komlapur trener shomoysuchi

কমলাপুর ট্রেনের সময়সূচী ২০২৪

বাংলাদেশের ব্যস্ততম রেল স্টেশনগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। প্রতিদিন হাজারো যাত্রী এখানে এসে ট্রেনে যাতায়াত করেন। তাই, কমলাপুর ট্রেনের সময়সূচী জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২০২৪ সালে কমলাপুর স্টেশনের ট্রেনগুলোর সময়সূচী নিয়ে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। এই সময়সূচী জানতে পারলে যাত্রীরা সহজেই তাদের যাত্রা পরিকল্পনা করতে পারবেন। চলুন জেনে নেই, ২০২৪ সালের জন্য কমলাপুর ট্রেনের সময়সূচী। আশা করি, এই তথ্য আপনার যাত্রাকে আরও সহজ করে তুলবে।

কমলাপুর ট্রেনের সময়সূচী ২০২৪

ট্রেন ক্যাটেগরি ট্রেন সংখ্যা উদাহরণ ট্রেন বিশেষ দিন
ইন্টারসিটি ৩০ সুবর্ণ এক্সপ্রেস, তিস্তা এক্সপ্রেস সুবর্ণ এক্সপ্রেস (সোমবার বন্ধ), তিস্তা এক্সপ্রেস (সোমবার বন্ধ)
মেল/এক্সপ্রেস ৪০ চট্টগ্রাম মেইল, সুরমা মেইল, নোয়াখালী এক্সপ্রেস নির্দিষ্ট নেই
কমিউটার ৪৭ তুরাগ এক্সপ্রেস, নারায়ণগঞ্জ কমিউটার তুরাগ এক্সপ্রেস (শুক্রবার বন্ধ), নারায়ণগঞ্জ কমিউটার (শুক্রবার বন্ধ)

আরো পড়ুন: পাউন্ড রেট বাংলাদেশ

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন: বাংলাদেশের এক প্রধান পরিবহন কেন্দ্র

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, ঢাকার বুকে অবস্থিত অন্যতম প্রধান রেলওয়ে কেন্দ্র, রয়েছে শহরের উত্তর দিকে। এই স্টেশনটি দেশের অন্যতম ব্যস্ততম এবং গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন হিসেবে পরিচিত, যা ১৯৬৮ সালে স্থাপিত হয়েছিল। এটি বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্ব লাইনের টার্মিনাস হিসেবে কাজ করছে। ঢাকার কেন্দ্রস্থলে থাকা এই স্টেশনটি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচলের অন্যতম প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করছে।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, যশোর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, খুলনা এবং অন্যান্য অঞ্চলে যাতায়াতের জন্য মানুষ কমলাপুর রেলস্টেশন ব্যবহার করে থাকে। এ স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন কৃষ্ণ, ঝাঁঝড়, সুবর্ণ, তূৰ্ণা, তিষ্ণার মতো বহু ট্রেন ছাড়ে। দেশী-বিদেশী পর্যটকদের জন্যও এই স্টেশন অন্যতম একটা দ্রষ্টব্য স্থান হিসেবে বিবেচ্য হয়।

কমলাপুরের ট্রেন পরিষেবা: বিভিন্ন ধরনের এবং বিস্তারিত সময়সূচী

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে তিন ধরনের ট্রেন পরিষেবা রয়েছে। ইন্টারসিটি, মেল/এক্সপ্রেস, এবং কমিউটার এই তিনটি প্রধান ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হয়েছে ট্রেনগুলো। মোট ৩০টি আন্তঃনগর ট্রেন, ৪০টি মেল/এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ৪৭টি লোকাল ট্রেন প্রতিদিন এই স্টেশনের উপর দিয়ে চলাচল করে। আন্তঃনগর ট্রেনগুলি দীর্ঘ রুটের জন্য নির্ভরযোগ্য ও সময়ানুবর্তী গণপরিবহন হিসেবে গণ্য হয়। অন্যদিকে, মেল/এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি মাঝারি-পাল্লার যাত্রীদের জন্য সুবিধাজনক।

কমলাপুর থেকে বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেন যেমন সুবর্ণ এক্সপ্রেস, তিস্তা এক্সপ্রেস ইত্যাদি বিভিন্ন দিনে ও বিভিন্ন সময়ে ছাড়ে। মোট তিনটি ক্যাটেগরির ট্রেনেরই নির্দিষ্ট সময়সূচী রয়েছে যা যাত্রীদের সুবিধার্থে প্রায় প্রতিদিন নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিচালিত হয়। কমিউটার ট্রেনগুলি অবশ্য প্রধানত ছোট পথের জন্য ব্যবহার করা হয়, যা তুলনামূলকভাবে বেশিরভাগ পথচারীদের সাথে সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য।

