মিয়াজাকি আম, যা সুর্যডিম আম নামেও পরিচিত, বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং দামি আমগুলির মধ্যে একটি। জাপানের মিয়াজাকি প্রিফেকচারে উৎপন্ন এই আম তার অনন্য স্বাদ ও উজ্জ্বল লাল রঙের জন্য বিখ্যাত। ২০২৪ সালে এর দাম কত হতে পারে, তা নিয়ে অনেকেরই কৌতূহল রয়েছে।
প্রতি বছর মিয়াজাকি আমের চাহিদা বাড়ছে, যার ফলে এর দামও উর্ধ্বমুখী। বিভিন্ন বাজার ও নিলামে এর দাম বিভিন্ন হয়। তবে, গুণমান ও আকারের উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারণ করা হয়। চলুন, আমরা ২০২৪ সালের মিয়াজাকি আমের সম্ভাব্য মূল্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি।
মিয়াজাকি আমের দাম কত ২০২৪
বিষয় | মূল্য |
---|---|
মিয়াজাকি আমের আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য (প্রতি কেজি) | ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা – ৩ লক্ষ টাকা |
৫০০ গ্রাম ওজনের মিয়াজাকি আম | ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা |
বাংলাদেশে মিয়াজাকি আমের মূল্য (প্রতি কেজি) | ১৫ হাজার টাকা – ১৭ হাজার টাকা |
ভারতে মিয়াজাকি আমের মূল্য (প্রতি কেজি) | ১৩ হাজার টাকা – ১৫ হাজার টাকা |
২০২৪ সালে মিয়াজাকি আমের পূর্বাভাসকৃত মূল্য (প্রতি কেজি) | বাংলাদেশ: ১৫ হাজার টাকা, ভারত: ১৪ হাজার টাকা |
এক পিস মিয়াজাকি আমের দাম (২০০ গ্রাম) | ১৫০০ টাকা |
এক পিস মিয়াজাকি আমের দাম (ওজন কম হলে) | ১২০০ টাকা |
এক পিস মিয়াজাকি আমের দাম (বিশেষ ক্ষেত্রে) | ১৭০০ টাকা |
এক ডজন মিয়াজাকি আমের দাম (১.৫ কেজি) | ২২ হাজার টাকা – ২৩ হাজার টাকা |
এক ডজন মিয়াজাকি আমের দাম (ওজন বেশি হলে) | ৩০ হাজার টাকা |
আরো পড়ুন: কত গ্রামে এক ভরি
বাংলাদেশে ও বিশ্বের বাজারে আমের জগতে মিয়াজাকি আমের আধিপত্য
বাংলাদেশে প্রতি বছর আমের মৌসুমে আমের মেলা বসে। বিভিন্ন জাতের দেশি আমের পাশাপাশি বিদেশি আমও আমদানি করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে দেশীয় চাষীদের মধ্যে বিদেশি আমের বীজ ব্যবহার করে নতুন জাতের আম উৎপাদনের প্রবণতা বেড়েছে, যা আমচাষে বৈচিত্র্য এনেছে। এরকমই এক দামী আম হলো মিয়াজাকি। এই বিশেষ প্রজাতির আমটি সারা বিশ্বে পরিচিত, কিন্তু মিয়াজাকি আমের বাজার মূল্য কেন এত বেশি? চলুন বিশদভাবে জানি।
মিয়াজাকি আমের আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য
বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় মিয়াজাকি আমের দাম অনেক বেশি। সাধারণ দেশি আম যেখানে ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়, সেখানে এই বিশেষ জাপানি আমটির দাম থাকে প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা প্রতি কেজি। এছাড়া উন্নতমানের মিয়াজাকি আমের দাম প্রায় ৩ লক্ষ টাকার কাছাকাছি হতে পারে। প্রতিটি আম আকর্ষণীয় রং ও সুস্বাদু মিষ্টি স্বাদের জন্য পরিচিত। এমনকি ৫০০ গ্রাম ওজনের মিয়াজাকি আমের মূল্য প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে, যা শুনতেও অবিশ্বাস্য মনে হয়।
বাংলাদেশে মিয়াজাকি আমের মূল্য
