bangladesh to india flight ticket price

বাংলাদেশ টু ইন্ডিয়া বিমান টিকিটের দাম কত ২০২৪

বাংলাদেশ থেকে ভারতে ভ্রমণের জন্য ২০২৪ সালে বিমান টিকিটের দাম কেমন হতে পারে, তা অনেকেরই কৌতূহলের বিষয়। ভ্রমণ প্রিয় মানুষের জন্য সঠিক তথ্য জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টিকিটের দামে ভিন্নতা দেখা যায়। সময় ও সীজন অনুযায়ী টিকিটের দাম ওঠানামা করে। তাই, আগাম পরিকল্পনা করে টিকিট কাটা সবসময়ই বুদ্ধিমানের কাজ। এই লেখায় আমরা ২০২৪ সালের সম্ভাব্য টিকিটের দাম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে আলোচনা করবো।

বাংলাদেশ টু ইন্ডিয়া বিমান টিকিটের দাম কত ২০২৪

গন্তব্য এয়ারলাইন্স টিকিটের মূল্য (টাকা)
কলকাতা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৬০০০ – ৭০০০
কলকাতা ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া ৬০০০ – ৭০০০
দিল্লি ইন্ডিগো ১৯০০০ – ২৫০০০
মুম্বাই ইন্ডিগো, বাংলাদেশ বিমান, শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স ১৯০০০ – ২৫০০০
হায়দ্রাবাদ বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ২২,০০০
চেন্নাই ইন্ডিগো, বাংলাদেশ বিমান, শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা ১৭,০০০
বিভিন্ন শহর ইন্ডিগো ১৭,০০০
বিভিন্ন শহর ইউএস-বাংলা ১৬,০০০ – ৩০,০০০

আরো পড়ুন: টাইগার মুরগির বাচ্চার দাম

বাংলাদেশ থেকে ভারতের সুবিন্যস্ত যাতায়াত ব্যবস্থা

বাংলাদেশ এবং ভারত ইতিহাসের পরম্পরায় পরস্পরের ঘনিষ্ট প্রতিবেশী। এই দুই দেশের জনগণের মাঝে যোগাযোগের প্রাচীন জাল ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমান যুগে, যোগাযোগ ব্যবস্থা এমনভাবে বিকশিত হয়েছে যে বাংলাদেশ থেকে ভারত যাওয়া এখন অনেক বেশি সহজ। আপনি সড়কপথে যান কিংবা রেলপথের সুবিধা নিতে পারেন – যানবাহনের বিকল্প বিবিধ ও সুবিধাজনক।

তবে সবচেয়ে দ্রুত ও আরামের পথ হলো আকাশপথ। বিমান পরিবহণ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়ন ও টিকিটের সহনশীল মূল্যে মানুষ সহজেই ভারত ভ্রমণ করতে পারছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতের বিমানের টিকিটের ব্যয়নিষ্পত্তি এখন মধ্যবিত্তের নাগালেই রয়েছে যা পরিচর্যার আধুনিকতার একটি যুগান্তকারী দিক।

বিমান পরিবহণের খরচ: বাংলাদেশ টু ইন্ডিয়া

বাংলাদেশ থেকে ভারত যাওয়ার জন্য এয়ারলাইন্সের প্রবেশাধিকার এখন সাধারণ ব্যাপার। অনেকগুলো এয়ারলাইন্স প্রতিদিন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভারতের নানা গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। টিকিটের দামের উপর নির্ভর করে অন্যথা হতে পারে, তবে সাশ্রয়ী মূল্যে ১২,০০০ টাকা থেকে শুরু করে নিত্যদিনের ফ্লাইট চলতেই থাকে। মূল্যের এই সহনশীলতার ফলে পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের জন্য সুবিধা তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই কিংবা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরে যেতে বিমানযাত্রার খরচখরচা তুলনামূলকভাবে কম। এয়ারলাইন্সের বৈচিত্র্যে টিকিটের দাম ভিন্ন ভিন্ন হলেও স্থিরতা নিয়ে যাত্রা নিরাপদ ও আরামপ্রদ।

কলকাতা: সাশ্রয়ী ভ্রমণের মাধ্যম

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হলো দেশের মূলত এয়ারলাইন্স যা নিয়মিতভাবে কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে। ঢাকার যাত্রীরা সম্পূর্ণ স্বস্তিদায়কভাবে কলকাতায় যাচ্ছেন বিমানের ভিতরে। টিকিটের মূল্য সাধারণত ৬০০০ থেকে ৭০০০ টাকার মধ্যে থাকে যা অনেক সাশ্রয়ী। পরবর্তী যাত্রায় ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খরচ না করে এই বিমানে কলকাতায় যাওয়া যায় এবং একইভাবে বাংলাদেশে ফিরতেও কম খরচ হয়।

তুলনায় অন্যান্য এয়ারলাইন্স যেমন ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া ইত্যাদির টিকিটের দামও সাশ্রয়ী এবং সেবা মান যথেষ্ট উন্নত যা যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যময় অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

দিল্লি: রাজধানীতে সুগম যাতায়াত

ঢাকা থেকে দিল্লিতে এক মাস আগে টিকিট কিনলে তাত্ত্বিকভাবে কম খরচে যাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে দিল্লি যেতে হলে একমুখী টিকিটের মূল্য প্রায় ২৫০০০ টাকা পর্যন্ত হয়। তবে সরাসরি ফ্লাইটের ব্যবস্থা থাকায় ১৯০০০ থেকে ২৫০০০ টাকার মধ্যে টিকিট পাওয়া সম্ভব।

এই প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে আরও নির্ভুল ও সাশ্রয়ী টিকিটের দাম জানতে পারবেন, যা প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আপনার সহায়ক হবে। টিকিটের মূল্য বৃদ্ধির এ প্রায় আগাম বুকিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে।

