ফ্রিজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য একটি যন্ত্র। এর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত সম্পর্কে জানা আমাদের সবার জন্যই জরুরি। বিশেষ করে, ফ্রিজের গ্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা ফ্রিজকে কার্যকরী রাখে।
২০২৪ সালে ফ্রিজের গ্যাসের দাম কত হতে পারে, তা জানাটা খুবই উপকারী। এই মূল্য পরিবর্তনের কারণ এবং এর প্রভাব সম্পর্কে ধারণা রাখা প্রয়োজন। এই ব্লগে আমরা ২০২৪ সালের ফ্রিজের গ্যাসের দাম এবং এর সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করব। আশা করি, এটি আপনার জন্য সহায়ক হবে।
ফ্রিজের গ্যাসের দাম কত ২০২৪
গ্যাসের ধরন | নাম | বিদ্যুৎ সাশ্রয় |
---|---|---|
R600a | মিথাইল প্রপেন/আইসোবিউটেন | ৬০% |
R134a | নির্দিষ্ট নাম নেই | উচ্চ রানিং পেশার |
খরচের ধরন | পরিমাণ |
---|---|
গ্যাস রিফিলের খরচ | ৩০০০ টাকা পর্যন্ত |
কম্প্রেসারের দাম | ৩০০০ – ৫০০০ টাকা |
কম্প্রেসারের ধরন |
---|
রেসিপ্রকেটিং |
রোটারি |
ভেন |
স্ক্রল |
স্ক্রু মেশিন |
সেন্ট্রিফিউগাল |
আরো পড়ুন: ১ মিলিয়ন ইউরো সমান কত টাকা
ফ্রিজের গ্যাস: একটি অপরিহার্য উপাদান
ফ্রিজের অধিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে প্রয়োজন হয় গ্যাসের, যা মূলত ফ্রিজকে শীতল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই গ্যাসগুলো থাকে ফ্রিজের কম্প্রেসারে সংরক্ষিত, যা নিশ্চিত করে ফ্রিজের ভিতরের অংশ সব সময় ঠান্ডা থাকে। কার্যকরভাবে কাজ করার জন্য একটি ফ্রিজকে নির্দিষ্ট সময় পরে গ্যাস পরিবর্তন করতে হয়। এই গ্যাসগুলো বাজারে সহজলভ্য হলেও সময় মতো রিফিল না করলে ফ্রিজে রাখা খাবার দ্রুত নষ্ট হতে পারে। তাই গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই নির্ভরযোগ্য টেকনিশিয়ান দ্বারা গ্যাস রিফিল করে নেয়া উচিত।
ফ্রিজে গ্যাস কেন এবং কোথায় পাবেন
ফ্রিজের গ্যাস রিফিল করতে হলে নির্দিষ্ট কয়েকটি ডিভাইস এবং টেকনিশিয়ানের সাহায্য প্রয়োজন হয়। আপনার নিকটস্থ ফ্রি সার্ভিসিং দোকান থেকে এই গ্যাস সংগ্রহ করতে পারেন। টেকনিশিয়ান এসে আপনার ফ্রিজের জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাসটি নির্ধারণ করবে এবং সেটির দামও নির্ধারণ করা হবে। সাধারণত গ্যাস ও টেকনিশিয়ানের সার্ভিস চার্জ মিলিয়ে ২০০০-৩০০০ টাকার মধ্যে খরচ হতে পারে। কিন্তু এই দামের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য জানতে হবে বিভিন্ন দোকানের মূল্য তালিকা।
ফ্রিজের গ্যাসের ধরন ও নাম
ফ্রিজের গ্যাসগুলো বিভিন্ন মডেলের হয় এবং তাদের কার্যকারিতাও ভিন্ন। খাদ্যসংরক্ষণের জন্য প্রথমেই ফ্রেয়ন গ্যাস ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডে এই গ্যাসের নামকরণ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, R600a এই গ্যাসকে “মিথাইল প্রপেন” বা “আইসোবিউটেন” হিসেবে ডাকা হয়। এই ধরনের গ্যাসের অন্যতম সুবিধা হলো এটি প্রায় ৬০% বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সক্ষম। আরেকটি প্রচলিত গ্যাস হলো R134a, যা উচ্চ রানিং পেশার দিয়ে আরো কার্যকরভাবে শীতলতা বজায় রাখে।
ফ্রিজের গ্যাস রিফিলের খরচ
ফ্রিজের গ্যাস রিফিল করতে কত টাকা লাগবে তা মূলত নির্ভর করে গ্যাসের উপর, এবং ইলেকট্রিশিয়ান এর মজুরির উপর। সাধারনত, গ্যাস রিফিলের খরচ ৩০০০ টাকার মধ্যে পড়ে। তবে কয়েকটি দোকান যাচাই-বাছাই করার পর দাম নির্ধারণ করা ভালো, কারণ কিছু ব্যবসায়ী বেশ চড়া দামে গ্যাস বিক্রি করে থাকে। আরেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, গ্যাসের মান ভালো হলে ফ্রিজের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং বিদ্যুৎও কম খরচ হয়।
গ্যাস চার্জ করার পদ্ধতি
ফ্রিজে গ্যাস চার্জ করতে নিজস্ব কিছু যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয় এবং সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানের সাহায্য নেয়া উচিত। বাসায় নিজে করার পরিবর্তে অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান দ্বারা এই কাজ সম্পন্ন হলে ভালো হয়। যদি চার্জিং পদ্ধতি শিখতে চান, তাহলে ইউটিউবের সাহায্য নিতে পারেন, কারণ লেখার মাধ্যমে সেটি বোঝা একটু কষ্টসাধ্য হতে পারে। সঠিকভাবে গ্যাস চার্জ করা হলে ফ্রিজ দীর্ঘ সময় ধরে কার্যকর থাকবে।
কম্প্রেসারের দাম ও কিনতে হলে কি করবেন
কম্প্রেসার একপ্রকার মেশিন যা ফ্রিজের ভিতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং গরম শরীরবৃত্তীয় বাতাস বের করে দেয়। বিভিন্ন মান ও মডেলের কম্প্রেসার রয়েছে যেগুলোর দাম ৩০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। উন্নতমানের কম্প্রেসার ব্যবহারে ফ্রিজের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। বাজারে মূলত পাঁচ ধরনের কম্প্রেসার পাওয়া যায়: রেসিপ্রকেটিং, রোটারি, ভেন, স্ক্রল, স্ক্রু মেশিন এবং সেন্ট্রিফিউগাল কম্প্রেসার।
শেষ কথা
ফ্রিজের কার্যকারিতা বজায় রাখতে এবং খাবারকে সতেজ রাখতে ভালো মানের গ্যাস এবং উন্নতমানের কম্প্রেসার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। বাজারে বিভিন্ন মডেলের গ্যাস এবং কম্প্রেসার পাওয়া যায়, সেগুলোর দাম ও গুণগত মান বিবেচনা করে সঠিক গ্যাস এবং কম্প্রেসার বাছাই করা উচিত। সব সময় নির্ভরযোগ্য টেকনিশিয়ান এর মাধ্যমে এই সংশ্লিষ্ট কাজগুলো করিয়ে নেওয়া প্রত্যাশিত। আশা করি এই গাইডলাইনটি আপনার জন্য সহায়ক হবে।