বাংলাদেশের বাজারেও মিয়াজাকি আমের বিশেষ স্থান রয়েছে। যদিও এই বিশেষ আম দেশে চাষ করা হয় না, তারপরও বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। দেশে মিয়াজাকি আমের দাম প্রতি কেজি প্রায় ১৫ হাজার টাকা। তবে এই মূল্য ডলারের বিনিময় হারের ওপর নির্ভরশীল। ডলারের দরবৃদ্ধির সাথে সাথে এই দাম ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকারও বেশি হতে পারে।
ভারতে মিয়াজাকি আমের আধিপত্য
ভারতেও মিয়াজাকি আমের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। যদিও বর্তমানে ভারতেও এই আমের চাষ শুরু হয়েছে, তবে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। ভারতে প্রতি কেজি মিয়াজাকি আমের মূল্য ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকা থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দাম ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে, যা মিয়াজাকি আমের উচ্চ মানের প্রতিফলন।
২০২৪ সালে মিয়াজাকি আমের মূল্য
২০২৪ সালে মিয়াজাকি আমের দামও অনেকটা উচ্চ থাকার পূর্বাভাস রয়েছে। প্রতি কেজি মিয়াজাকি আমের ওজনে ৭ থেকে ৮ টি আম থাকতে পারে এবং এর দাম বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৫ হাজার। ভারতে এই দাম প্রায় ১৪ হাজার টাকা হতে পারে। প্রায় প্রতিটি আমের ওজন ১৫০ থেকে ২০০ গ্রামের মধ্যে হবে।
এক পিস মিয়াজাকি আমের দাম
একটি মিয়াজাকি আমের দাম নির্ভর করবে আমের ওজনের ওপর। সাধারণত, একটি মিয়াজাকি আমের ওজন যদি ২০০ গ্রাম হয় তাহলে এর দাম ১৫০০ টাকা হতে পারে। ওজন বৃদ্ধি বা কমার সাথে সাথে দামও পরিবর্তিত হবে, যেমন একটি আমের ওজন কম হলেও এর দাম ১২০০ টাকা হতে পারে। আবার বিশেষ ক্ষেত্রে দাম ১৭০০ টাকাও হতে পারে।
এক ডজন মিয়াজাকি আমের দাম
এক ডজন মিয়াজাকি আমের সংখ্যা ১২ হলেও, এই আমের ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে ৭ থেকে ৮ টি আম থাকতে পারে। হিসাব অনুযায়ী, ১ ডজন আমের ওজন প্রায় ১.৫ কেজি হবে এবং দাম ২২ থেকে ২৩ হাজার টাকার মধ্যে হতে পারে। আমের সাইজ কম থাকলে দাম কিছুটা কমতেও পারে। তবে ৪০০ গ্রাম ওজনের আম থাকলে, দাম ৩০ হাজার টাকারও বেশি হতে পারে।
মিয়াজাকি আম পাওয়া যায় কোথায়
মিয়াজাকি আমের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র হলো জাপান। সেখান থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই আম রপ্তানি করা হয়। বাংলাদেশে এই আম জাপান থেকে আমদানি করা হয় এবং দেশের বিভিন্ন বাজার ও দোকানে বিক্রি করা হয়। বিশেষ করে বড় বড় শহরগুলোতে মিয়াজাকি আম বেশি পাওয়া যায়, যেখানে এর চাহিদাও বেশি।
শেষ কথা
মিয়াজাকি আমের উচ্চ দামের প্রধান কারণ হলো এর মধ্যে অনেক ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ বিদ্যমান যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। বিশ্বব্যাপী এর সীমিত চাষ এবং উচ্চ মানের কারণে এটির দাম এত বেশি। আশা করি এই পোস্ট থেকে আপনি মিয়াজাকি আমের দাম এবং এর নানা তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।