novotheater somoysuchi

নভোথিয়েটার সময়সূচী ২০২৪

নভোথিয়েটার একটি অত্যাশ্চর্য স্থান যেখানে বিজ্ঞান ও মহাকাশের রহস্য উদঘাটন করা যায়। ২০২৪ সালের জন্য এর নতুন সময়সূচী প্রকাশিত হয়েছে, যা বিজ্ঞানপ্রেমীদের জন্য একটি বড় আকর্ষণ। বিভিন্ন প্রদর্শনী এবং শো-এর সময়সূচী জানলে পরিকল্পনা করা সহজ হবে।

আজকের এই ব্লগে আমরা আপনাদের জানাবো নভোথিয়েটারের ২০২৪ সালের সময়সূচী সম্পর্কে। কোন দিন কোন প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে, তা বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। এই তথ্য আপনাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে সহায়ক হবে।

নভোথিয়েটারের জগতে চলুন, যেখানে কল্পনা বাস্তবতার সাথে মিলে যায়।

নভোথিয়েটার সময়সূচী ২০২৪

বিষয় তথ্য
প্রস্তাবনা ১৯৯৫
নির্মাণ স্থান তেজগাঁও, বিজয় সরণি
ব্যয় ১২৩১ মিলিয়ন টাকা
যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী জাপানের GOTO Inc.
প্রথম নাম ভাসানী নভোথিয়েটার
বর্তমান নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার
নাম পরিবর্তনের বছর ২০১০
আসন সংখ্যা ২৭৫
টিকিট মূল্য ৫০ টাকা
শো প্রদর্শনের দিন শনিবার, রবিবার, সোম, মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার
সাপ্তাহিক ছুটি বুধবার
অডিটোরিয়াম আসন সংখ্যা ১৫০
সম্মেলন কক্ষ ধারণক্ষমতা ৫০
কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ৪০

আরো পড়ুন: গ্লুকোজ এর দাম কত

নভোথিয়েটারের অভ্যুদয় এবং নামকরন: ইতিহাসের প্রেক্ষাপট

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার একটি অত্যাধুনিক প্ল্যানেটেরিয়াম যা দ্রত ঢাকার একটি উল্লেখযোগ্য বিজ্ঞান শিক্ষাকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। ১৯৯৫ সালে এর প্রস্তাবনা করে, এর প্রধান লক্ষ্য ছিল যুবক-যুবতীদের মধ্যে বিজ্ঞান বিষয়ক মনের জাগরণ সৃষ্টি করা। এই অনন্য স্থানটি বিজ্ঞানকে বিনোদনের মাধ্যমে জানার একটি নতুন পথ খুলে দেয়। বিশিষ্ট স্থপতি আলী ইমামের তত্ত্বাবধানে, নভোথিয়েটারটি তেজগাঁও এলাকার বিজয় সরণিতে নির্মিত হয়।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ১২৩১ মিলিয়ন টাকার ব্যয় সম্পূর্ণভাবে সরকার বহন করে, যা নিশ্চয়ই এই প্রকল্পের গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে। এই থিয়েটারের গ্রহ-ঘনিষ্ট যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে জাপানের GOTO Inc.। মূলত, এটি ‘ভাসানী নভোথিয়েটার’ নামে পরিচিত ছিল মহান নেতার নামানুসারে। তবে, ২০১০ সালের বাংলাদেশ সংসদের অনুমোদনের পর এটি ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার’ নামে পরিচিত হয়।

চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং দর্শকদের অভিজ্ঞতা

নভোথিয়েটারে যে দুটি প্রধান চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয় তা দর্শকদের জন্য এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা প্রদান করে। ‘জার্নি টু ইনফিনিটি’ প্ল্যানেটেরিয়াম শো দর্শকদের একটি জ্যোতির্বিজ্ঞানী অভিযানে নিয়ে যায়, যেখানে সৌরজগতে ঘোরাঘুরি করার সুযোগ মেলে। আরেকটি জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘এই আমাদের বাংলাদেশ’ দর্শকদের দেশটির স্বাধীনতা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্মবস্তু উপস্থাপন করে। এই দুটি চলচ্চিত্র সময়ের পাশাপাশি দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য কেবল উপকরণই নয়, বরং শিক্ষণীয় বিষয়বস্তুও প্রয়োগ করে।

নভোথিয়েটারের প্রদর্শনী এবং বসার ব্যবস্থা

নভোথিয়েটারের প্রতিটি শোতে আসন সংখ্যা ২৭৫ টি। প্রতিটি প্লানেটেরিয়াম শোয়ের টিকিট মূল্য মাত্র ৫০ টাকা। দর্শকরা টেলিটক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এসএমএস করে সহজেই টিকিট ক্রয় করতে পারে। সপ্তাহে পাঁচ দিন শো প্রদর্শিত হয়: শনিবার, রবিবার, সোম, মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার। তবে শুক্রবার এবং বুধবারের সময়সূচীতে রয়েছে ভিন্নতা। বুধবার সাপ্তাহিক ছুটি হিসেবে গণ্য হয়।

বৈজ্ঞানিক প্রদর্শন এবং শিক্ষামূলক কার্যক্রম

প্ল্যানেটেরিয়াম শো ছাড়াও এখানে রয়েছে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রদর্শনী। সৌরজগতের গ্রহ, সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদের মডেল, নক্ষত্রের আকার এবং স্বচ্ছ সেলেস্টিয়াল গ্লোব বিশেষ আকর্ষণ। আরও রয়েছে অডিটোরিয়াম যা ১৫০ জনের জন্য বসার ব্যবস্থা, ৫০ জন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন সম্মেলন কক্ষ, হাইড্রোলিক লিফট এবং গাড়ি পার্কিং এরিয়া।

রাইড সিমুলেটর নিয়ে আকর্ষণের কমতি নেই। স্পেস শাটল থেকে রোলার কস্টার, মিশরের প্রাচীন বিশ্ব থেকে বিমান ফাইটার – এই সবকিছু একসাথে অভিজ্ঞানপ্রাপ্ত হয় রাইড সিমুলেটর মাধ্যমে। এটি প্রতিদিন দর্শকদের বিনোদন ও শিক্ষা প্রদানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং পরিচালনা

বর্তমানে আগস্ট পর্যন্ত নভোথিয়েটারে ৪০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী তাঁদের কর্মরত। নতুন প্রদর্শন ও উন্নয়নমূলক পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের উদ্যোগের মধ্যে। নতুন আধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রদর্শনী স্থাপনের পরিকল্পনাও শীঘ্রই চালু হবে। বাংলাদেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে এটি দেশটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ নেবে।

এই কেন্দ্রটি ইতিহাস, বিজ্ঞান শিক্ষা এবং বিনোদনের এক উৎকৃষ্ট সংমিশ্রণ প্রদান করে, যা আগামী দিনের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

Scroll to Top