notun bajete kon cigaretar dam koto

নতুন বাজেটে কোন সিগারেটের দাম কত ২০২৪

২০২৪ সালের নতুন বাজেটে সিগারেটের দাম নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে। অনেকেই জানতে চান কোন ধরনের সিগারেটের দাম কত বাড়ছে বা কমছে। সরকারের নতুন বাজেটে সিগারেটের দাম বৃদ্ধি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। অনেক ধূমপায়ী এবং ব্যবসায়ী এই পরিবর্তন নিয়ে উদ্বিগ্ন। বাজেটে কর বাড়ানোর ফলে সিগারেটের দাম কতটা প্রভাবিত হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

২০২৪ সালের বাজেটে সিগারেটের দাম নিয়ে বিস্তারিত জানতে হলে পড়তে থাকুন। আমাদের আজকের ব্লগে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।

নতুন বাজেটে কোন সিগারেটের দাম কত ২০২৪

মন্তব্য পূর্বের দাম/হার বর্তমান দাম/হার
সর্বনিম্ন মানের সিগারেট (১০ শলা) ৪৫ টাকা ৫০ টাকা
মধ্যম মানের সিগারেট (১০ শলা) ৬৭ টাকা ৭০ টাকা
উচ্চ মানের সিগারেট (১০ শলা) ১১৩ টাকা ১২০ টাকা
উত্তোলিত মানের সিগারেট (১০ শলা) ১৫০ টাকা ১৬০ টাকা
ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ভ্যাট ৫% ১০%
গাড়ি আমদানির শুল্ক (এমপি) শুল্কমুক্ত ২৫% অতিরিক্ত শুল্ক + ১৫% আমদানি কর
স্বর্ণ বহন ফি ৪ হাজার টাকা ফি ৪ হাজার টাকা ফি (অপরিবর্তিত)
ব্যক্তিগত কর হার (১৬ লক্ষ টাকার বেশি আয়) ২৫% ৩০%
আম ও ফলের জুসের ভ্যাট ৫% ১৫%
নিরাপত্তা সেবার ভ্যাট ১০% ১৫%
শুল্কমুক্ত পণ্য শুল্কমুক্ত ১% শুল্ক

আরো পড়ুন: ভিশন রাইস কুকারের দাম কত

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩তম বাজেট: অন্যান্য বিষয়ের বিশ্লেষণ

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আজ জাতীয় সংসদে স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট উপস্থাপন করবেন। এটি হবে তার প্রথম বাজেট ঘোষণা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট। বাজেটের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাজেটের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যার মধ্যে অন্যতম হল তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা এবং আয় বাড়ানো।

পণ্যের দামে বৃদ্ধি: সিগারেট এবং ইলেকট্রনিক্স

নতুন বাজেটে সিগারেটের দামে আবারও বৃদ্ধি করা হয়েছে। তামাকজনিত রোগ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে এবং সরকারি আয়ের উৎস বাড়াতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সবচেয়ে নিম্ন মানের সিগারেটের ১০ শলাকার মূল্য ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৫০ টাকা, মধ্যম মানের সিগারেট ৬৭ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৭০ টাকা, উচ্চ মানের সিগারেট ১১৩ টাকা থেকে বেড়ে হবে ১২০ টাকা এবং উত্তোলিত মানের সিগারেট ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে হবে ১৬০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়াও ইলেকট্রনিক্স পণ্যের জন্য ভ্যাটের হার 5% থেকে 10% করা হয়েছে, যেমন রেফ্রিজারেটর এবং এয়ার কন্ডিশনার।

গাড়ি আমদানি ও প্রযোজ্য শুল্ক

কংগ্রেসের সদস্যদের গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক মওকুফের সুবিধা বিলোপ করা হচ্ছে। পূর্বে এই সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি করা যেতো, বর্তমান বাজেটে তা পরিবর্তিত হয়ে প্রতিটি এমপির জন্য 25% অতিরিক্ত শুল্ক ও 15% আমদানি কর ধার্য করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শুল্কমুক্ত সুবিধাপ্রাপ্ত হাই-টেক পার্কে ব্যবহৃত গাড়িগুলোও শুল্ক সাপেক্ষে পরিণত হবে।

সীমিত সোনা এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত

বর্তমান নিয়মে একজন যাত্রী ৪ হাজার টাকা ফি দিয়ে ১১৭ গ্রাম স্বর্ণ বহন করতে পারেন এবং এ বিষয়টি অপরিবর্তিত থাকবে। তবে এনবিআর প্রস্তাব করেছিল বছরে একবার এই সীমা প্রযোজ্য করার কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর ভেটোর কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এছাড়াও, নাগরিকদের কর দিতে সচেতন করার লক্ষ্যে এনবিআর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা ও শাস্তির পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে।

বিভিন্ন কর ও শুল্ক পরিবর্তন

ব্যক্তিগত করের হার 16 লক্ষ টাকার বেশি আয়ের জন্য 25% থেকে বাড়িয়ে 30% করা হচ্ছে। কর সুবিধার মধ্যে বিপর্যয় ঘটানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন সেক্টরে ট্যাক্স বিরতি কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও স্টক মার্কেট বিনিয়োগ থেকে মূলধন লাভের উপর কর বিরতি অপসারণ করা হবে। আম ও ফলের জুস, তেঁতুলের জুস, পেয়ারার জুস এবং আনারসের জুসের উপর ভ্যাট হার ৫% থেকে বাড়িয়ে ১৫% করা হচ্ছে। নিরাপত্তা সেবায়ও ভ্যাট হার ১০% থেকে ১৫% করা হয়েছে।

উচ্চ সামগ্রিক বাজেট পরিকল্পনা

সরকার মহাসড়ক করিডোর এবং হাইওয়ের বিভিন্ন সেতু পারাপারের টোল ও পরিষেবা ফি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। এছাড়াও অর্ধশতাধিক শুল্কমুক্ত পণ্যকে 1 শতাংশ আমদানি শুল্কের অধীন আনা হচ্ছে। যেসব পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকছে না, তার মধ্যে খাদ্য, সার, গ্যাস, ফার্মাসিউটিক্যাল, কৃষি উপকরণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর ফলে, গম, ভুট্টা, সরিষার বীজ, সুতির বীজ, বিভিন্ন উদ্ভিজ্জ বীজ, কয়লা, জিপসাম, ভিটামিন, পেনিসিলিন, ইনসুলিন, রাসায়নিক, প্লাস্টিকের রিল, কার্ডবোর্ড এবং ইস্পাত জাতীয় পণ্য আমদানি কমপক্ষে 1 শতাংশ শুল্ক সাপেক্ষে হবে।

এভাবে বাজেটের বিভিন্ন অংশে নেওয়া পদক্ষেপগুলি দেশের সামগ্রিক উন্নতি ও জনগণের সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই গ্রহণ করা হচ্ছে। নতুন বাজেটের পরিকল্পনার মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

Scroll to Top