মুম্বাই: ঝকঝকে মহানগরের দিকে যাত্রা

মুম্বাই, ভারতের অন্যতম জনবহুল নগরী। বাংলাদেশ থেকে মুম্বাই যাওয়ার তাগিদ অনেক মানুষের। ঢাকা থেকে সহজেই বিমানে মুম্বাই যেতে পারবেন। যা প্রশংসাযোগ্য সুবিধা এবং টিকিটের মূল্য সাধারণত ১৯০০০ টাকা থেকে শুরু হয়। অনেক এয়ারলাইন্স এই রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে যার মধ্যে ইন্ডিগো, বাংলাদেশ বিমান, শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স প্রভৃত পরিচিত।

বিজনেস ক্লাস বা প্রিমিয়াম ক্লাসের চাহিদা থাকলে মূল্য বেড়ে যেতে পারে। আগাম বুকিং করলে ছাড়ের ওপর ভিত্তি করে টিকিটের খরচ কমিয়ে আনতে পারবেন।

হায়দ্রাবাদ: তেলেঙ্গানার রাজধানীতে সরাসরি ফ্লাইট

হায়দ্রাবাদ একটি বৃহত্তম শহর যা প্রতিনিয়ত ভ্রমণকারীদের জন্য একটি সাধারণ গন্তব্যস্থল। ঢাকা থেকে সরাসরি হায়দ্রাবাদ যেতে টিকিটের মূল্য ২২ হাজার টাকার মধ্যেই পড়বে। বিভিন্ন এয়ারলাইন্স বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে এবং তাদের টিকিটের মূল্য ভিন্ন হয়। বিজনেস ক্লাসের যাত্রায় টিকিটের মূল্য বেশি হলেও উচ্চমানের সেবা বিনিময় গুরুত্বপূর্ন।

অনেকেই জরুরি প্রয়োজনে এই রুটে ভ্রমণ করেন, ফলে টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি পায়। আগে থেকে টিকিট কেটে রাখতে পারলে এয়ারলাইন্সগুলোর বিশেষ অফারের সুযোগ নিতে পারবেন।

চেন্নাই: দক্ষিণ ভারতের প্রবেশদ্বার

চেন্নাই, ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম মহানগরী। ঢাকা থেকে চেন্নাই রুটে বিমানের টিকিটের মূল্য সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার বেশি হতে পারে। যদিও ইন্ডিগো, বাংলাদেশ বিমান, শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা প্রভৃতি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে এই যাত্রাপথ সহজে অতিক্রম করা যায়।

স্বাভাবিক টিকিটের মূল্য ইনকামিং ক্লাসে ১৭ হাজার টাকার কাছাকাছি হয় যা সাধনের জন্য সমর্থন যোগ্য। বিশেষ শ্রেণিতে ভ্রমণের মূল্য একটু বেশি হলেও এটি যাত্রীদের জন্য উন্নতমানের সেবা প্রদান করে।

ইন্দিগো এয়ারলাইন্স: সেবার প্রতিশ্রুতি

ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর থেকে নিয়মিত ভারতের বিভিন্ন শহরে ফ্লাইট পরিচালনা করে। এই এয়ারলাইন্সের টিকিট মূল্য ন্যূনতম ১৭০০০ টাকা যা তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী এবং ভ্রমণের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।

ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স বিভিন্ন শ্রেণিতে যাত্রীদের ভ্রমণ করায় আরামপ্রদ সেবা খাতে রয়েছে। ইনকামিং ক্লাসে ভ্রমণ করলে যাত্রীর টিকিটের মূল্য কম হলেও ফার্স্ট ক্লাস ও বিজনেস ক্লাসের মূল্য বৃদ্ধি পায়।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স: ভ্রমণের নিবেদন

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ হতে ভারতের সকল প্রধান শহরে ফ্লাইট পরিচালনা করে। এই এয়ারলাইন্সের টিকিটের মূল্য সাধারণত ইনকামিং ক্লাসে ১৬,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়। সাশ্রয়ী ক্যাটাগরির বিমানে যাত্রার জন্য এটি একটি পৃথিবী-বিখ্যাত এয়ারলাইন্স।

তদুপরি, বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণ করতে চাইলে ও টিকিটের মূল্য পৌঁছতে পারে ৩০,০০০ টাকার মধ্যে। এভাবে, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ধারাবাহিকভাবে যাত্রীর খরচ নিয়ন্ত্রণ করে।

সর্বশেষ বিবৃতি

আমরা বুঝি যে ভ্রমণ সহজ হওয়া উচিত এবং সেজন্য চেষ্টা করেছি আপনাদের সামনে সর্বশেষ তথ্যগুলো তুলে ধরতে। বাংলাদেশ থেকে ভারত ভ্রমণের টিকিটের নতুন মূল্য জানানো হয়েছে এবং সেগুলো প্রতিনিয়ত আপডেট হয়। বিমানের টিকিটের মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে পুর্ব পরিকল্পনার ভিত্তিতে টিকিট বুকিং দেয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এয়ারলাইন্স কর্তৃক ভারতের দিকে রুটে নিয়মিতভাবে সাশ্রয়ী ও নিরাপদ যাত্রার সুযোগ প্রদান করছে।

এটি সত্য যে মুদ্রাস্ফীতির ফলে এয়ারলাইন্সের টিকিটের মূল্য বাড়ছে, তবে আগাম পরিকল্পনার মাধ্যমে আপনি আপনার ভ্রমণের খরচ কমিয়ে ফেলতে পারেন। এরপরেও, স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ যাত্রার জন্য সঠিক সময়ে টিকিট কিনতে ভুলবেন না।

Scroll to Top