ইন্টারসিটি ট্রেন: আন্তঃনগর ব্যবহারে নির্ভরযোগ্য নাম

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিভিন্ন দুরত্বের জন্য ইন্টারসিটি ট্রেনগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুবর্ণ এক্সপ্রেস থেকে শুরু করে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, প্রতিটি ট্রেনই দেশের বিভিন্ন স্থান পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য ব্যবহার হয়। এই ট্রেনগুলি দীর্ঘ রুট কভার করে বলেই যাত্রীরা সহজে দূরবর্তী স্থানে যেতে পারে।

এছাড়াও, প্রত্যেকটা ট্রেনের নির্দিষ্ট দিনের ছুটি রয়েছে, যেমন সুবর্ণ এক্সপ্রেস সোমবার ছুটি নেয় আর তিস্তা এক্সপ্রেস সোমবার চলে না। এই ট্রেনগুলোর উপযোগিতা এবং নিয়মিততা, দূরত্বে কভার করার দক্ষতা এসব প্রশংসার দাবিদার। ভ্রমণকারীরা এ ট্রেনগুলোর ওপর পুরোপুরি ভরসা করতে পারেন বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য।

মেল/এক্সপ্রেস ট্রেন: মাঝারি দূরত্বের উত্তীর্ণ সঙ্গী

কমলাপুর থেকে মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির পরিষেবা মাঝারি দুরত্বের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। চট্টগ্রাম মেইল, সুরমা মেইল, নোয়াখালী এক্সপ্রেসসহ আরও অনেক ট্রেন প্রতিদিন নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী কমলাপুর থেকে ছাড়ে। এ ট্রেনগুলির দ্রুততার সাথে দীর্ঘ সময়ব্যাপি ভ্রমণের ক্লান্তি দূর করে দেয়।

Railway.com.bd-এর সময়সূচী অনুযায়ী, কমলাপুর থেকে প্রায় ৪০টি মেল/এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে, যা যাত্রীদের জন্য সুবিধাজনক ভ্রমণের সুযোগ করে দেয়। ব্যস্ত সময়ে দ্রুত যাতায়াতের জন্য এই ট্রেনগুলো বেশ উপযোগী। সর্বাধিক সুবিধা দেয়ার জন্য এই ট্রেনগুলোর নির্ভরযোগ্য কর্মী এবং আধুনিক সংস্থাপনাস্টেশন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পরিচালিত হয়

কমিউটার ট্রেন: স্থানীয় যাতায়াতে সর্বোত্তম

স্থানীয় ছোট রুটে দ্রুত ও সহজ যাতায়াত জন্য কমলাপুর থেকে চালু করা হয়েছে বেশ কয়েকটি কমিউটার ট্রেন। প্রতিদিন প্রায় ৪৭টি কমিউটার ট্রেন স্টেশনের মধ্যে দিয়ে চলাচল করে। তুরাগ, কালিয়াকৈর কমিউটার এবং নারায়ণগঞ্জ কমিউটার ট্রেনগুলি নিয়মিতভাবে যাত্রী পরিষেবা দিয়ে থাকে।

তুরাগ এক্সপ্রেস এবং নারায়ণগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের বন্ধের দিন শুক্রবার। তবে বাকি সময়সূচী অনুযায়ী এ ট্রেনগুলো প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে যায়। এই ট্রেনগুলো লাভজনক এবং স্থানীয় যাত্রীদের জন্য বাইরের যানজট থেকে মুক্তিপ্রদান করে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন শুধুমাত্র একটি পরিবহন কেন্দ্রই নয়, এটি রাজধানী ঢাকার এক অত্যাবশ্যক অংশ। এখান থেকে পর্যটক ও স্থানীয় জনগণ উভয়েই বিভিন্ন স্থানে স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারে। এলাকার গৃহহীন মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবেও কাজ করছে এই স্টেশন, এবং আমরা আশা করি ভবিষ্যতে তারাও নিজেরা বসবার ব্যবস্থা করতে সক্ষম হবে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সত্যিই দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। জনপ্রিয় যাতায়াত মাধ্যম এবং সুন্দর স্থাপত্য শৈলীতে সমৃদ্ধ এই স্টেশন সকলের নিকট এক আমোদিত স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়। আমরা আশা করি, দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এই স্টেশনও আরো উন্নত ও যাত্রীবান্ধব হয়ে উঠবে।

Scroll to Top