jomi kharij korte koto taka lage

জমি খারিজ করতে কত টাকা লাগে ২০২৪

জমি খারিজ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যা সম্পত্তির মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। ২০২৪ সালে জমি খারিজ করতে কত টাকা লাগতে পারে, তা জানার বিষয়টি অনেকের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

নতুন বছরে জমি খারিজের খরচ নিয়ে অনেকেই অস্থিরতা বোধ করতে পারেন। এই প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ফি এবং চার্জ অন্তর্ভুক্ত থাকে। তাই সঠিক তথ্য জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি।

জমি খারিজ করতে কত টাকা লাগে ২০২৪

বিষয় তথ্য
খারিজ করার খরচ ১১৫০ টাকা (সরকারি খরচ), ১৫০০ টাকা (সর্বাধিক), ৫০০০ – ৭০০০ টাকা (মধ্যস্থতাকারী)
খারিজ সম্পন্ন করার সময়কাল ২৮ দিন
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জমির খতিয়ান ও দলিলের ফটোকপি, ওয়ারিশান সনদ (যদি প্রয়োজন হয়)
খারিজ প্রক্রিয়ার মাধ্যম সহকারী কমিশনার (ভূমি) অথবা নির্ধারিত ব্যক্তি, অনলাইন
খারিজ না করার পরিণতি জমির বৈধ মালিক হতে পারবেন না, পূর্বের মালিক জমিটি বিক্রি করতে পারে, আইনগত ঝামেলা

আরো পড়ুন: ঘুমের ওষুধের নাম ও দাম

জমি খারিজের মৌলিক বিষয়াদি

জমির মালিকানা পরিবর্তন করা কিংবা নামজারি করানো একটি জরুরি কাজ, যা সম্পন্ন করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হয়। জমি খারিজের এই পদক্ষেপগুলো যদি আপনি সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারেন তবে ভবিষ্যতে জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে আপনি অনেক সুবিধা পাবেন। জমির খারিজ বা নামজারির ক্ষেত্রে মূলত খরচ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেকোনো জমির মালিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এক হাজার টাকার থেকেও বেশি খরচ হতে পারে।

খারিজ প্রক্রিয়া এবং এর মাধ্যমে সেবাপ্রাপ্তির উপায়

জমি খারিজ বা নামজারি করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হলে আপনার এলাকার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অথবা নির্ধারিত ব্যক্তিদের সহায়তা নিতে হয়। যাদের মাধ্যমে জমি খারিজ করা হয় তাদেরকে আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে। তবে খারিজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বর্তমানে অনলাইনেও সুবিধা রয়েছে। আপনি চাইলে নিজেই অনলাইনে জমি খারিজের আবেদন করতে পারেন এবং তা সম্পন্ন করতে পারেন।

জমি খারিজের আনুমানিক খরচ

জমির মালিকানা হালনাগাদ করার ক্ষেত্রে এবং ভূমি উন্নয়ন কর আপডেট করার ক্ষেত্রে জমি খারিজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জমি খারিজ না করলে তা বিক্রয় বা ট্রান্সফার করা যাবে না। খারিজ করার খরচ বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুসারে ১১৫০ টাকা নির্ধারিত। কিছু অতিরিক্ত খরচ থাকলেও তা সাধারণত ১৫০০ টাকার মধ্যে সম্পন্ন হয়। তবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা নির্ধারিত ব্যক্তি দ্বারা করাতে গেলে খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে।

জমির খারিজ করার পদ্ধতি এবং খরচে বৈচিত্র্য

জমি খারিজ করার সময় খরচ ভিন্ন হতে পারে। যেকোনো জমির মালিকানা পরিবর্তন করতে হলে আপনার নিকটস্থ রেজিস্ট্রি অফিসে যাবেন এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। সরকার নির্ধারিত খরচ ছাড়া অতিরিক্ত খরচ জনিত কারণ হলো মধ্যস্থতীয় বা দালালদের ফি। যারা দালাল বা মুহুরী দ্বারা জমির কাজটি করান, তাদের ক্ষেত্রে খরচ ৫০০০ থেকে ৭০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

জমি খারিজ করার সময়কাল এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আপনার জমি খারিজ করতে সাধারণত ২৮ দিন সময় লাগে। জমির খারিজ করার জন্য কিছু নথিপত্র প্রয়োজন হয় যেমন, ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জমির খতিয়ান ও দলিলের ফটোকপি, এবং যদি প্রয়োজন হয় ওয়ারিশান সনদ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমির খারিজ সম্পন্ন হলে আপনি আইনি দিক থেকে জমির বৈধ মালিক হবেন।

জমি খারিজ না করার পরিণতি

যদি আপনি জমি খারিজ না করেন, তাহলে আপনি সেই জমির বৈধ মালিক হতে পারবেন না। পূর্বের মালিক যে কোন সময় জমিটি আবারও বিক্রি করে দিতে পারেন এবং আপনার কোনও দাবী আইনত থাকবে না। এমনকি জমি নিয়ে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে পরতে পারেন। তাই জমির খারিজ করা জরুরী যেন ভবিষ্যতে কোনো ঝামেলার সম্মুখীন হতে না হয়।

সংক্ষেপে জমি খারিজের অতিরিক্ত তথ্য

জমি খারিজ না করা মানে সেই জমি কখনোই আপনার নামে বৈধভাবে নিবন্ধিত নয়। এটি শুধুমাত্র আপনার ক্রয়কৃত জমি বিক্রয় বা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না, পরবর্তীতে আইনগত ঝামেলাতেও জড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং, জমি ক্রয়ের সাথে সাথেই খারিজের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জমি খারিজের সাহায্যকারী সেবাসমূহ এবং তাদের ভূমিকা

জমি খারিজ করার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা অনুমতিপ্রাপ্ত মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তির সহায়তা নেওয়া অনেক সময় সঠিক হয়। তবে এতে কিছু অতিরিক্ত খরচ হয় যা আপনাকে বিবেচনা করতে হবে। সরকারি ফি ছাড়াও কিছু অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ থাকতে পারে, যা দালাল বা মুহুরী দ্বারা করালে বেশি খরচ পড়তে পারে।

খারিজ প্রক্রিয়ার সংক্ষিপ্ত নির্দেশিকা

জমি ক্রয়ের পর খারিজ করতে কত খরচ হবে এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই থাকে। সরকার নির্ধারিত ফি ১১৫০ টাকা হলেও মাধ্যম হিসেবে কেউ যদি দালাল ধরে কাজটি করানোর চেষ্টা করেন তবে তাকে ৫০০০ থেকে ৭০০০ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হতে পারে। তবে নিজেরা অনলাইনে করলে খুব কম খরচেই কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব।

পরিশেষে জমি খারিজের গুরুত্ব

জমি ক্রয় করার পর খারিজ করা জুরুরী তা উপরের আলোচনায় স্পষ্ট। খারিজ না করলে জমির বৈধ মালিক হিসেবে আপনি বৈধতা পাবেন না। জমি কেনা-বেচার ক্ষেত্রে ঝামেলা না করতে চাইলে সময়মত জমির নামজারি বা খারিজ করে রাখা উচিত। আপনার ক্রয়কৃত জমি সম্মন্ধে নিশ্চিত হতে জমি খারিজ করতেই হবে।

Scroll to Top