dubai turist visar dam koto

দুবাই টুরিস্ট ভিসার দাম কত ২০২৪ – দুবাই টুরিস্ট ভিসার খরচ

দুবাই ভ্রমণের স্বপ্ন অনেকেরই থাকে, তবে খরচের বিষয়টি মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা জরুরি। ২০২৪ সালে দুবাই টুরিস্ট ভিসার খরচ কেমন হবে, তা জানা ভ্রমণকারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভিসার খরচ নির্ভর করে এর ধরন ও মেয়াদের ওপর। এক মাসের ভিসার খরচ কম হলেও, তিন মাসের ভিসার খরচ বেশি হতে পারে। এছাড়াও, বিভিন্ন এজেন্সি ও এয়ারলাইনসের প্রস্তাবিত প্যাকেজের মাধ্যমেও ভিসার খরচে ভিন্নতা দেখা যায়। তাই, ভিসার ধরন ও মেয়াদ অনুযায়ী খরচের পার্থক্য বুঝে নেওয়া জরুরি।

দুবাই টুরিস্ট ভিসার খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের এই ব্লগটি পড়তে থাকুন।

দুবাই টুরিস্ট ভিসার দাম কত ২০২৪

ভিসার ধরন বৈধ মেয়াদ মূল্য (বাংলাদেশি টাকা)
১৪ দিনের সিঙ্গেল-এন্ট্রি ১৪ দিন ৩৮,৫০০
৩০ দিনের মাল্টিপল এন্ট্রি ৩০ দিন ১৫,৪০০
৯০ দিনের মাল্টিপল এন্ট্রি ৯০ দিন ৭৫,৯০০
শহর ফ্লাইট খরচ (বাংলাদেশি টাকা)
ঢাকা ৩৪,২৯১
চট্টগ্রাম ৫০,২৯৪
সিলেট ৫৬,৯৫০
রাজশাহী ৬২,৬৫০

আরো পড়ুন: চুল কাটার মেশিন দাম কত

মরুর মুকুট: দুবাই ভ্রমণের বিশদ বিবরণ

মরুভূমির মুকুট নামে পরিচিত দুবাই বিশ্বের সেরা পর্যটন স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম। শহরটি তার চমত্কার আকাশচুম্বী ভবন, বিলাসবহুল আবাসন, চটকদার শপিং মল, এবং অনন্য মরুভূমি অভিযানের জন্য বিখ্যাত। দুবাই প্রতিটি পর্যটকের জন্য কিছু না কিছু অফার করে, যা এটিকে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য করে তোলে।

দুবাই টুরিস্ট ভিসার ধরন ও বৈধ মেয়াদ

বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভ্রমণের প্রথম ধাপ হল ট্যুরিস্ট ভিসা। বিভিন্ন ধরনের ট্যুরিস্ট ভিসা রয়েছে, যেমন সিঙ্গেল-এন্ট্রি ভিসা এবং মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা। সিঙ্গেল-এন্ট্রি ভিসা একটি ভ্রমণের জন্য অনুমতি দেয়, যেখানে মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা একাধিক ভ্রমণের সক্ষমতা দেয়। প্রত্যেক ধরনের ভিসার নির্দিষ্ট বৈধ মেয়াদ থাকে – ১৪ দিন, ৩০ দিন বা ৯০ দিন। আপনি শুধুমাত্র আপনার ভিসার মেয়াদ থাকাকালীন দিনে যতক্ষণ ইচ্ছা থাকতে পারবেন।

দুবাই টুরিস্ট ভিসার খরচ যা আপনাকে জানতে হবে

ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য ফি অফিসিয়াল ফি অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য দুবাই ট্যুরিস্ট ভিসার মূল্য নির্ধারিত হয়েছে: ১৪ দিনের সিঙ্গেল-এন্ট্রি ভিসার জন্য প্রায় ৩৮,৫০০ টাকা, ৩০ দিনের একটি মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার জন্য প্রায় ১৫,৪০০ টাকা, এবং ৯০ দিনের জন্য প্রায় ৭৫,৯০০ টাকা।

বাংলাদেশ থেকে দুবাই যাওয়ার ফ্লাইট খরচ

দুবাই যাওয়ার ফ্লাইটের খরচ ভৌগোলিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়। ঢাকা থেকে দুবাই যাওয়ার টিকেটের খরচ প্রায় ৩৪,২৯১ টাকা, চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ৫০,২৯৪ টাকা, সিলেট থেকে ৫৬,৯৫০ টাকা, এবং রাজশাহী থেকে ৬২,৬৫০ টাকা। ফ্লাইটের ভাড়া মাঝে মাঝে পরিবর্তিত হতে পারে, তাই আগেই টিকিটের জন্য অনুসন্ধান করা উত্তম।

দুবাই টুরিস্ট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া

ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য দুটি প্রধান পদ্ধতির মধ্যে অনলাইন আবেদন এবং ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন অন্যতম। দুবাই সরকারের ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করা যায়, যেখানে ট্রাভেল এজেন্সি গুলি সহায়তা প্রদান করতে পারে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মধ্যে রয়েছে বৈধ পাসপোর্ট (৬ মাসের জন্য বৈধ), পূরণ করা ভিসা আবেদনপত্র, দুইটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, আর্থিক নথি (ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট), দ্বিমুখী টিকিট, হোটেল বুকিং নিশ্চিতকরণ এবং ভ্রমণ বীমা।

ভিসা প্রসেসিং সময় এবং ভিসা রিজেকশনের কারণ

দুবাই ট্যুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং সাধারণত ৩-৫ কার্যদিবস নেয়, কিন্তু বিভিন্ন কারণে বিলম্বিত হতে পারে। যদি আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা থাকে, তাহলে যথেষ্ট সময় আগে থেকে ভিসার জন্য আবেদন করা বুদ্ধিমানের কাজ। ভিসা রিজেকশনের সাধারণ কারণগুলি হল – অসম্পূর্ণ নথি, মিথ্যা তথ্য বা অপর্যাপ্ত আর্থিক নথিপত্র।

দুবাই ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য বিশেষ সতর্কতা

ভিসার জন্য আবেদন করার সময় কিছু বিশেষ সতর্কতা অপরিহার্য – সমস্ত নথি সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করা, সঠিক তথ্য প্রদান নিশ্চিতকরণ, এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে দুবাই ত্যাগ করা। যাচাইকৃত এবং বিশ্বস্ত উৎস থেকে ভিসার জন্য আবেদন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং আবেদন প্রক্রিয়ার সময় কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করুন।

শেষ কথা

সঠিক পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতির সাথে, দুবাই ভ্রমণ হতে পারে আপনার স্বপ্নের গন্তব্য। উপরোক্ত নির্দেশনাগুলি অনুসরণ করে বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভ্রমণের প্রস্তুতি নিলে আপনি একটি আরামদায়ক এবং চিন্তামুক্ত ট্রিপ উপভোগ করতে পারবেন। আশা করি আপনার ভবিষ্যত ভ্রমণ আনন্দ ও সাফল্যপূর্ণ হবে।

Scroll to Top