিদিন
– কার্যকলাপ: ৳500-৳2,000 প্রতিদিন

পুরো ভ্রমণ খরচ আনুমানিক ৳1,00,000-৳2,00,000 এর মধ্যে হতে পারে। বাজেট কমানোর কিছু উপায় হলো হোস্টেলে থাকা, স্থানীয় খাবার খাওয়া এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করা।

ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য কিছু টিপস

1. অফ-সিজনে ভ্রমণ করুন: ভ্রমণের খরচ কম থাকবে।
2. লো-কস্ট এয়ারলাইন্স ব্যবহার করুন: টিকিটের দাম কম হবে।
3. শহরের কেন্দ্র থেকে দূরে থাকুন: থাকার খরচ কমে যাবে।
4. নিজে খাবার রান্না করুন: খাবারের খরচ সাশ্রয় হবে।
5. পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করুন: পণ্য পরিবহনে খরচ বাঁচাতে সহায়ক।
6. বিনামূল্যের কর্মসূচী উপভোগ করুন: বিনোদনের জন্য আলাদা অর্থ লাগবে না।

ভিসার বিভিন্ন ধরণের খরচ

আমেরিকা ভিসা বিভিন্ন ধরণের হতে পারে এবং প্রতিটির জন্য খরচ ভিন্ন:
– B-1/B-2 (পর্যটন/ব্যবসা): 16,000 টাকা
– F-1 (ছাত্র): 380 মার্কিন ডলার (প্রায় 33,000 টাকা)
– J-1 (বিনিময় প্রোগ্রাম): 380 মার্কিন ডলার (প্রায় 33,000 টাকা)
– H-1B (বিশেষ দক্ষ কর্মী): 190 মার্কিন ডলার (প্রায় 16,600 টাকা)
– L-1 (কোম্পানির কর্মী): 325 মার্কিন ডলার (প্রায় 28,000 টাকা)

অভিবাসী ভিসার খরচ

1. IR-1/CR-1 (অবিলম্বে অভিবাসী স্পাউস): 420 মার্কিন ডলার (প্রায় 36,000 টাকা)
2. IR-5 (পারিবারিক স্পন্সরশিপ): 325 মার্কিন ডলার (প্রায় 28,000 টাকা)
3. DV-1 (ডাইভার্সিটি লটারি ভিসা): 220 মার্কিন ডলার (প্রায় 19,000 টাকা)

অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচ

– DS-160 আবেদন ফি: 160 মার্কিন ডলার (প্রায় 14,000 টাকা)
– SEVIS ফি: 350 মার্কিন ডলার (প্রায় 30,000 টাকা) (সঠিক ভিসার জন্য)

শেষ কথা

আপনারা আজকের এই আলোচনা থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা খরচ হয় বা আমেরিকার ভিসার দাম কত তা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। আপনাদের অনুরোধ করছি, এই তথ্যগুলো শেয়ার করে আপনার বন্ধু-বান্ধবদেরও জানিয়ে দিন। আমেরিকা ভিসার দাম কখনো নির্দিষ্ট থাকে না, তাই প্রতিদিনের আপডেট জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত থাকুন। আরও প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। নিজের ভ্রমণ নিরঙ্কুশ করতে সবসময় প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন।

শুভ যাত্রা!

Scroll to Top